ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাল আখেরি মোনাজাত

বিশ্ব এজতেমার প্রথম দিনে লাখো মুসল্লির জুমা আদায়

প্রকাশিত: ১০:৪১, ১১ জানুয়ারি ২০২০

  বিশ্ব এজতেমার প্রথম দিনে লাখো মুসল্লির জুমা আদায়

মোস্তাফিজুর রহমান টিটু/ নুরুল ইসলাম, টঙ্গী থেকে ॥ কনকনে শীত আর নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থায় টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে শুক্রবার বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে তবলীগ জামাতের ৫৫তম বিশ্ব এজতেমা। এবারের বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্বে মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী আলেম-ওলামা কওমিপন্থী তবলীগের লাখ লাখ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী প্রথম ধাপের এজতেমা। প্রথমপর্বের পর আগামী ১৭ জানুয়ারি হতে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব এজতেমা। দ্বিতীয় ধাপের এজতেমায় মাওলানা সা’দ কান্ধলভী অনুসারী ওয়াসেকুল ইসলামের তবলীগ অনুসারীরা অংশ নেবেন। বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষে টঙ্গীতে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। প্রথমপর্বে এজতেমা ময়দান পূর্ণ হওয়ায় মুসল্লিরা ময়দান পার্শ্ববর্তী কামারপাড়া রোড, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ফুটপাথ এবং আশপাশের খালি জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন। এবারের বিশ্ব এজতেমায় যোগ দিতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি নানা বিড়ম্বনা উপেক্ষা করে শুক্রবার টঙ্গীর এজতেমা ময়দানে ছুটে আসেন। এদিন জুমাবার হওয়ায় সকাল থেকেই টঙ্গী ও আশপাশ এলাকার লাখো মুসল্লির ঢল নামে টঙ্গীর তুরাগ তীরে। এজতেমা মাঠে জুমার নামাজে অংশ নিতে এজতেমায় যোগদানকারী মুসল্লি ছাড়াও অনেক মুসল্লি আগেই এজতেমাস্থলে এসেছেন। নামাজের আগেই ইজতেমার পুরো প্যান্ডেল ও ময়দান কানায় কানায় ভরে যায়। প্যান্ডেলের নিচে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা অবস্থান নেন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশপাশের সড়ক, গলি ও ফুটপাথগুলোর ওপর। এজতেমা ময়দান এবং এর আশপাশ এলাকায় যতদূর দৃষ্টি যায় শুধু পাঞ্জাবি আর টুপিপরা মানুষ আর মানুষ। এজতেমার এ পর্বে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা জামাতবদ্ধ হয়ে দলে দলে কনকনে শীত, কুয়াশা আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, পিকআপ, ট্রেন, লঞ্চ ইত্যাদি যানবাহনে করে গত মঙ্গলবার থেকে ময়দানে এসেছেন। আখেরি মোনাজাতের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত মুসল্লিদের এ ঢল অব্যাহত থাকে। মুসল্লিদের আসা এখনও অব্যাহত রয়েছে। আগত দেশ-বিদেশের মুসল্লিদের পদচারণায় শিল্পশহর টঙ্গী এখন যেন ধর্মীয় নগরীতে পরিণত হয়েছে। শুক্রবার প্রথম দিনে বাদ ফজর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব এজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার বাদ আছর থেকে জোবায়ের অনুসারীদের বিশ^ এজতেমার বয়ান শুরু হয়েছে। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব এজতেমা শেষ হবে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লির উদ্দেশে যথারীতি তবলিগের ৬ উসুল অর্থাৎ কালেমা, নামাজ, এলেম ও জিকির, একরামুল মুসলিমিন, সহীহ নিয়ত ও তবলিগ ইত্যাদি বিষয়ে আমবয়ানের মাধ্যমে এজতেমার প্রথম পর্বের তিনদিনের কার্যক্রম শুরু হয়। এজতেমা ময়দানের মুরব্বি প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ান বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ জোবায়ের। এবারের প্রথমপর্বের এজতেমার প্রথমদিনে এজতেমায় আগত মুসল্লিরা ছাড়াও গাজীপুর ও আশপাশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এজতেমার আনুষ্ঠানিকতা বিশ্ব এজতেমার আয়োজক কমিটির মুরব্বি প্রকৌশলী মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, শুক্রবার বাদ ফজর থেকে উর্দুতে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব এজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খুরশীদ আমবয়ান করেন। আর বাংলাদেশের মাওলানা মোঃ আব্দুল মতিন তা বাংলায় তরজমা করেন। ইজতেমাস্থলের বয়ান মঞ্চ থেকে মূল বয়ান উর্দুতে হলেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় ২৪টি ভাষায় তা তরজমা করা হয়। পরে তবলিগ মারকাজের শূরা সদস্য ও বুজুর্গরা ইমান, আমল ও দাওয়াতের মেহনত স¤পর্কে ফজিলতপূর্ণ সারগর্ভ বয়ান করেন। মূল বয়ান উর্দুতে হলেও বাংলা, ইংরেজী, আরবী, তামিল, মালয়, তুর্কী ও ফার্সিসহ বিভিন্ন ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ করা হয়। আয়োজকরা বলেছেন, বিশ্ব এজতেমার কর্মসূচীর মধ্যে আম ও খাস বয়ান, তালিম, তাশকিল, ৬ উসুলের হাকিকত, দরসে কোরান, দরসে হাদিস, চিল্লায় নাম লেখানোসহ নতুন জামাত তৈরি হবে। তবে এ বছরও যৌতুকবিহীন বিয়ে হবে না। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব এজতেমার প্রথমপর্ব। মোনাজাত শেষে মাওলানা জোবায়ের অনুসারীগণ ময়দান ছেড়ে চলে গেলে মাওলানা সা’দ অনুসারীদের পরিচালনায় ১৭ জানুয়ারি হতে দ্বিতীয় পর্বের এজতেমা ফের শুরু হবে। ১৯ জানুয়ারি মাওলানা সা’দ পন্থীদের আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এ পর্বের বিশ^ এজতেমা। যারা বয়ান করলেন শুক্রবার বাদ ফজর থেকে উর্দুতে আমবয়ান করেন শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খুরশীদ, দুপুরে জুমা নামাজের পর শেখ মোহাম্মদ ইউসুফ, বাদ আছর পাকিস্তানের মাওলানা ইহসান বয়ান করবেন। এছাড়া মাওলানা সা’দ বিরোধী হিসেবে পরিচিত তবলিগের একটি অংশ মাওলানা আহম্মেদ লা’টসহ তার সফরসঙ্গীরা ইতোমধ্যে এজতেমা মাঠে এসে পৌঁছেছেন। তিনি বাদ মাগরিব এজতেমা ময়দানে বয়ানও করেছেন। জুমার নামাজে ভিআইপিদের অংশগ্রহণ শুক্রবার জুমার নামাজের ইমামতি করেন বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম হযরত মাওলানা জোবায়ের। এদিন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট আকম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ও গাজীপুর মেট্রো পুলিশ কমিশনার মোঃ আনোয়ার হোসেন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আজম উল্লাহ খানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এজতেমা ময়দানে জুমার নামাজে শরিক হন। বিদেশী মুসল্লি পুলিশের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, এজতেমার পর্বের প্রথম দিন আমেরিকা, সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, লেবানন, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, আফ্রিকা, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের ৫১টি দেশের প্রায় এক হাজার ৬শ’র বেশি মুসল্লি দুপুর পর্যন্ত অংশ নিয়েছেন। আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু বিশ্ব এজতেমায় যোগ দেয়া আরও তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন- সিরাজগঞ্জের খোকা মিয়া (৬০), চট্টগ্রামের মোহাম্মদ আলী (৭০) এবং নওগাঁর শহীদুল ইসলাম (৫৫)। এদের মধ্যে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে খোকা মিয়া ও মোহাম্মদ আলী এবং শুক্রবার সকালে শহীদুল ইসলাম মারা গেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ার ইয়াকুব শিকদার (৮৫) নামের এক মুসল্লি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। কন্ট্রোল রুম বিশ্ব এজতেমা ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা ও মুসল্লিদের খেদমতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন, র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), বাংলাদেশ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, ঢাকা বিদ্যুত বিতরণ কেন্দ্রের (ডেসকো) পক্ষ থেকে আলাদাভাবে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এজতেমার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বিশ্ব এজতেমা উপলক্ষে টঙ্গীতে আইনশৃঙ্খলা জোরদার করা হয়েছে। শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ৫সেক্টরে ভাগ করে ৫স্তরের নিরাপত্তার লক্ষ্যে এজতেমার ময়দানসহ আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রতিটি স্তর বা সেক্টরের দায়িত্ব বণ্টন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই দু’পর্বের এজতেমায় পুলিশ, র‌্যাব, সাদা পোশাকধারী বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ প্রায় ৮ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এজতেমা মাঠের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৪ শতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। ২০টি প্রবেশপথসহ চারপাশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। এছাড়াও থাকছে মেটাল ডিটেক্টর, বাইনোকুলার, নাইটভিশন গগল্স, পুলিশ ও র‌্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, নৌ টহল, হেলিকপ্টার টহল, মুসল্লিদের খিত্তাওয়ারি মোটরসাইকেল টহল ও বিশেষ নিরাপত্তা যন্ত্র আর্চওয়ে। প্রতিটি খিত্তায় বিশেষ টুপি পরিহিত ও সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য অবস্থান করছেন। তারা কোন প্রকার সন্ত্রাসী তৎপরতার ইঙ্গিত পেলে বিশেষ সিগন্যালের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তৎক্ষণিক অবহিত করবেন। এছাড়াও পুলিশের পক্ষ থেকে ১৫টি ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে ১০টি ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন, ১১টি চেক পোস্ট, হেলিকপ্টার ওঠা-নামার জন্য ২টি পয়েন্টে হ্যালিপ্যাড ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য একটি প্রধান কন্ট্রোল রুম ও ৮টি সাবকন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও তারা এজতেমা মাঠসহ আশপাশের কোথায় কি হচ্ছে না হচ্ছে প্রত্যক্ষ করার জন্য ল্যাপটপ ও কম্পিউটারের স্ক্রিনে সর্বক্ষণিক নজর রাখবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন স্থানে বসানো র‌্যাবের ১০টি ও পুলিশের ১৫টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষক দল সর্বক্ষণিক বিশ্ব এজতেমা ময়দানের পর্যবেক্ষণ করবেন। জানা গেছে, প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিশ্ব এজতেমায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের তবলিগ মারকাজের শূরা সদস্য ও বুজর্গরা বয়ান পেশ করবেন। মূল বয়ান উর্দুতে হলেও তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজী, আরবী, তামিল, মালয়, তুর্কী ও ফার্সিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়। বিদেশী মুসল্লিদের জন্য বিশ্ব এজতেমা ময়দানের উত্তর-পশ্চিম পাশে নিবাস তৈরি করা হয়েছে। এজতেমায় বিভিন্ন ভাষাভাষী মুসল্লিরা আলাদা আলাদা স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। তিন দিনব্যাপী বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্ব আগামী ১২ জানুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। পরে চারদিন বিরতি দিয়ে ১৭ জানুয়ারি থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় পর্বের এজতেমা। ওই এজতেমায় মাওলানা সা’দ অনুসারী মুসল্লিগণ অংশ নেবেন। এজতেমার মুরব্বিদের দেয়া তথ্যমতে, ১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে এজতেমার আয়োজন শুরু করা হয়। তারপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে ও ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৯৬৬ সালে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমানস্থলে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে সরকারীভাবে তুরাগ তীরের ১৬০একর জমি স্থায়ীভাবে এজতেমার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০০৯ সাল পর্যন্ত এজতেমা তিন দিন ধরে অনুষ্ঠিত হতো। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মুসল্লিরা এই এজতেমায় অংশ নেন বলে এটি বিশ্ব এজতেমা হিসেবে পরিচিতি পায়। পরে মুসল্লিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১০ সাল থেকে দুই দফায় তিন দিন করে এজতেমার আয়োজন করা হতো। তবলিগের আমির মাওলানা সা’দ কান্ধলভী ও মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীর বিরোধের কারণে গত বছর থেকে দুই পক্ষ আলাদাভাবে এজতেমার আয়োজন করতে শুরু করে।
×