ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইসিকে কাদেরের প্রশ্ন

ফখরুল পারেন জনসভা করতে, আমি পারি না- এটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড?

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ১১ জানুয়ারি ২০২০

  ফখরুল পারেন জনসভা করতে, আমি পারি না- এটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড?

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রচারে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ত্রিপুরা ও কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীও প্রচারে অংশ নেন। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেয়ার সুযোগ পান। সেখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কোন প্রশ্ন উঠছে না, আইন লঙ্ঘন হয় না। বাংলাদেশে কেন লঙ্ঘন হবে? সে প্রশ্নের জবাব আমরা আজও খুঁজে পাইনি। শুক্রবার রাজধানীর এলেনবাড়িতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক ভবনের আধুনিকরণ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন বলছে, নির্বাচিত সাংসদ ও মন্ত্রীরা প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। বিএনপি নেতারা বলছেন, এমপি-মন্ত্রীদের কোন অবস্থাতেই প্রচারে অংশ নিতে দেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বারবার দাবি জানানো হচ্ছে সবাইকে প্রচারে সুযোগ দেয়ার জন্য। এ নিয়ে চলছে নানা যুক্তি তর্ক-বিতর্ক। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি আপনাদের বিবেকের কাছেই প্রশ্ন রাখছি। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড কাকে বলে? আজকে বিএনপি মহাসচিব প্রকাশ্যে জনসভা করতে পারবেন, নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন, গণসংযোগ করতে পারবেন। অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেটা করতে পারবেন না। আজকে মওদুদ সাহেব, খন্দকার মোশাররফ সাহেব প্রচারে অংশ নিতে পারবেন, কিন্তু আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ তারা এমপি সে কারণে তারা পারবেন না। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সেটা কি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলো? আমি এটা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চাই, এটা কেমন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড? এখানে ফিল্ডে মির্জা ফখরুল আছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেই। এই বিষয়টার আমি কোন সুরাহা খুঁজে পাচ্ছি না। তিনি বলেন, আমি তারপরও বলব, নির্বাচন কমিশনের যে আচরণবিধি তা আমরা পালন করব। আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমি আচরণবিধি মন্ত্রী-এমপি হিসেবে মেনে চলছি। কাদের বলেন, আচরণবিধি যেহেতু হয়েই গেছে, এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে বিতর্ক আছে, যেটা আমি বললাম। তারপরও যেটা হয়ে গেছে সেটা মানতে হবে। এখানে মন্ত্রী-এমপিদের বিধি-নিষেধ আছে, যেহেতু আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে, তাহলে দলীয়ভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের আমরা নির্দেশ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনভাবে যেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করা না হয়। সড়কের ক্ষতি কমাতে ২৮ লোড কন্ট্রোল স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, একনেকে ২৮ লোড কন্ট্রোল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভারি পরিবহন সড়ক নষ্ট করে দিচ্ছে। ক্ষতি থেকে সড়কগুলো রক্ষা করতে হলে আমাদের প্রয়োজন লোড কন্ট্রোল স্থাপন ব্যবস্থা কার্যকর করা। দ্রুতই এটা স্থাপন করা হবে। আমাদের চ্যালেঞ্জ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা একথা উল্লেখ করে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, এটা শুধু বলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, মানুষ বাস্তবায়ন দেখতে চায়। এজন্য সকলের আরও আন্তরিক হয়ে কাজ করে যেতে হবে। তিন চাকার যান যাতে মহাসড়কে না চলতে পারে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
×