ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইকার্দির হ্যাটট্রিকে সেমিতে পিএসজি

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ১০ জানুয়ারি ২০২০

ইকার্দির হ্যাটট্রিকে সেমিতে পিএসজি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার মাউরো ইকার্দির চোখ ধাঁধানো হ্যাটট্রিকে ভর করে ফরাসী লীগ কাপ ফুটবলের সেমিফাইনালে উঠেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেইন (পিএসজি)। বুধবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে সেইন্ট-এটিয়েনকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে প্যারিসের পরাশক্তিরা। ইকার্দির হ্যাটট্রিক ছাড়া পিএসজির বাকি গোলগুলো করেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার ও ফরাসী তারকা কিলিয়ান এমবাপে। অপর গোলটি আসে জেসি মউলিনের আত্মঘাতীর সৌজন্যে। এটিয়েনের হয়ে সান্ত¡নার গোলটি করেন ফরাসী মিডফিল্ডার ইয়োহান কাবায়ে। এর ফলে নিজেদের শেষ ছয় ম্যাচের প্রতিটিতেই পিএসজি প্রতিপক্ষের জালে অন্তত চারটি করে গোল করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। প্যারিসের পার্ক দ্য প্রিন্সেস স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই গোল করে পিএসজিকে এগিয়ে দেন ইকার্ডি। ৩১ মিনিটে টিনএজ ডিফেন্ডার ওয়েসলি ফোফানা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেয়ে মাঠের বাইরে চলে গেলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় সেইন্ট এটিয়েন। আর এই সুযোগে পিএসজি প্রতিপক্ষের ওপর আরও চেপে বসে। ইনজুরি ও অসুস্থতার কারণে পিএসজি কোচ টমাস টাচেল আক্রমণভাগে চার তারকাকে দিয়ে খেলিয়েছেন। ইকার্ডি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপে ও এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে নেইমার আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ডি মারিয়ার সহযোগিতায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এর পাঁচ মিনিট পর গোলরক্ষক মউলিনের আত্মঘাতী গোলে পিএসজি ব্যবধান আরও বাড়ায়। ডি মারিয়ার লো ক্রসে ফেঞ্চ ডিফেন্ডার টিমোথি কোলোজিয়েচাকের পায়ে লেগে বল পোস্টের দিকে গড়িয়ে যেতে থাকে। কিন্তু মউলিনের গায়ে লেগে বল লাইন ক্রস করলে আত্মঘাতী গোলের লজ্জায় পড়ে সেইন্ট-এটিয়েনে। বিরতির পরপরই মউলিনকে কাটিয়ে ইকার্দির দিকে বল বাড়িয়ে দেন এমবাপে। নিজের দ্বিতীয় গোল করতে কোন ভুল করেননি আর্জেন্টাইন ফুটবলার। ৫৭ মিনিটে এমবাপের সহযোগিতায় হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ইকার্ডি। ৬৭ মিনিটে এই জুটি আবারও পিএসজিকে গোল উপহার দেন। এবার ইকার্দির সহযোগিতায় পোস্টের খুব কাছে থেকে এমবাপে দলের হয়ে ষষ্ঠ গোলটি করেন। এবারের মৌসুমে এ নিয়ে ১৯ ম্যাচে ১৮ গোল করলেন ফরাসী এই তারকা। অন্যদিকে ১৯ ম্যাচে ১৭ গোল করেছেন ইকার্ডি। ম্যাচের ৭১ মিনিটে ইয়োহান কাবায়ের পেনাল্টি গোলরক্ষক সার্জিও রিকো রুখে দিলেও ফিরতি বলে হেড দিয়ে সান্ত¡নাসূচক এক গোল পরিশোধ করেন পিএসজির এই সাবেক মিডফিল্ডার।
×