ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম গণহত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি ১৯ জানুয়ারি

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ১৬ জানুয়ারি ২০২০

চট্টগ্রাম গণহত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি ১৯ জানুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চাঞ্চল্যকর চট্টগ্রাম গণহত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হবে আগামী ১৯ জানুয়ারি। ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ। চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় স্পেশাল জজ মোঃ ইসমাইল হোসেনের আদালত এই তারিখ ধার্য করেন। উল্লেখ্য, ৩২ বছর আগে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে তৎকালীন ৮ দলীয় জোটনেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় গুলি চালিয়ে এ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, গত মঙ্গলবার আদালতে সর্বশেষ সাক্ষ্য দিয়েছেন এ্যাডভোকেট শম্ভুনাথ নন্দী। মামলাটিতে সাবেক মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষকসহ ৫৩ জন সাক্ষ্য দেন। এবার শুরু হচ্ছে পরবর্তী ধাপ যুক্তিতর্ক শুনানি। তারপরই আদালত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করবে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘি মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে তৎকালীন ৮ দলীয় জোট। স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে দিয়ে সমাবেশে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হয় শেখ হাসিনার গাড়িবহর। পুলিশ গাড়ি বহর লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। তখন লালদীঘি এলাকায় বিক্ষুব্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চলতে থাকে হুড়োহুড়ি। নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনা ও নেতৃবৃন্দকে রক্ষার চেষ্টা করেন। এলোপাতাড়ি গুলিতে মারা যান সমাবেশে যোগ দিতে আসা ২৪ নেতাকর্মী। কিন্তু ওই সময়ে এ ঘটনায় মামলা করা যায়নি। ১৯৯২ সালের ৫ মার্চ এ বিষয়ে মামলা দায়ের করেন আইনজীবী মোঃ শহীদুল হুদা। কিন্তু সে মামলাটি গতি পায়নি। সেদিনের গুলিবর্ষণে যারা নিহত হন তারা হলেন মোঃ হাসান মুরাদ, মহিউদ্দিন শামীম, স্বপন কুমার বিশ^াস, এলবার্ট গোমেজ কিশোর, স্বপন চৌধুরী, অজিত সরকার, রমেশ বৈদ্য, বদরুল আলম, ডিকে চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন, আবদুল মান্নান, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, বিকে দাশ, পঙ্কজ বৈদ্য, বাহার উদ্দিন, চান্দ মিয়া, সমর দত্ত, হাশেম মিয়া, মোঃ কাশেম, পলাশ দত্ত, আবদুল কুদ্দুস, গোবিন্দ দাশ ও শাহাদাত। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর চাঞ্চল্যকর এ মামলা পুনরুজ্জীবিত হয়। আদালতের আদেশে সিআইডি মামলাটির তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ১২ জানুয়ারি প্রথম চার্জশীট দাখিল করে। এরপর অধিকতর তদন্ত শেষে দ্বিতীয় দফায় চার্জশীট দাখিল হয় ১৯৯৮ সালের ৩ নবেম্বর। এতে সিএমপির তৎকালীন কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদাসহ আট পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়। বাকি সাত আসামি হলেন সিএমপি কোতোয়ালি জোনের পেট্রোল ইন্সপেক্টর জেসি ম-ল, কনস্টেবল আবদুস সালাম, মুশফিকুর রহমান, প্রদীপ বড়ুয়া, বশির উদ্দিন, মোঃ আবদুল্লাহ এবং মমতাজ উদ্দিন। ২০০২ সালের ৯ মে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে শুরু হয় বিচার কাজ।
×