ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

২৭ বছর পূর্তিতে ‘দেশ অপেরা পদক-২০২০’ পেলেন তিন গুণী

জ্যোৎস্না বিশ্বাস-মিলন কান্তি দে’র যাত্রা সংলাপে মুগ্ধ দর্শক শ্রোতা

প্রকাশিত: ০৯:৩৭, ১৪ জানুয়ারি ২০২০

জ্যোৎস্না বিশ্বাস-মিলন কান্তি দে’র যাত্রা সংলাপে মুগ্ধ দর্শক শ্রোতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে বাংলাদেশের বরেণ্য দুই গুণী যাত্রা ব্যক্তিত্ব জ্যোৎস্না বিশ্বাস ও মিলন কান্তি দে’র যাত্রা বিষয় কথপোকথন ‘যাত্রা সংলাপ’ অনুষ্ঠানে মুগ্ধ হলো উপস্থিত দর্শক-শ্রোতা। ‘যাত্রা সংলাপ’ অনুষ্ঠানে যাত্রাশিল্পের সেকাল একালের অনেক ঘটনাপঞ্জি, ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ, বিভিন্ন সময়ের রাজনৈতিক পটভূমি তারা সুন্দর সহজ ও গল্পচ্ছলে তুলে ধরেন। যাত্রা বিষয়ক স্মৃতিচারণের পাশাপাশি এই দুই খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব তাদের অভিনীত এবং প্রযোজিত জনপ্রিয় যাত্রাপালার শ্রুতিমধুর সংলাপও শোনান। বাংলাদেশে যাত্রা বিষয়ক এই ধরনের অনুষ্ঠান এটাই প্রথম। অনুষ্ঠানটি প্রাণ ভরে উপভোগ করেন শ্রোতা দর্শকরা। বরেণ্য এই দুই যাত্রা ব্যক্তিত্বের কথোপকথনে উঠে আসে ৬০ এর দশক থেকে বাংলাদেশের যাত্রাশিল্পের নানা ইতিহাস। তাদের রসালাপমূলক স্মৃতিচারণ এবং মধুর যাত্রা সংলাপে দর্শকরা কখনও হেসে ওঠেন, কখনও আবেগাপ্লুত হয়েছেন আবার কখনও তুমুল করতালির মাধ্যমে এই দুই খ্যাতিমান যাত্রাশিল্পীকে সাধুবাদ জানান। ‘যাত্রা : বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ কবি শামসুর রাহমানের এই বাণীকে ধারণ করে গত শনিবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে সন্ধ্যা ৬টায় ‘যাত্রা সংলাপ’ ও ‘দেশ অপেরা পদক-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে মনোনীত তিন গুণীজনের হাতে ‘দেশ অপেরা পদক-২০২০’ পদক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বরেণ্য নাট্যজন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান। তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার রফিকুল হক দাদুভাই। সভাপতিত্ব করেন স্বনামধন্য যাত্রাভিনেত্রী জ্যোৎ¯œা বিশ্বাস। এবার ‘দেশ অপেরা পদক-২০২০’ পেয়েছেন কবি-প্রাবন্ধিক-গবেষক-পালাকার ড. আমিনুর রহমান সুলতান, কবি-আবৃত্তিকার-যাত্রানট ভিপি বেলায়েত এবং সাংবাদিক-সাংস্কৃতিক সংগঠক সাজু আহমেদ। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় প্রবীণ যাত্রাশিল্পী জ্যোৎস্না বিশ্বাসের সঙ্গে যাত্রাব্যক্তিত্ব মিলন কান্তি দের ৫০ বছরের অভিনয় জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথোপকথন ‘যাত্রা সংলাপ’। প্রসঙ্গত, দেশের একটি ব্যতিক্রমধর্মী যাত্রা প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাত দেশ অপেরা ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জন্মলগ্ন থেকে দলটি সাহিত্য ও গবেষণাধর্মী পালা প্রযোজনা, সেমিনারের আয়োজন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মীদের সমন্বয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ইত্যাদি কর্মসূচীর মাধ্যমে দেশ অপেরা যাত্রাভিনয়ের একটি সুস্থ ধারা নির্মাণে সচেষ্ট রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিষ্ঠিত কবি-সাহিত্যিক ও যাত্রা, নাটক, সাংবাদিকতায় অবদান রেখেছেন- এমন উদীয়মান তরুণ প্রতিভাকে দেশ অপেরা পদক প্রদান করা হচ্ছে।
×