ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

গানে গানে সাধকশিল্পী ও কবি কুটি মনসুরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি

প্রকাশিত: ১০:২৫, ১১ জানুয়ারি ২০২০

 গানে গানে সাধকশিল্পী ও কবি কুটি মনসুরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নানা আয়োজনে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হলো সাধকশিল্পী, গীতিকবি ও সুরকার কুটি মনসুরকে। আলোচনা ও গানে গানে নিবেদিত হলো শিল্পীর প্রতি ভালবাসা। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যশালা মিলনায়তনে যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান সঙ্গীত একাডেমি ও কুটি মনসুর ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাক্তন সচিব মাসুদ আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ণ চন্দ্রশীল। সভাপতিত্ব করেন ওস্তাদ মোমতাজ আলী খান সঙ্গীত একাডেমি ও কুটি মনসুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি রুপু খান। মাসুদ আহমেদ বলেন, কুটি মনসুর ছয় হাজারেরও বেশি গান রচনা করে দেশের লোকসঙ্গীতের ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। সেই বিবেচনায় তার যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। নারায়ণ চন্দ্রশীল বলেন, কুটি মনসুরের গানে দেশ, মাটি ও মানুষের কথা আছে। অনেক কণ্ঠশিল্পী তার গান গেয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন। কুটি মনসুরের মূল্যায়নে সবার আগে তাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। রুপু খান বলেন, লোকসঙ্গীতের সাধনায় জীবন উৎসর্গ করে কুটি মনসুর কি পেয়েছেন। সর্বোপরি এমন সঙ্গীত ব্যক্তিত্বের জাতীয় স্বীকৃতি না পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আলোচনা পর্ব শেষ কুটি মনসুরের গান পরিবেশন করেন ধনু সাত্তার, স্বপ্না রায়, রাজা হাসান, নাসরিন ফেরদৌস চমন, তামান্না নিগার তুলি, ফরিদ আহমেদ, মোঃ ইলিয়াস, সমিরন চক্রবর্তী, শাহনূর আলামিন, এম এ মতিন, শাহাবুদ্দিন অহমেদ দোলন প্রমুখ। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন স্মৃতিশিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা গত ২৯ ডিসেম্বর ছিল শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের জন্মদিন। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন স্মৃতি শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি সংসদ। প্রতিযোগিতায় পৃথক চারটি বিভাগে চারটি বয়স শ্রেণীতে দেড় শতাধিক শিশু শিল্পী অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় প্রতিটি বিভাগে চারজন করে বিজয়ী হয়। বিজয়ীরা হলো ক বিভাগে সাফওয়ান ইসলাম, আয়াত রুশদা আল সাদ, আলি রুশদা আল সাদ ও ঋষিত শীল। খ বিভাগে বিজয়ী হয়েছে অনুভা হালদার, নার্গিস আক্তার, আদিয়া হক ও এস এম নাহিয়ান। গ বিভাগের বিজয়ীরা হলো প্রত্যুষা সরকার, নুসরাত জাহান, রাওহা বিনতে রিয়াদ ও আদিব আহমেদ। ঘ বিভাগে বিজয়ী হয়েছে নুরুল আফতাব, মুনতাকা ইসলাম, সামিরা আক্তার ও এস এম শাহরিয়ার। এছাড়া বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতিযোগিতায় ইসরাক খন্দকার, ফয়সাল মাহমুদ আদর, ও জান্নাতুন নাঈম জয়ী হয়। বিজয়ীদের স্বর্ণপদক, সনদপত্র এবং কাইয়ুম চৌধুরীর নিজ লেখা ও অঙ্কিত এবং কাইয়ুম চৌধুরীর ওপর লেখা বই প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় অতিথি ও বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী, সৈয়দ আবুল বারক আলভী, আব্দুল মান্নান ও মনিরুজ্জামান। অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
×