ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অভয়নগরে বাড়িতে ঢুকে ছাত্রীকে গণধর্ষণ

প্রকাশিত: ০৯:০৫, ১২ জানুয়ারি ২০২০

অভয়নগরে বাড়িতে ঢুকে ছাত্রীকে গণধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ অভয়নগরে সপ্তম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার সময় উপজেলার উত্তর দেয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে অভয়নগর উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। ছাত্রীর মা জানান, শুক্রবার দুপুরে আমি পাশের বাড়িতে কাজে গিয়েছিলাম। আমার স্বামীও বাড়িতে ছিল না। বাড়িতে শুধু আমার মেয়েই ছিল। আমি সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে এসে দেখি আমার মেয়ে বাড়ির উঠানে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। এ অবস্থা দেখে আমি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার জ্ঞান ফিরলে ওই ছাত্রী জানায়, সে বারান্দায় বসেছিল। এ সময় একই এলাকার হাফিজ খানের ছেলে রিয়াজ খান (২০) ও তার সঙ্গে আরও দু’জন মোটরসাইকেলে এসে বাবা-মা কোথায় জানতে চায়। বাবা-মা বাড়িতে নেই, বলামাত্রই জোরপূর্বক ঘরের মধ্যে নিয়ে দুই হাত ধরে রেখে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাফরিয়া রহমান হিয়া জানান, সে (ধর্ষিতা) আমাকে জানিয়েছে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি করা হয়েছে। আলামত নষ্ট হতে পারে তাই তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানান, আমি খবর পেয়ে দ্রুত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে তার অবস্থা দেখেছি। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুতই গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। ওই তিন জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। রূপগঞ্জ নিজস্ব সংবাদদাতা রূপগঞ্জ থেকে জানান, রূপগঞ্জে নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে দুই দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তারাব পৌরসভার গন্ধর্বপুর এলাকায়। ধর্ষিতার পিতার অভিযোগ থেকে জানা যায়, তার মেয়ে গন্ধর্বপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। গত কয়েকদিন আগে গন্ধর্বপুর এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে তৌসিব তার মেয়ের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে গন্ধর্বপুর স্ট্যান্ডে তার মেয়ের ধারের টাকা ফেরত আনতে যায়। পরে টাকা ফেরত নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তৌসিব, রূপসী এলাকার তানভীর ও সোহাগ এবং কর্নগোপ এলাকার আফজাল তার মেয়েকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে রূপসী এলাকার একটি বাড়িতে ও কর্নগোপ এলাকার একটি বাড়িতে তারা দুই দিন আটকে রেখে ১৫ বন্ধু মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক এলাকায় ধর্ষিতাকে ফেলে রেখে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তার পরিবারের লোকজন তাকে মৌচাক থেকে তাকে উদ্ধার করে। বরিশালে ধর্ষক গ্রেফতার স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, বাবুগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামের এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণে সহায়তাকারী সুমনকে শুক্রবার দিবাগত রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষক রিমনকে গ্রেফতারের জন্য পুলিশের বিশেষ একটি টিম অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ ঘটনায় শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার শিশুর দিনমজুর বাবা বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ জানায়, শিশুর বাড়ির প্রতিবেশী নোমান মাস্টারের ঘরে থেকে রিমন ও সুমন পড়াশোনা করত। গ্রেফতারকৃত সুমন এসএসসি পরীক্ষার্থী ও ধর্ষক রিমন নবম শ্রেণীর ছাত্র। শুক্রবার বিকেলে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শিশুকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে রিমন ঘরে ডেকে নেয়। এর পর সুমনের সহযোগিতায় রিমন শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
×