ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের প্রথম ইংরেজী চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা

প্রকাশিত: ১১:২৮, ১৬ জানুয়ারি ২০২০

দেশের প্রথম ইংরেজী চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গল্পটি একটি গোরখোদককে নিয়ে। তিনি কোন প্রফেশনাল গোরখোদক নন। গ্রামে গ্রামে যুগ যুগ ধরে গোর খুঁড়ে বেড়ান। তার ধারণা একশ’টি গোর খুঁড়লে পরকালে পুণ্য হবে। এর জন্য দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করেন আর গোর খুঁড়ে বেড়ান। এর মাধ্যমে গ্রামের অনেক চরিত্রের লোকের সঙ্গে তার পরিচয় ঘটে। এর মধ্যে কেউ জেলে, কৃষক, তাঁতী আবার কেউ ভিন্ন কোন পেশায় জড়িত। প্রেম-ভালবাসায় জড়িত এমনই এক গ্রাম্য কাহিনী নিয়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন নির্মাতা গাজী রাকায়েত। সরকারী অনুদানের এ চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি নিজেই। এতে আরও অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ, একে আজাদ সেতু, শামিমা তুষ্টি প্রমুখ। এটি গাজী রাকায়েত পরিচালিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। একসঙ্গে বাংলা ও ইংরেজী দুটি ভাষায় নির্মিত হলো ইমপ্রেস টেলিফিল্মস প্রযোজিত গাজী রাকায়েতের ‘গোর’ চলচ্চিত্রটি। বাংলাদেশের প্রথম ইংরেজী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে ‘দি গ্রেভ’ ছবিটির আনুষ্ঠানিক নাম ঘোষণা হয় বিএফডিসির মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্স মিলনায়তনে বুধবার সন্ধ্যায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ মুরাদ হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নিজামূল কবীর, চলচ্চিত্র পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, পরিচালক গাজী রাকায়েত প্রমুখ। দুটি ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রসঙ্গে ‘গোর’ ছবির নির্মাতা গাজী রাকায়েত বলেন, ‘ছবিটি আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন উৎসবে মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা আছে। সেই চিন্তা থেকেই বাংলা ও ইংরেজী এই দুই ভাষায় শূটিং ও ডাবিং করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই প্রথম ইংরেজী কোন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সেন্সর হয়েছে। এর আগে এ দেশে কোন ইংরেজী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের আত্মপ্রকাশ হয়নি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এটা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এই প্রথম দুটি ভার্সনে চলচ্চিত্র নির্মিত হলো। দুটি চলচ্চিত্রের জন্য আলাদা আলাদা সেন্সর সার্টিফিকেট দেয়া হলো। এই চলচ্চিত্রের ইংরেজী বাহাদুরি করার জন্য নয়, বাংলাদেশের গ্রামের একটি গল্প, এবং এই গল্পটি পৃথিবীর মানুষ দেখেনি। এই গল্পটাকে সহজে বোঝানোর জন্য আমার মনে হয়েছে যে ইংরেজী ভাষাটা অনেক সহায়ক হবে। এই কারণে আমি এই চলচ্চিত্রটি ইংরেজীতে নির্মাণ করেছি। আমরা মুক্তিও দেব ইংরেজী চলচ্চিত্র হিসেবে। এটা আমাদের বাংলাদেশের জন্য এই প্রথম তবে এর স্টান্ডার্ডটা দাঁড় করানো গেছে। আমরা যেমন এখানে ব্রিটিশ উচ্চারণটাকে ফলো করেছি, আমরা একটি স্টান্ডার্ড ফলো করার চেষ্টা করেছি। একটি গ্রামের গল্প সেখানে আমাদের ইংরেজিতে অভিনয় করতে গেলে অভিনেতাদের বডি লেঙ্গুয়েজ চেঞ্জ করতে হবে। আমাদের তো সেই স্টান্ডার্ড এখনও দাঁড়ায়নি। এই চলচ্চিত্রে সেইখানে পৌঁছানো গেছে বলে আমি মনে করি।
×