ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কামরাঙ্গীরচরের কিশোরী ধর্ষণ মামলায় চার আসামির স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ০৯:৫৯, ১৩ জানুয়ারি ২০২০

কামরাঙ্গীরচরের কিশোরী ধর্ষণ মামলায় চার আসামির স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেফতারকৃত মূল হোতা রনিসহ চার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। এদিকে রবিবার ধর্ষণের মূল হোতা রনি আদালতে স্বীকারোক্তি জবানবন্দী দিয়েছে। ধর্ষিতার বান্ধবী এক কিশোরীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নিবন্ধন কর্মকর্তা জানান, রবিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সিকদার মহিতুল আলম রনিকে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিকে হাজির করেন। আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার জন্য আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমান আসামি রনির জবানবন্দী রেকর্ড করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। শুক্রবার রাত আড়াইটায় সাভার এলাকা থেকে রনিকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১০। অপরদিকে ওই কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত অপর তিন আসামিকে শনিবার বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিল্লাত হোসেন তাদের জবানবন্দী গ্রহণ করেন। স্বীকারোক্তি দেয়া অপর তিন আসামি হচ্ছে হাসান, সিফাত ও সবুজ। জবানবন্দীতে তারা বলে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে তার এক বান্ধবী পূর্ব রসুলপুর ৪ নম্বর গলির বাসার কাছে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে ডেকে নিয়ে যায়। তখন আগে থেকে সেখানে অবস্থান নেয়া পাঁচ বন্ধু মিলে তাকে ধরে নির্মাণাধীন ভবনের দোতলায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এছাড়া শনিবার গ্রেফতারকৃত রনিকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ধর্ষিতার বান্ধবী এক কিশোরীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একই সময় ধর্ষকের অন্যতম গ্রেফতারকৃত রনিকে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এ সময় ধর্ষিতার এক বান্ধবীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে কামরাঙ্গীরচরের পূর্ব রসুলপুর ৪ নম্বরে একটি নির্মাণাধীন ভবনে ধরে নিয়ে ১৩ বছরের মেয়েটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পাঁচ বন্ধু। ধর্ষণে জড়িত সবার বয়স ১৮ বছর। মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার এক বান্ধবীর মাধ্যমে খবর পেয়ে স্বজনরা উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেন। শুক্রবার দুপুরে মেয়েটির মা কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা দায়ের করার পর দুপুরেই হাসান, সিফাত, সবুজ ও রনি এবং ধর্ষিতার সমবয়সী ওই বান্ধবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার পরদিন শনিবার সকালে ওই মামলার একমাত্র পলাতক আসামি রতনকে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এদিকে রবিবার ওসিসি থেকে ধর্ষিত ওই কিশোরীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ঢামেক ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়।
×