ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বি’বাড়িয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে আহমদিয়াদের সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

বি’বাড়িয়ায় মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে আহমদিয়াদের সংঘর্ষ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দি পাড়ায় আহমদিয়া মুসলিম জামায়াতের কর্মী-সমর্থক ও স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্রদের সঙ্গে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় দু’পক্ষ প্রচুর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের কান্দিপাড়ায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ঘটনাস্থলে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামসুজ্জামান জানান, পুরো পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার পর শহরে উত্তেজনা দেখা দেয়। স্থানীয় সূত্র জানায়, আহমদিয়াদের কান্দিপাড়ার উপাসনালয়ে শিশু সংগঠন আতফালুল আহমদিয়ার উদ্যোগে শিক্ষামূলক পুরস্কার বিতরণী ও দেয়া মাহফিল শুরু হয় সন্ধ্যায়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন লন্ডন প্রবাসী আহমদিয়া নেতা ফিরোজ আলম। এতে সভাপতিত্ব করেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন এখতিয়ার উদ্দিন শুভ প্রমুখ। স্থানীয় সূত্র জানায়, সভা শুরুর পরপর পূর্ব কান্দিপাড়ার বেশ কয়েকজন সেখানে হাজির হলে তাদের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় দু’পক্ষ ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় আহমদিয়া নেতা এখতিয়ার উদ্দিন শুভ জানান, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হামলা চালায় স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। তাদের উপাসনালয় ও বাড়ি ঘরসহ তাদের ওপর হামলার দাবি করেন তিনি। আহতদের পরিচয় সমন্ধে তারা জানাতে পারেনি। এদিকে, জামেয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমী জানান, স্থানীয় শিমরাইল কান্দি মসজিদ দখল করার জন্য লন্ডন থেকে আগত আহমদিয়া নেতার নেতৃত্বে একটি সভা চলছিল। হামলাকারীরা কান্দিপাড়া খতমে নবুওয়াত মসজিদটি দখল করার চেষ্টা করে। তারা স্থানীয় মুসল্লি ও মাদ্রাসা ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামেয়া ইউনুছিয়ার কিতাব বিভাগের ছাত্র সফিউল্লাহসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। তিনি দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও তাদের কাছে রাখা অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
×