ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বিদেশীরা শেয়ার বিক্রির পরিবর্তে কিনতে চায়

প্রকাশিত: ০৯:৪১, ১৬ জানুয়ারি ২০২০

বিদেশীরা শেয়ার বিক্রির পরিবর্তে কিনতে চায়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়ায় বিদেশী পোর্টফলিওতে শেয়ার বিক্রির পরিমাণ বাড়লেও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে বিদেশীরা শেয়ার বিক্রি করছেন না। তাদের দাবি, বিদেশীরা বাংলাদেশের শেয়ারবাজার থেকে নিজেদের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন, এই জাতীয় তথ্য সঠিক না। বরং বাজারের বর্তমান অবস্থায় সামনে বিদেশীদের বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে এক জরুরী বৈঠকে স্টেকহোল্ডাররা এমনটি জানিয়েছেন। বিএসইসির কমিশনার স্বপন কুমার বালার সভাপতিত্বে অংশ নেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) ও শীর্ষ ব্রোকারদের প্রতিনিধি দল। বিএমবিএয়ের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মতিন বলেন, শেয়ারবাজারের চলমান অবস্থা নিয়ে কমিশন জরুরী বৈঠক ডেকেছিল। তারা আমাদের কাছে বিদেশীরা বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে এমন খবরের বিষয়ে জানতে চান। এ খবর সঠিক নয় বলে কমিশনকে অবহিত করেছেন বিদেশীদের বড় পোর্টফোলিও মেনটেন করা ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজ, সিটি ব্রোকারেজসহ অন্যান্য হাউসের প্রতিনিধিরা। একইসঙ্গে বর্তমান শেয়ারের নি¤œ দরের কারণে সামনে বিদেশীদের বিনিয়োগ বাড়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। রিয়াদ মতিন বলেন, লেনদেনের শুরুতে পেনিক সেল বেশি হয় বলে কমিশন জানিয়েছেন। তাই এই পেনিক সেল থামানোর জন্য সবাইকে পদক্ষেপ নিতে বলেছে। একইসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে আস্থার সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তা কিভাবে ফেরানো যায়, সে বিষয়ে কাজ করার জন্য বলেছেন। আর বাজারকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য সবাইকে আহ্বান করেছে কমিশন। বিএমবিএয়ের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারী বিভিন্ন কোম্পানি থেকে অব্যবহৃত ফান্ড ফেরত নেয়া নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সৃষ্ট আতঙ্কের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সরকারী কোম্পানি থেকে ফেরত নেয়া জটিল এবং প্রায় অসম্ভব। কারণ ওই ফান্ডে সরকারের পাশাপাশি অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারীর মালিকানা রয়েছে। তাই চাইলেই ওই ফান্ড নেয়া সম্ভব হবে না। এ বিষয়ে আগামী ২০ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট কমিটির সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠকে আলোচনা করা হবে। এই মুহূর্তে বিষয়টি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই বলে বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে।
×