ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিরিয়াল রেপিস্ট মজনু সাত দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত: ১১:১০, ১০ জানুয়ারি ২০২০

সিরিয়াল রেপিস্ট মজনু সাত দিনের রিমান্ডে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কুর্মিটোলার রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সিরিয়াল রেপিস্ট মজনুকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি পুলিশ। এদিকে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি গেছেন সেই ছাত্রী। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ধর্ষিতার ছাত্রীর বাবার করা মামলায় বৃহস্পতিবার গ্রেফতারকৃত ধর্ষক মজনুকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক। আসামির পক্ষে কোন আইনজীবী দাঁড়াননি। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী সাতদিনের হেফাজতে নেয়ার আদেশ দেন। হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি গেলেন সেই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার ঢাবির ছাত্রীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছেড়ে বাড়ি গেলেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসিরউদ্দিন জানান, মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভাল আছে। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে মেডিক্যাল বোর্ড ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে দেখেছেন। তারা কিছু পরামর্শসহ ছাড়পত্র দেয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। একই সঙ্গে সে এখানে বেশিদিন থাকতে চাচ্ছিল না। সবকিছু মিলিয়েই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, যে কোন সমস্যা হলে তিনি (ঢাবি ছাত্রী) এখানে আসবেন। আমরা সাতদিন পর তাকে ফলোআপে আসতে বলেছি। তার সুরক্ষা-চিকিৎসাসহ সবকিছুই মাথায় রাখা হয়েছে। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিরউদ্দিন জানান, হাসপাতাল ছাড়ার আগে শিক্ষার্থীর বাবা কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠির বরাত দিয়ে তিনি জানান, ঢামেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তাদের পাশে ছিল পুরোটা সময়। সবাই সহযোগিতা করেছে। এদিন এ সময় ঢামেক হাসপাতালে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ দিয়ে চিকিৎসা করেছেন। সে (ছাত্রী) শারীরিকভাবে এখন সুস্থ। তবে তার মানসিকভাবে পুরোপুরি ঠিক হতে আমার মনে হয় আরও সময় লাগবে। যদিও তার মনোবল অত্যন্ত শক্ত। সে অবশ্যই পড়ালেখায় ফিরতে চায়। তার হাতে এখনও বই আছে। আমরাও চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব তার পরীক্ষাটা নেব। তার পরীক্ষা নেয়ার যথাযথ ব্যবস্থা উপাচার্য গ্রহণ করবেন। এদিকে মেয়ের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর বাবা। চিঠিতে তিনি ঢাবি কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক, মিডিয়াকর্মী, আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীসহ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
×