ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালের দুই লঞ্চের সংঘর্ষে মা-ছেলে নিহত ॥ আহত ২০

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ১৪ জানুয়ারি ২০২০

বরিশালের দুই লঞ্চের সংঘর্ষে মা-ছেলে নিহত ॥  আহত ২০

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ মেঘনা নদীতে ঘনকুয়াশার কারণে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের সংঘর্ষে মা ও ছেলে নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভা-ারিকাঠী গ্রামের রুবেল হোসেনের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন (২৭) ও তার পুত্র মোমিন (৬)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন। সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা সরকার মিঠু। এর আগে রবিবার রাত পৌনে একটার দিকে কীর্তনখোলা-১০ ও এমভি ফারহান-৯ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চটি বরিশাল নদীবন্দর থেকে রাত নয়টার দিকে সাতশ’ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে এবং পিরোজপুরের হুলারহাট থেকে ফারহান-৯ লঞ্চটিও ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। লঞ্চ দুটি বরিশালের হিজলা উপজেলা সংলগ্ন মেঘনা নদীর মাঝেরচর এলাকায় পৌঁছলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঢাকা সদরঘাট নৌ থানার ওসি রেজাউল করিম ভূঁইয়া যাত্রীদের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, কীর্তনখোলা-১০ চাঁদপুরের কাছাকাছি এসে ঘনকুয়াশার মধ্যে চরে আটকে যায়। এ সময় ফারহান-৯ লঞ্চটি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মাঝামাঝি জায়গায় গিয়ে স্বজোরে ধাক্কা খায়। কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানির কাউন্টার ব্যবস্থাপক মোঃ ঝন্টু জানান, এমভি ফারহান-৯ এর ধাক্কায় কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের নিচতলা ও দোতলার অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাটি মাঝনদীতে ঘটেছে। কীর্তনখোলা লঞ্চের ব্যবস্থাপক বেল্লাল হোসেন অভিযোগ করেন, ফারহান-৯ লঞ্চে কোন আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকার কারণেই ঘণকুয়াশার মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের উপরিভাগের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তলা ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ায় হতাহতদের নিয়ে লঞ্চটিকে নিয়ে চাঁদপুর হয়ে সোমবার সকাল নয়টার দিকে ঢাকার সদরঘাটে পৌঁছেছে। চাঁদপুর নৌ-পুলিশের ওসি আবু তাহের জানান, লঞ্চটি চাঁদপুরের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার পর গুরুতর আহতদের চাঁদপুর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা মাহমুদা খাতুন ও তার পুত্র মোমিনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপর গুরুতর আহত নুরজাহান বেগমকে (২২) সোমবার সকালে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ও আইফুলা বেগম (৬৫) ও হযরত আলীকে (৭০) চাঁদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মিাস্টার ও সুকানি আটক ॥ সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পিরোজপুর সদর থানার ওসি নুরুল ইসলাম বাদল জানান, ফারফান-৯ লঞ্চের মাস্টার (দ্বিতীয় শ্রেণী মর্যাদার) আফতাব হোসেন ও সুকানি আব্দুল হামিদকে পিরোজপুর সদর থানাধীন এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
×