ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চলচ্চিত্রের উন্নয়নে মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ১৪ জানুয়ারি ২০২০

চলচ্চিত্রের উন্নয়নে মতবিনিময় সভা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে খরা যাচ্ছে এটা সবার জানা। চলচ্চিত্রের ক্রান্তিকাল উত্তরণে এক মতবিনিময় সভা সম্প্রতি বিএফডিসির প্রযোজক পরিবেশক সমিতি কক্ষে অনুষ্ঠিত। প্রযোজক পরিবেশক সমিতি আয়োজিত এ সভায় সবাই মত দেন চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি ঘুরে দাঁড়াতে পারলে ঢালিউডের পরিস্থিতি বদলে যাবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ও দেশবরেণ্য গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, চিত্রনায়ক ও সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুক, চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য কবরী, প্রযোজক অভিনেতা ও নির্মাতা আলমগীর, ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব খান, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, মহাসচিব বদিউল আলম খোকন, পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান, অপূর্ব রানা, চিত্রগ্রাহক সংস্থার সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম, প্রযোজক এজে রানা, ইস্পাহানী আরিফ জাহান, এমডি ইকবালসহ আরও অনেকে। রবিবার সকালে মতবিনিময় এই সভার বিষয়ে ফেসবুকে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু একটি পোস্টে বলেন , বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতিসহ চলচ্চিত্রের সকল সংগঠন মিলে চলচ্চিত্র নির্মাণের ব্যয় কমানোর লক্ষে যে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে সে বিষয়ে চলচ্চিত্রের অভিভাবকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলচ্চিত্রের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও আঠারোটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন এই মতবিনিময় সভায়। আমরা যে নীতিমালা প্রণয়ন করেছি তার স্বপক্ষে তারা তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা যে নীতিমালা প্রণয়ন করেছি তার স্বপক্ষে উপস্থিত সকলে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে বর্তমান সময়ের চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান এই নীতিমালা মেনে কাজ করছেন এবং সামনেও এই নীতিমালা মেনে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা এজন্য তাকে অভিনন্দন জানাই। তবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কেউ সভাতে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের সঙ্গে সামনে এ বিষয়ে কথা বলব আমরা। তাদের এ বিষয়ে কয়েকবার চিঠিও দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, গতবছরের অক্টোবর মাসে চলচ্চিত্র নির্মাণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি প্রোডাকশনের অতিরিক্ত খরচ কমানোর জন্য শিল্পী, কলাকুশলী ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি ও চিত্রগ্রাহক সমিতিসহ অন্যান্য সমিতির নেতৃবৃন্দ। চলচ্চিত্র নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা ও অনিয়ম চিহ্নিত করা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি একটি আহ্বায়ক কমিটিও গঠন করা হয়েছে। নীতিমালার মধ্যে রয়েছে-সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শূটিং সময় নির্ধারণ, কোন শিল্পী অথবা কলাকুশলী যদি সময় মত না আসেন, তার জন্য সময় মতো শূটিং যদি শুরু করতে দেরি হয়, তার দায় বা ক্ষতিপূরণ তাকেই বহন করতে হবে। সেই সঙ্গে শিল্পী ও কুশলীদের প্রযোজকের সঙ্গে অবশ্যই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রথম কিস্তিতে ২৫ ভাগ, এরপর কাজের অগ্রগতির ভিত্তিতে ৭৫ ভাগ অর্থাৎ তিন কিস্তিতে পরিশোধ করার কথা উল্লেখ থাকবে। একইসঙ্গে এক লাখ টাকার ওপর যাদের সম্মানী, তারা যাতায়াত খরচ পাবেন না। এছাড়া আউটডোরে অবস্থান করার সময় সহকারী পরিচালক ও সহকারী চিত্রগ্রাহকরা যাতায়াতের অর্ধেক হাত খরচ বাবদ পাবেন। এছাড়া পোশাক তৈরির জন্য কোনো শিল্পী টাকা পাবেন না। গল্প অনুযায়ী শিল্পীকে প্রোডাকশন হাউস থেকে পোশাক তৈরি করে দেয়া হবে। প্রমোশনের জন্য প্রধান শিল্পীদের চলচ্চিত্র মুক্তির আগে পাঁচ দিন সিডিউল দেয়াসহ আরও কিছু বিষয় থাকছে নীতিমালায়। এইসব নীতিমালা যথাযথভাবে পালন হচ্ছে কি-না তার জন্য একটি মনিটরিং কমিটিও থাকছে।
×