ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ১২:৪৬, ১১ জানুয়ারি ২০২০

ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়া নিয়ে টান টান উত্তেজনার আবহেই ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। সে আদেশের অনুলিপি হোয়াইট হাউস শুক্রবার প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন। এতে বিশ্বে সন্ত্রাসের বড় ধরনের মদদদাতা, সামরিক শক্তি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি ও সেনাদের হুমকির মুখে ফেলাসহ ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তাকারী দেশ হিসাবে ইরানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাখতে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভ মনুচিন বলেছেন, ইরানের বিভিন্ন শিল্প নতুন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে। এর মধ্যে আছে নির্মাণ শিল্পসহ, শিল্প উৎপাদন, বস্ত্র, খনি, ইস্পাত ও লোহা শিল্প। বিশ্বে ইরানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করাই এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য। অন্যান্য আরো কিছু নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বেন ইরানের ৮ উর্ধতন কর্মকর্তা। ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এই কর্মকর্তারা এ সপ্তাহে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জড়িত ছিলেন। সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করুন -বাগদাদ ইরাকের মাটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাগদাদ। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানী জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার পর ইরাকী পার্লামেন্টে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস হয়। ঘটনার ৫ দিনের মাথায় সে দেশের প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল-মাহদি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে লেখা চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রকে সেনা প্রত্যাহার শুরুর পরিকল্পনা নিতে বলেছেন। খবর ওয়েবসাইটের। ৩ জানুয়ারি বাগদাদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের অভিজাত কুদস বাহিনীর প্রধান কাশেম সোলাইমানিসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়। এর দুইদিনের মাথায় ৫ জানুয়ারি ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার চেয়ে বিল পাস করে দেশটির পার্লামেন্ট। শুক্রবারের বিবৃতিতে ইরাকী প্রধানমন্ত্রী মাহদি বলেছেন, তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। সে সময় তিনি ‘ইরাকের পার্লামেন্টের রায় অনুযায়ী মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার প্রক্রিয়া শুরু করতে মার্কিন প্রতিনিধিদের বাগদাদে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন’। মাহদি অভিযোগ করেন, দুই দেশের মধ্যকার চুক্তি লঙ্ঘন করে ইরাকের যেখানে-সেখানে মার্কিন সেনারা অবস্থান নেয় এবং কর্তৃপক্ষীয় অনুমতি ছাড়াই ড্রোন হামলা চালায়।
×