ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আর নিষ্ক্রিয়তা নয়

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ১৬ জানুয়ারি ২০২০

আর নিষ্ক্রিয়তা নয়

সব অপকর্মের সঙ্গে জড়িতরা হয় ভিটেমাটিহীন, নয়তো রাজনৈতিক শক্তির আশ্রয়ভুক্ত। অবৈধ ক্ষমতার দাপট ছাড়া এহেন অপকর্ম করা ও বিচারের বাইরে থাকা সাধারণ মানুষের জন্যে অসম্ভব। যত্রতত্র ঘটা ধর্ষণের পরিসংখ্যানই তা বলে। আর এসব ঘটনার প্রতিবাদ করে সাধারণ জনগণ, যারা ব্যানার পোস্টার হাতে দাঁড়িয়ে বিচার চায়। কিন্তু আমাদের দেশে মিটিং মিছিলকে সর্বদাই ক্ষমতাসীনদের বিরোধী হিসেবে দেখা যায়, যা অতীতকাল থেকেই প্রচলিত প্রথা হিসেবে চলছে। অপকর্মের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেই নানা রকম নিপীড়ন, অত্যাচারের স্বীকার হতে হয় আন্দোলনকারীদের। যার কারণে শুধু ধর্ষণ নয়, অসংখ্য অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারী বেসরকারী অনেক সচেতনতামূলক সভা সেমিনার করেও কমানো যাচ্ছে না। এমনকি আইন করেও সুফল আসছে না। কারণ যারা আইনের পক্ষে থাকার কথা তারাই অপকর্মে জড়িত হচ্ছে। ফলে অনেক সচেতন ও সমাজসেবীও দেশের কল্যাণে পিছপা হচ্ছে। বাড়ছে ধর্ষণ নামক কার্যকলাপ। ফলে মেয়ে ও নারীরা এগিয়ে যাওয়ার বদলে আত্মরক্ষার পথ খুঁজছে, পিছিয়ে যাচ্ছে সমাজ ও দেশ, কেননা নিরাপত্তা যেখানে অনিশ্চিত সেখানে এগিয়ে যাওয়া দুষ্কর। যারা এগিয়ে আসলে ধর্ষণ নামক ভাইরাস সমাজ থেকে দূর করা সম্ভব তারা হলো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা, যারা মাঠে নামলে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিচার চাইলে বিচার পাওয়া সম্ভব অন্যথায় সঠিক বিচার পাওয়া আজকাল ধর্ষণের শিকার নারীর পক্ষে আকাশ কুসুম কল্পনা মাত্র। ক্ষমতাসীনরা সামনে থেকে ধর্ষণের বিচার চাইলে পিছনে জড়ো হবে লাখো সাধারণ জনতা, যারা দেশের তরে কাজ করে দেশকে এগিয়ে নিতে চায়, বন্ধ করতে চায় মেয়ে ও নারীর প্রতি জুলুম ও নির্যাতন, দূর করতে চায় সমাজের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে থাকা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া। গড়তে চায় নিরাপদ রাষ্ট্র, যেখানে মেয়ের বাবা মা মেয়েকে বাইরে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারবে, কাজ করতে পারবে দুশ্চিন্তা মুক্তভাবে। এজন্য দরকার রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সবার আগে এগিয়ে আসা। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর থেকে
×