ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করেই নদীর পুনর্খনন শুরু

প্রকাশিত: ০৯:৩৮, ১১ জানুয়ারি ২০২০

 অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ  না করেই নদীর  পুনর্খনন শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ সীমানা নির্ধারণ ও নদীর তীর দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করেই শুরু হয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ‘খাজাঞ্চী-খাপনা-মাকুন্দা-সিঙ্গুয়া’ নদীর পুনঃখনন কাজ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনঃখনন কাজেও অনিয়মের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। উপজেলার রাজাগঞ্জ বাজার, বাংলাবাজার, সিঙ্গেরকাছ, বৈরাগী বাজার, টুকের বাজার ও রসুলগঞ্জ বাজার এলাকায় নদীর তীরে গড়ে উঠা কয়েক হাজার অবৈধ স্থাপনা বহাল রেখেই পুনঃখনন কাজ শুরু হওয়ায় জনমনে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। ২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে নদীটি উপজেলায় লামাকাজী ইউনিয়নের তিলকপুর এলাকায় সুরমা নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওড়ে গিয়ে শেষ হয়েছে। তবে জনশ্রুতি রয়েছে নলুয়ার হাওড় নয়, নদীটির সংযোগ ছিল কুশিয়ারা নদীর সঙ্গে। ভরাট ও অবৈধ দখলের ফলে নদীটির শেষ অংশের অস্থিত্ব আজ বিলীন হয়েছে গেছে। জানা গেছে, এক সময়ের তীব্র খর¯্রােতা নদীটি নানান ভাবে দখল আর দূষণে নদীটি বর্তমানে মরা খালে পরিণত হয়েছে। তাই এখন বর্ষাকালেও নদীতে তেমন ¯্রােত থাকে না। আর শুকনো মৌসুমে নদীর অনেক স্থানে যেমন তলদেশ ভেঁসে উঠে, তেমনি আবার অনেক স্থানে হাঁটুজল থাকে। ফলে পানির অভাবে যেমনি কমছে মাছের আবাসস্থল, তেমনি নদী তীরের জমিগুলোতে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। বিশ্বনাথ-ছাতক-জগন্নাথপুর উপজেলার এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটির তীর অবৈধভাবে দখল করে ‘রাজাগঞ্জ বাজার, বাংলাবাজার, সিঙ্গেরকাছ, বৈরাগী বাজার, টুকের বাজার ও রসুলগঞ্জ বাজার’র বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালী ও ভূমি খেকোরা নির্মাণ করেছেন দু’তলা-তিনতলা স্থায়ী দালানসহ কয়েক হাজার অবৈধ স্থাপনা। দখলের পরও নদীর উৎপত্তি অংশের অস্থিত্ব দেখা গেলেও শেষের অংশ অবৈধ দখলের কারণে বিলীন হয়ে গেছে। সারাদেশে নদীর তীরের বৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম সরকার চালিয়ে গেলেও বিশ্বনাথে এখনও তা শুরু হয়নি। যার ফলে বাসিয়া-খাজাঞ্চী-খাপনা-মাকুন্দাসহ সব নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা বহাল রয়েছে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে ২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ‘খাজাঞ্চী-খাপনা-মাকুন্দা-সিঙ্গুয়া’ নদীকে দুটি অংশে ভাগ করে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর দুই অংশের পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া।
×