ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মার্কিন সামরিক কর্মকর্তাদের মন্তব্য

ইরানের হামলার আগে সৈন্যরা সতর্কবার্তা পায়

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ১৫ জানুয়ারি ২০২০

ইরানের হামলার আগে সৈন্যরা সতর্কবার্তা পায়

ইরাকে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ইরানের হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে এক আসন্ন ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা আমেরিকান সৈন্যদের অবহিত করা হয়েছিল। হামলার কয়েকদিন পর মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা সোমবার একথা বলেছেন। ওই হামলায় দীর্ঘদিনের দুই বৈরী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। -এপি মার্কিন লেফটেন্যান্ট এ্যান্টোইনেট চেস ৭ জানুয়ারি রাত ১১টায় ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে আইন আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে আমেরিকান সৈন্যদের সতর্ক অবস্থানে যাওয়ার নির্দেশ দেন। ঘাঁটিতে জরুরী সাড়া দেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত তার টিমকে হুমকির ব্যাপারে সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেয়ার পর সামরিক কোন পদক্ষেপ গ্রহণ বন্ধ রাখা হয়। তিনি রাত সাড়ে এগারোটায় সৈন্যদের বাংকারে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয় ৮ জানুয়ারি রাত ১টা ৩৫ মিনিটের পর কোন এক সময়ে এবং হামলা প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে। হামলার মাঝামাঝি সময়ে চেস জানতে পান, এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরান থেকে চালানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, হামলায় কোন আমেরিকান সৈন্য নিহত বা আহত হয়নি যদিও কয়েকজন সৈন্য বিস্ফোরণের শব্দে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলে এবং এদের চিকিৎসা দেয়া হয়। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা হচ্ছে, বলেছেন ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন জোটের মুখপাত্র কর্নেল মাইলেস ক্যাগিনস। তিনি এ ঘাঁটিতে রিপোর্টারদের বলেন, আমরা রাত সাড়ে এগারোটায় সৈন্যদের কেন সতর্ক অবস্থায় পাঠিয়েছিলাম এর কারণ, ওই সময় যেসব ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল তাতে বোঝা গেছে, কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে এবং তা হবে এক অত্যন্ত অশুভ দৃশ্যপট। আমাদের বলা হলো, সম্ভবত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে যাচ্ছে। আমাদের এরকমটাই অবহিত করা হয়েছে। বাগদাদ বিমান বন্দরের কাছে ৩ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানী জেনারেল কাশেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ইরান ওই হামলা চালায়। এপির এক ক্রু আইন আল আসাদ ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে দেখেছেন, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে সৃষ্ট বেশ কিছু গর্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত সামরিক যান। ফর্কলিফট ইট-পাথরের টুকরোও ধ্বংসাবশেষ ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য ট্রাকে উঠাচ্ছে। স্থানটি একটি স্টেডিয়ামের সমান। মার্কিন সৈন্যরা হামলায় বিধ্বস্ত পোর্টএবল গৃহায়ন ইউনিটগুলো পরিদর্শন করছেন। পশ্চিমাঞ্চলীয় আনবার প্রদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কমপ্লেক্সগুলোর অবস্থান। এখানে মার্কিন সামরিক বাহিনী ও জঙ্গী গ্রুপ আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের প্রায় ১ হাজার ৫শ’ সদস্যের বাস।
×