নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ১১ জানুয়ারি ॥ রাজৈর উপজেলার উত্তর হোসেনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত জুলফিকার খালাশী (৫০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। সে একই এলাকার রজবআলী খালাশীর ছেলে। একই ঘটনায় মারাত্মক আহত বাবুল মুন্সী শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। সে একই গ্রামের মজিত মুন্সীর ছেলে। এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি কহিনুর খালাশী আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সুবিধাবাদী স্বার্থান্বেষী মহল এলাকার বাড়িঘরে লুটপাট চালিয়ে মালামাল নিয়ে যায়। পাশাপাশি হামলাকারী পক্ষের লোকজনও নিজেদের মালামাল সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শনিবার সকালে খুনীদের ফাঁসির দাবিতে এলাকার নারী, পুরুষ ও শিশুরা বিক্ষোভ মিছিল করে। গ্রেফতার এড়াতে হামলাকারীরা ঘরে তালা মেরে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, রাজৈর উপজেলার উত্তর হোসেনপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে দুই পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে দেলোয়ার মেম্বারের পক্ষের কয়েক যুবক মিলে এলাকার জঙ্গল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করার নাম করে দা, কাচি ও ছ্যান নিয়ে বের হয়। কিন্তু এ ঘটনা দেখে প্রতিপক্ষ জুলফিকার খালাশীর লোকজন ওই যুবকরা তাদের উপর হামলা করতে এসেছে মনে করে যুবকদের পরিছন্নতা কাজে বাঁধা দেয় এবং বাগ্বিত-া ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া হয়।
শুক্রবার ফজরের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেলোয়ার মেম্বরের লোকজন বাবুল মুন্সী উপর অতর্কিত হামলা করে এবং কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে ফেলে রেখে হামলাকারীরা মসজিদ পার্শ্ববর্তী প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালায় এবং সেখানেও জুলফিকার খালাশী, কহিনুর খালাশী, সজিব মুন্সীসহ ৬/৭ জন কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
এছাড়াও লাঠিসোটার আঘাতে আরও প্রায় ১৫ জন আহত হয়।