ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেতন-ভাতার দাবিতে কারিগরি শিক্ষক কর্মচারীরা আন্দোলনে

প্রকাশিত: ১২:১৩, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

বেতন-ভাতার দাবিতে কারিগরি শিক্ষক কর্মচারীরা আন্দোলনে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মূল বেতনের শতভাগ প্রদানসহ তিনদফা দাবিতে নতুন করে আন্দোলনে নেমেছেন সরকারী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার কারিগরি শিক্ষা অধিদফতর ঘেরাও করে তারা অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন। একই সঙ্গে দাবি মেনে নেয়া না হলে পরবর্তী সেশন থেকে দ্বিতীয় শিফটের কোন কাজ না করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। আন্দোলনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়া হলেও এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানাভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। জনবল বৃদ্ধি না করে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় শিফট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অমানবিক পরিশ্রম করে আমরা তা চালিয়ে নিয়ে গেলেও সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। আগে দ্বিতীয় শিফটের জন্য মূল বেতনের ৫০ শতাংশ দেয়া হলেও তা কমিয়ে ২০১৫ সালের বেতন স্কেলের ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। শিক্ষকরা আরও বলেছেন, দ্বিতীয় শিফট পরিচালনার জন্য তারা বেতনের ৫০ শতাংশ পেলেও নতুন সিদ্ধান্তের ফলে বর্তমান বেতনের ২০ শতাংশ দেয়া হবে। ফলে এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন না তারা। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে-নতুন এ নির্দেশনা বাতিল, দ্বিতীয় শিফটে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বর্তমান মূল বেতনের ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ অর্থ প্রদান করা এবং কারিগরি শিক্ষার নিয়োগবিধি মোতাবেক অধিদফতর ও বোর্ডের সকল পদ কারিগরি শিক্ষার কর্মকর্তাদের দ্বারা পূরণ করা। আন্দোলনরত বাংলাদেশ পলিটেকনিক্যাল পরিষদের সভাপতি মোঃ তাহের জামিল বলেছেন, ১৯৮৩ সাল থেকে ৪৯টি পলিটেকনিক ও ৬৫টি টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজে দ্বিতীয় শিফট চালু করা হয়। বাড়তি ক্লাসের জন্য শুরুতে আমাদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ দিয়ে শুরু করা হলেও পরে তা বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়। অথচ না বাড়িয়ে আরও কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে জানা গেছে, গত সপ্তাহে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসমূহের শিক্ষক সঙ্কট দূর করতে শীঘ্রই সাত হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোকে আরও উন্নত করতে সরকার কাজ করছে। ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ভবনে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির জাতীয় সম্মেলন ও ২৪তম কাউন্সিল অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে বাংলাদেশ পলিটেকনিক্যাল পরিষদের সভাপতি মোঃ তাহের জামিল বলেছেন, আমাদের প্রাপ্য সুবিধা আদায় করতে বিগত সময়ে পাঁচবার আন্দোলনে নেমেছি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের বারবার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন সেশনে আমরা দ্বিতীয় শিফটে ক্লাস না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারিগরি-মাদ্রাসার বিশেষ মঞ্জুরির টাকা পেতে আবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারিগরি ও মাদ্রাসাকে বিশেষ মঞ্জুরির টাকা পেতে আবেদন করতে বলা হয়েছে। আগ্রহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। সংশ্লিষ্টদের সরাসরি অথবা নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সচিবালয় লিংক রোড, পরিবহনপুল ভবন, ঢাকা বরাবরে আবেদন করতে হবে। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলে আবেদন গ্রহণ করা হবে না। শিক্ষার্থীদের স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। অগ্রাধিকার পাবেন অসুস্থ, প্রতিবন্ধী, গরিব, মেধাবী ও অনগ্রসর সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা। দুরারোগ্য অসুখে ভুগছেন বা দুর্ঘটনায় পড়েছেন এমন শিক্ষকরাও বিশেষ আবেদনের আওতায় আছেন।
×