ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ওষুধ সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৯:২৬, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ওষুধ সঙ্কট

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এমএসআর দ্রব্য ক্রয়ে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। ফলে হাসপাতালে ওষুধের মারাত্মক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রোগীরা প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না। টেন্ডার আহ্বান না করে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক অবসরে যাওয়ায় এ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এন্টিবায়োটিক ওষুধের মারাত্মক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সিপ্রোক্সিন, সিপ্রোকজিন, আইভি স্যালাইনসহ যে সব মূল্যবান ওষুধ হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে রোগীদের দেয়া হয় তা তারা পাচ্ছেন না। ফলে রোগীদের বাধ্য হয়ে বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। এন্টিবায়োটিকসহ যে ওষুধ টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয় করা হতো তার সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সঙ্কটের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, সময়মতো টেন্ডার আহ্বান না করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালের নবেম্বরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে এমএসআর টেন্ডার আহ্বান করার জন্যে ১৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দ পাওয়ার পরও কোন টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। ওষুধ, গজ ব্যান্ডেজ, লিলেন, রি-এজেন্ট (কেমিক্যাল), যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র খাতে আহ্বান করা হয় এমএসআর টেন্ডার। প্রতিবছর শেষের দিকে টেন্ডার আহ্বান করা হয় এবং নতুন বছরের প্রথম দিকে টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়োগকৃত ঠিকাদার রোগীদের জন্য হাসপাতালে ওষুধ, যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য মালামাল সরবরাহ করেন। কিন্তু গত বছর নবেম্বর কিংবা ডিসেম্বরে এমএসআর দ্রব্যাদি ক্রয় বাবদ টেন্ডার আহ্বান না করার ফলে হাসপাতালে এসব ওষুধের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। শুধুমাত্র ইডিসিএল লিমিটেড থেকে সরবরাহকৃত ওষুধ দিয়ে রোগীদের সামাল দেয়া হচ্ছে। এতে ওষুধ না পেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা গরিব-দুস্থ রোগীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সূত্র জানিয়েছেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আবুল কালাম আজাদ গত ৪ জানুয়ারি চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ায় টেন্ডার আহ্বান করতে পারেননি। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অধিক সময়ের প্রয়োজন এবং সুনাম-দুর্নামের প্রশ্ন জড়িত থাকে। তাই অবসরে যাওয়ার আগে কালাম আজাদ টেন্ডার আহ্বান করেননি। তিনি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ হারুন-অর-রশিদের কাছে চার্জ দিয়ে অবসরে যান। এখন ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে, ওই পদে যশোরের সিভিল সার্জন ডাঃ দিলীপ কুমার রায়কে তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তিনি এখনও যোগদান করেননি। আগামী ২০ অথবা ২১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়কের যোগদান করার সম্ভাবনা। এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ হারুন-অর-রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়কের অবসরে যাওয়া এবং নতুন তত্ত্বাবধায়কের যোগদানে বিলম্বের কারণে টেন্ডার আহ্বানে দেরি হচ্ছে। নতুন তত্ত্বাবধায়ক এসে এমএসআর টেন্ডার আহ্বান করবেন। তখন ওষুধ সঙ্কট কেটে যাবে।
×