ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়ই সেরা মুহূর্ত

প্রকাশিত: ১২:২৯, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়ই সেরা মুহূর্ত

*প্রথম বিপিএলের অনেক কিছুই হয়তো মনে থাকবে, ইবাদত হোসেনের ইয়র্কার দুটিও ভোলার কথা নয়! **শেন ওয়াটসন ॥ দুটি ডেলিভারিই ভাল ছিল। দ্বিতীয় যে ইয়র্কারে বোল্ড হয়েছি, সোজা ডেলিভারি মিস করেছি। প্রথমটি অনেক পরে সুইং করেছিল। ইবাদতকে প্রথমবার দেখছি, মনে হয়েছে দারুণ স্কিলফুল ফাস্ট বোলার। গতি ভাল, দুই দিকে সুইং করাতে পারে, ছন্দে থাকলে খুব ভাল ইয়র্কার করতে পারে। দারুণ সম্ভাবনাময় বোলার। *আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পর নিজেকে ফিট রাখার কাজটি কিভাবে করেন? **ওয়াটসন ॥ সত্যি বলতে, শুরুতে ধুঁকেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার পর জীবনের নতুন একটি পর্যায়ে প্রবেশ করলাম, কি করব না করব, একটা অনিশ্চয়তা ছিল, পরিবারকে সময় দেয়াও জরুরি ছিল। আমি তখন অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি। নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত রাখিনি, স্কিলে চর্চা করিনি, ক্লাব ক্রিকেট খেলিনি। মনে হয়েছিল, এরকম টুর্নামেন্টের আগে দু-একটি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেললেই ছন্দ ফিরে পাব। প্রায় ৯ মাস যাওয়ার পর বুঝলাম, ভুল করছি। এভাবে হয় না। স্কিল নিয়মিত ঝালাই করতে হয়। এরপর থেকে সেভাবেই চেষ্টা করেছি। এই বিপিএল যদিও একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল। কারণ আমি আগে জানতাম না যে এখানে আসব। মাঝপথে এসেছি। স্কিল ঝালিয়ে নিতে তাই সময় লেগেছে। *আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে পেছন ফিরে তাকালে, কোনো আক্ষেপ হয়? আরও কিছু টেস্ট যদি খেলতে পারতেন, কিংবা আরও কিছু রান বা কয়েকটি বেশি সেঞ্চুরি! ওয়াটসন ॥ না, একদমই না। কোনো আক্ষেপ নেই আমার। আমার পক্ষে যা করা সম্ভব ছিল, তার সর্বোচ্চটাই আমি করেছি। যত সম্ভব ট্রেনিং করা, নিজের সামর্থ্যের সেরাটা বের করে আনতে যা করা উচিত, সবই করেছি আমি। আক্ষেপের কারণ নেই। হ্যাঁ, ছোটখাটো আরও অনেক কিছু হয়তো করতে পারতাম। কিছু জায়গায় আরও ভাল করতে পারতাম। তবে সেসব আক্ষেপ নয়। কোথায় কোথায় ভাল করতে পারতাম, এটি জানি বলেই আমি পরের প্রজন্মদের সাহায্য করতে চাই। মূলত এই কারণেই খেলা পুরোপুরি ছাড়ার পর আমি কোচিংয়ে আসতে চাই। পরের প্রজন্মকে আমি বলতে পারব, কোন কাজগুলি আমার চেয়ে ভিন্নভাবে করা উচিত, কোনগুলি আমার মতো করে এবং কেন করা উচিত। ব্যাখ্যা ভাল দিতে পারব। *ভবিষ্যতে তাহলে কোচ ওয়াটসনকে দেখা যাবে? **ওয়াটসন ॥ আশা তো করি। আমি ক্রিকেট ভালবাসি, আর যে কোনো কিছুর চেয়ে ক্রিকেট ভাল বুঝি। মানুষকে সাহায্য করতে পছন্দ করি। জীবন ও ক্রিকেট ক্যারিয়ারে যা শিখেছি, অন্যদের তা শেখাতে চাই। ২০ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়া দলে এসেছিলাম, বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক গ্রেটের সঙ্গে খেলেছি। তাদের কাছ থেকে যা শিখেছি, নিজের অভিজ্ঞতা থেকে যতকিছু বুঝেছি, পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে চাই। *ব্যক্তিগত অর্জনের কথা বললে, ২০১২ টি২০ বিশ্বকাপে টানা চার ম্যাচে ম্যান অব দা ম্যাচ, পরে ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট হওয়া নিশ্চয়ই বিশেষ কিছু? **ওয়াটসন ॥ স্পেশাল তো বটেই। তবে আমি সৌভাগ্যবান যে আরও অনেক স্পেশাল মুহূর্ত আমার ক্যারিয়ারে এসেছে। সত্যি বলতে, মাঝেমধ্যে নিজের ক্যারিয়ারকে আমার স্বপ্নময় মনে হয়! আপনি যে টুর্নামেন্টের কথা বললেন, বিশ্বকাপের মতো আসরে বিশ্বমানের দলগুলির বিপক্ষে টানা চার ম্যাচে ম্যান অব দা ম্যাচ, অবশ্যই আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। বিশ্বকাপটা জিততে পারলে আরও বড় প্রাপ্তি হতো, অস্ট্রেলিয়া এখনও টি২০ বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। তবে সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আমার যা প্রাপ্তি, অন্যান্য টুর্নামেন্ট ও দলের হয়ে যা করেছি, স্মরণীয় স্মৃতির অভাব নেই। *সৌভাগ্যের কথা আপনি বারবার বলছেন, পরিশ্রম করেই তো সেই সৌভাগ্য অর্জন করে নিতে হয়েছে! **ওয়াটসন ॥ কঠোর পরিশ্রম ও সৌভাগ্য, দুটি মিলিয়েই সাফল্য এসেছে। অবশ্যই পরিশ্রম করে যেতে হবে, হাল ছাড়া যাবে না, পাশাপাশি ভাগ্যও লাগবে। আমি যে পরিবারে বড় হয়েছি, যে পরিবেশে বেড়ে উঠেছি, জীবন গড়ে তুলতে তা খুবই সহায়ক হয়েছে। ক্রিকেটার হয়ে ওঠার সময় আমি ভাল সব কোচের সান্নিধ্য পেয়েছি। এরপর এমন একটা সময় আমি উঠে এসেছি, অস্ট্রেলিয়া যখন একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার খুঁজছিল। ওই সময় যদি জ্যাক ক্যালিসের মতো কেউ অস্ট্রেলিয়ায় থাকত, আমার তো জীবনেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা হতো না! এজন্যই আমি কোন প্রজন্মের ক্রিকেটার এবং কখন আমার জন্য সুযোগের দুয়ার খুলছে-এসব ক্ষেত্রে ভাগ্য খুব ভূমিকা রাখে। পরিশ্রম দিয়ে নিজেকে তৈরি করা ও স্কিল বাড়ানোর কাজ করতে হয় নিজের, যেন ভাগ্য সুযোগ দিলে প্রস্তুত থাকি। দুটি ওয়ানডে *বিশ্বকাপ জিতেছেন (২০০৭ ও ২০১৫), দেশের মাটিতে এ্যাশেজ জয়ী দলে ছিলেন, ৫-০তে অ্যাশেজ জয়ে ভূমিকা রেখেছেন। কোনটির সাফল্য আপনার মনকে বেশি দোলা দেয় এখনও? **ওয়াটসন ॥ দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জয় আমার কাছে সবচেয়ে এগিয়ে থাকবে (২০১৫)। সেটিই সাফল্যের চূড়ান্ত, স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মুহূর্ত। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ জয় শুধু আমার নয়, আমাদের অনেকেরই অনেক বছরের স্বপ্ন ছিল। বেশ কয়েক বছর আগেই আমরা জানতাম যে ২০১৫ বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ায় হবে। দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন ছিল অনেকের। সেই দলে থাকতে পারা এবং জিততে পারার অনুভূতি অতুলনীয়। টেস্ট ক্রিকেটের কথা বললে তো অবশ্যই দেশের মাটিতে অ্যাশেজ জয়। ৫-০তে জিততে পারা তো বটেই, আরেকটি কারণেও ওই জয় ছিল বিশেষ কিছু। ক্যারিয়ারে সেবারই প্রথম আমার মনে হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার সব মানুষ আছে দলের পাশে। ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারে যেমন ওঠা-নামা থাকে, দলেরও ভাল সময়, বাজে সময় আসে। সব সময় সমান সমর্থন মেলে না। ওই সিরিজের সময় অস্ট্রেলিয়ার সবাই চেয়েছে, আমরা যেন ভাল করি। যেখানে গিয়েছি, সবাই প্রেরণা জুগিয়েছে। অবিশ্বাস্য অনুভূতি ছিল। *আপনি দুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন দুই অধিনায়কের নেতৃত্বে। রিকি পন্টিং (২০০৭) ও মাইকেল ক্লার্ক (২০১৫), দুজনই দারুণ অধিনায়ক ছিলেন, নিজেদের ছাপ রাখতে পেরেছেন। যদিও দু’জনের ধরণ আলাদা ছিল, তবু একজনকে এগিয়ে রাখতে বললে কাকে রাখবেন? **ওয়াটসন ॥ আমার কাছে রিকি পন্টিংই অধিনায়কত্বের শেষ কথা। নেতৃত্বগুণ তার ছিল দারুণ। খুব ভালভাবে জানতো, দলের প্রতিটি সদস্যের সঙ্গে কিভাবে মিশে যেতে হয়। জানতো, কিভাবে কোন ক্রিকেটারের সেরাটা বের করে আনতে হয়, কে কোন ধাতুতে গড়া। আমার কথাই বলি, রিকি আমার সেরাটা বের করে আনতো। জানতো, কখন কোন কথাটা বললে কাজ হবে। আমার মতে, রিকির সেরা গুণ এটিই। সবার সঙ্গে সম্পর্ক শুধু গড়তই না, ধরে রাখত। এসবের সঙ্গে ক্রিকেটিং স্কিল, টেকনিক্যাল স্কিল তো ছিলই। সবকিছুর সমন্বয় দারুণভাবে করতে পারত বলেই তার সময়ে দল এত সফল ছিল। ক্লার্ক এদিক থেকে ছিল ভিন্ন ঘরানার। দলের বাকিদের চেয়ে নিজেকে একটু আলাদা রাখত। অনেক অধিনায়ককেই অবশ্য এমন দেখেছি। তারা চাইত যে সবাই জানুক সে নেতা এবং দলের সেরাটা সে বের করে আনবে। কিন্তু রিকি দুটির সমন্বয় করেছিল দারুণভাবে। এটি বিরল গুণ। *আর শেন ওয়ার্ন? বোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেকেই ওয়ার্নকে বলেন, ‘দা বেস্ট ক্যাপ্টেন অস্ট্রেলিয়া নেভার হ্যাড।’ প্রথম আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসে ওয়ার্নের নেতৃত্বে খেলার পরই আপনার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে গিয়েছিল। **ওয়াটসন ॥ ওয়ার্ন অবিশ্বাস্য এক নেতা। খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তার নেতৃত্বগুণ সে খুব একটা দেখানোর সুযোগ পায়নি। ট্যাকটিক্যালি সে জিনিয়াস। খেলাটা অবিশ্বাস্যরকম ভাল বোঝে বলেই ক্যারিয়ারে এত সফল হয়েছে। পাশাপাশি, রিকির মতো তারও ক্ষমতা ছিল সবার সেরাটা বের করে আনার। যার সঙ্গে যা দরকার, সে নিখুঁতভাবে তাই করত। প্রথম আইপিএলেই আমি সেটি খুব ভালভাবে দেখেছি। রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক কাম কোচ ছিল সে। দলে যোগ দেওয়ার সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা গেল, দলের সবার সঙ্গে তার দারুণ সম্পর্ক। সবাই যে দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এই বোধ সবাইকে দিতে পেরেছিল। সবাই মরিয়া ছিল সেরাটা করতে। একজন নেতার জন্য এর চেয়ে বড় স্কিল আর কী থাকতে পারে! আমার ক্যারিয়ারে ওয়ার্নের প্রভাব অনেক। শুধু রাজস্থানের অধিনায়ক হিসেবে ক্যারিয়ার ঘুরিয়ে দেওয়াই নয়, তার সঙ্গে হ্যাম্পশায়ারে খেলেও অনেক শিখেছি। এর বাইরেও সবসময় আমার খোঁজ রাখত, স্কিলের উন্নতিতে বছরের পর বছর নানাভাবে সাহায্য করত। আমার কাছে সে সত্যিকারের মেন্টর। **ওয়াটসন ॥ অবশ্যই ক্যালিস। টেস্ট ক্রিকেটে সে যা করেছে, পাগলাটে ব্যাপার-স্যাপার। ভেবে দেখুন, ক্যারিয়ার শেষে তার ব্যাটিং রেকর্ড রিকি পন্টিংয়ের চেয়ে ভাল। তার বোলিং পরিসংখ্যান অনেকটাই ব্রেট লির মতো। ভেবে দেখুন, একজনের মধ্যেই পন্টিং ও লি! সঙ্গে দুর্দান্ত ক্যাচিং তো আছেই (২০০ ক্যাচ নিয়েছেন টেস্টে)। আমি তো বুঝে উঠতে পারি না, একজন কিভাবে এত কিছু করতে পারে! * আপনার চোখে সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান কে? **ওয়াটসন ॥ একজনের নাম তো বলা কঠিন,অবশ্যই বিরেন্দর শেবাগের কথা বলতে হবে। টেস্টেও সে যেভাবে ব্যাট করেছে, অন্যদের কাছে সেটি স্বপ্ন। প্রথম বল থেকেই যেভাবে বোলারদের গুঁড়িয়ে দিতে চেয়েছে, কতবার যে টেস্ট ম্যাচের প্রথম বলে চার মারলো টেস্টে ওপেনিংয়ে নেমে এমন ব্যাটিং আসলেই স্বপ্নের মতো। টি২০তে ক্রিস গেইল যেভাবে ব্যাট করেন, কত কত রান করছে সে, কত সেঞ্চুরি, হিসাব রাখাই কঠিন। যে দাপটে ব্যাটিং করেন, কখনও কখনও মনে হয় তিনি ভিন্ন মাপের উইকেটে ব্যাট করছেন। অন্যদের জন্য যা ৭০ মিটার, তার জন্য ৫০ মিটার! তার শক্তি তেমনই। *শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং সেরা কে? **ওয়াটসন ॥ আমি বলব পন্টিং। ব্যাটসম্যান হিসেবে সে বাকি দুজনের সমমানের বা কাছাকাছি। কিন্তু পান্টার বেশি ম্যাচ ও ট্রফি জিতেছে। সেই জয়গুলিতে গুরুত্বপূর্ণ রান করেছে। বিশেষ করে বিশ্বকাপ ও বড় বড় ম্যাচে সে সবসময়ই রান করেছে। *২০১১ সালে মিরপুরে ছক্কার বৃষ্টিতে সেই ১৮৫ রানের ইনিংস কতটা মনে পড়ে? **ওয়াটসন ॥ আমার ক্যারিয়ারে দারুণ স্পেশাল এক দিন ছিল সেটি। সেই ইনিংসের কারণেই বাংলাদেশ সব সময় আমার হৃদয়ে বিশেষ এক জায়গা নিয়ে থাকবে। আমার পুরো ক্যারিয়ারের অন্যতম উল্লেখযোগ্য অংশ সেটি। এজন্যই বাংলাদেশে আসার যে কোনো সুযোগ পেলে হাতছাড়া করতে চাইব না। এই মাঠে নামা, সেই স্মৃতি রোমন্থন করা, সুযোগ পেলেই নিতে চাই। *সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) প্রেসিডেন্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে আপনাকে। এই দায়িত্বে আপনার চাওয়া কি থাকবে? **ওয়াটসন ॥ প্রথমত, এসিএ প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পাওয়াটিই দারুণ সম্মানের। এর আগে যারা এই দায়িত্বে ছিলেন, তাদের দেখলেই ওজনটা বোঝা যায়। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের কিছু জায়গা আছে, যেখানে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমি চেষ্টা করব সেটি করতে। পাশাপাশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকা, ভালমন্দ দেখভাল করা, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সঙ্গে থাকা, এখনকার ক্রিকেটারদের প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে হলে সেসব বলা। ক্রিকেটাররা নিজেদের সেরাটা বের করে আনার সেরা সুযোগ যেন পায়, মাঠের ভেতরে ও বাইরে, সেটি নিশ্চিত করতে চাই। -বিডিনিউজ
×