ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি

জবির প্রথম সমাবর্তন আজ

প্রকাশিত: ১০:১৯, ১১ জানুয়ারি ২০২০

   জবির প্রথম সমাবর্তন  আজ

জবি সংবাদদাতা ॥ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ধূপখোলার মাঠে। সমাবর্তনে ভাষণ দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। আজ সমাবর্তন হলেও গত মঙ্গলবার থেকেই মূলত এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় সমাবর্তন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। সমাবর্তনে আমন্ত্রিত জাতীয় সংসদের স্পীকার, মন্ত্রীরা সংসদ সদস্যরা, সিনিয়র সচিবরা, বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অন্যান্য শিক্ষক, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিদলসহ আমন্ত্রিত অন্য সুধীবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। সমাবর্তন স্থলে আগতদের আমন্ত্রণপত্রটি সঙ্গে আনতে হবে। প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট বা প্রতিষ্ঠানের দেয়া পরিচয়পত্র আনতে হবে। মোবাইল ফোন, হ্যান্ডব্যাগ, ব্রিফকেস, ক্যামেরা, ছাতা ও পানির বোতল বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করা যাবে না। গ্র্যাজুয়েট ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ১নং গেট দিয়ে সমাবর্তন স্থলে প্রবেশ করবেন। তাঁদের জন্য সকাল ১০টায় গেট খোলা হবে এবং তারা বেলা ১১টার মধ্যে অবশ্যই সমাবর্তনস্থলে আসন গ্রহণ করবেন। সমাবর্তন ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও বিএনসিসি, রোভার স্কাউটদের প্রস্তুত করা হয়েছে। এদিকে সমাবর্তন স্থলে শিক্ষার্থীদের প্রবেশের চাপ সামলাতে সকাল ৮টা থেকেই ভেন্যুতে প্রবেশ করতে পারবে আগত গ্র্যাজুয়েটরা। বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শুরু হবে। এদিকে সমাবর্তন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ভবনের রঙের কাজ করা হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো হয়েছে ফুলের গাছ। আর সমাবর্তনের স্থান (ধূপখোলার মাঠ) প্রস্তুত হয়েছে ইতিহাস গড়ার জন্য। যেখানে প্রায় ১৯ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমবেত হবেন। প্রথম সমাবর্তনকে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই বর্তমান শিক্ষার্থীদেরও। তারাও সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে পরিচয় ও আনন্দ ভাগাভাগি করতে অধীর আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সমাবর্তন উপলক্ষে আজ বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের সঙ্গে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বাপ্পা মজুমদার মঞ্চ মাতাবেন। সমাবর্তন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা গেছে। শিক্ষার্থী মোক্তার হোসেন বলেন, ‘প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে সমাবর্তনে অংশ নেয়ার। সমাবর্তনে অংশ নিতে পারছি বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। প্রতি বছর যাতে সমাবর্তন হয়, এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আইন বিভাগ থেকে সমাবর্তনে অংশ নেয়া গ্র্যাজুয়েট হামিদুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছে সমাবর্তনের দিনটি খুবই মূল্যবান। একই সঙ্গে আবেগ, ভালোবাসা এবং সম্মানের। এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতেই বন্ধু-বান্ধব-শিক্ষকদের সঙ্গে প্রিয় কিছু মুহূর্তকে ফ্রেমে বন্দী করে রাখতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল জানান, সমাবর্তন আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সমাবর্তনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে নেয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ), পুলিশ, র‌্যাবসহ গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর রয়েছে। অনুষ্ঠানসূচীর মধ্যে রয়েছে আজ বেলা ১১.৫৫ মিনিটে সমাবর্তন শোভাযাত্রা, দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রপতির আগমন ও জাতীয় সঙ্গীত, দুপুর ১২.০১ মিনিটে সমাবর্তনের উদ্বোধন ঘোষণা ও দুপুর ১.১০ মিনিটে সমাবর্তনের সমাপ্তি ঘোষণা করবেন চ্যান্সেলর। এছাড়াও সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বিকেল ৩টায় নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের নির্দেশনায় ৫টি নাটক ধারাবাহিকভাবে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে মঞ্চায়িত হবে একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নিচতলায় চিত্রপ্রদর্শনী আয়োজন হবে, বিকেল ৪টায় সঙ্গীত বিভাগের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কলা ভবন সংলগ্ন কাঁঠালতলায় এবং বিকেল ৫টায় বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের গানের কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।
×