ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবসরের ভাবনা নেই মাশরাফির

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১১ জানুয়ারি ২০২০

 অবসরের ভাবনা নেই মাশরাফির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা কতদিন আর খেলবেন? টেস্ট খেলেন না। টি২০ থেকে অবসর নিয়েছেন। খেলছেন ওয়ানডে। দলের অধিনায়কও তিনি। কিন্তু পারফর্মেন্স ঠিক আগের জায়গাতে নেই। বয়সটাও তো কম নয়। ৩৭ বছরে পা দিয়েছেন। তাহলে কবে অবসর নেবেন মাশরাফি? শুক্রবার রংপুর রেঞ্জার্সের কাছে হারের পর ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক মাশরাফি যা জানালেন তাতে বোঝা গেল তিনি অবসর নেয়ার চিন্তা-ভাবনায় নেই। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) চাইলে তিনি অবসরের চিন্তা-ভাবনা করবেন। মাশরাফি বলেছেন, ‘অবসরের কথা যেটা বললেন আমার জায়গা থেকে, আপনি বলতে পারেন আমাকে অবসর সবাই করিয়ে দিয়েছে। আমি নিজেও হয়তো বা ঐ জায়গায় অবস্থান করছি। আমি জাস্ট যেটা খেলছি, সেটাকেই এনজয় করছি। মাঠ থেকে অবসর করব, কি করব না, সেটা এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। যদি ওরকম কিছু মনে হয়, ক্রিকেট বোর্ড যদি মনে করে, তাহলে চিন্তা-ভাবনা করব।’ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে খেলতে আসবে জিম্বাবুইয়ে। ওয়ানডে সিরিজ ছিল না। তবে তা রাখা হতে পারে। মাশরাফির অবসর বিবেচনা করেও তা করা হতে পারে। তাহলে কী মাশরাফি ফেব্রুয়ারিতে শেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন? মাশরাফি অবসর নিয়ে আরও জানান, ‘আমি যখন খেলা শুরু করেছিলাম, আমি আবার সেই জায়গাতে ফিরে গিয়েছি। আমি এখন বিপিএল খেলছি। সামনে ঢাকা লীগ এনজয় করব, খেলব। সবসময় জাতীয় দলে খেলতে হবে, জাতীয় দলে খেললেই আপনি প্লেয়ার সে রকম তো না। এখন হয়তো ঐ জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। প্রয়োজন নেই নিজেকে এতো গুরুত্ব দেবার। আমি নিজেকে কখনও এতো গুরুত্ব দিইও না। যে আমাকে মাঠ থেকে বিদায় দিবেন সবাই। ফুলের তোড়া নিয়ে আসবে, গুরুত্বপূর্ণ না। আমি যে রকম আছি ভাল আছি, খুশি আছি। আমি এনজয় করছি খেলা খেলছি। জাতীয় দল অনেক দূরের ব্যাপার।’ নির্বাচকরা সুযোগ দিলে মাশরাফি খেলবেন, নয়তো না; এমনও বলেন তিনি, ‘এখন সিলেকশনের তো একটা ব্যাপার। সত্যি বলতে বিশ্বকাপে ৮ ম্যাচে ১ উইকেট পাবার পর আমার মতে আমি দলে সুযোগ পাব না। এটা তো আসলে সিলেকশনের ব্যাপার। নির্বাচকরা যদি মনে করে আমাকে সুযোগ দিবে আমি আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। এই মুহূর্তে ৮ ম্যাচে ১ উইকেট পেয়ে আমি কিভাবে আপনাদের সামনে বলি যে আমি জাতীয় দলে সুযোগ পাব? আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে তো আরও আগে বাদ পড়তো।’ বিশ্বকাপের পরও শ্রীলঙ্কা সিরিজে মাশরাফিকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খেলতে পারেননি। এ সিরিজ নিয়ে মাশরাফি জানান, ‘শ্রীলঙ্কা সিরিজে ছিলাম, সেখানে হয়তো আমার ব্যাক করার একটা সুযোগ ছিল। শ্রীলঙ্কা সিরিজে সাকিবও ছিল না। সবকিছু মিলে একটা সুযোগ আমার এসেছিল। এরপর তো দেখেন আর কোন খেলার ভিতরে আমি নেই। জানি না সিলেক্টরদের কি চিন্তা-ভাবনা আছে, আমার সঙ্গে আলোচনা হয়নি। এরপর তো আরও প্লেয়ারদের সঙ্গে কথা হয়েছে, আমার সঙ্গে কোন কথা হয়নি। তো একপক্ষ থেকে আমি কিভাবে বলব? খেলোয়াড় হিসেবে যতটুকু চিন্তা করার কথা আমি অতটুকুই করছি। খেলছি, এনজয় করছি। যদি ওয়ানডে আসে, তারা মনে করে আমাকে সুযোগ দেবে তাহলে খেলব। কারণ দিন শেষে ক্রিকেটটাই আমার কাছে সব। আমি সবসময় বলে এসেছি যেখানে যাই, যাই করি; ক্রিকেটটাই আমার কাছে সব। তো ক্রিকেটটা আমি মন দিয়ে খেলি। আর যতদিন খেলব, জাতীয় দল বা অন্য কোথাও মন দিয়েই খেলব। বাদবাকি ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে কি হবে সেটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। আমাকে যদি বলে তখন আমি বলব।’ নির্বাচকরা যদি বলে খেলতে চাও কিনা? এমন প্রশ্নে মাশরাফির জবাব, ‘আমি এখন কী করছি? যখন জিম্বাবুইয়ে সিরিজে আমাকে বলা হয়েছিল আমি বলছি খেলব। আমার সাইড থেকে আমি বলতে পারি আমি খেলতে চাই। সেটা জাতীয় দল হতে হবে এমন কিছু নয়, আমার জায়গায় যারা খেলছে তারাও ভাল করছে। এটা জরুরী না জাতীয় দলে খেলতেই হবে। এখন বোর্ড যদি মনে করে আমাকে খেলাতে চায় আমি বলব অবশ্যই খেলব, অবশ্যই। আর বাকিটা যেটা বললেন আমি খেলছি তো খেলার জন্যই, এমন তো না যে আমি ফাজলামো করছি। খেলার জন্যই খেলছি। যেটা হলো পারফর্মেন্স বা অন্য সবকিছু মিলে বলেন, সবকিছু তো উনারাও ভাববে যারা দায়িত্বে আছেন।’
×