ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা সিটি নির্বাচন

আজ প্রচার যুদ্ধ শুরু, মুখোমুখি আওয়ামী লীগ-বিএনপি

প্রকাশিত: ১১:১০, ১০ জানুয়ারি ২০২০

আজ প্রচার যুদ্ধ শুরু, মুখোমুখি আওয়ামী লীগ-বিএনপি

শাহীন রহমান ॥ এক বছরের বেশি সময় পর আবারও ভোটের লড়াইয়ে নামছে চির প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদের নির্বাচনের মাধ্যমে এই দুটি দল আবারও সরব হচ্ছে। আজ থেকে তাদের প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনায় মাঠে নামছেন। এর আগে আজ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রতীক বরাদ্দ নিয়েই তারা প্রচারে নেমে পড়বেন। বৃহস্পতিবার প্রত্যাহারের শেষ দিনে মেয়র পদে কোন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেনি। ফলে মেয়র পদে ১৩ জন চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন। এর মধ্যে উত্তরে ৬ জন এবং দক্ষিণে রয়েছেন ৭ প্রার্থী। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিদতায় থাকছেন আওয়ামী লীগের মোঃ আতিকুল ইসলাম, ফজলে নূর তাপস এবং বিএনপির তাবিথ এম আউয়াল এবং ইশরাক হোসেন। দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন হওয়ার কারণে সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নৌকা প্রতীকে এবং বিএনপির প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনের মাঠে হাজির হচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে দলীয় ইমেজ কাজে লাগাবেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা মূলত সরকারে উন্নয়নের ধারাবাহিকতার বিষয়টি ভোটারদের সামনে তুলে ধরে ভোট চাইবেন। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থীরা সরকারের দুঃশাসনের বিষয় তুলে ধরে দলীয় চেয়ারপার্সনের মুক্তির বিষয়টিও ভোটের মাঠে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের সমর্থন আদায় কববেন। আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার শেষে দুই সিটিতে মেয়র পদে ১৩ জন প্রার্থী চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামছেন। শেষ দিনে মেয়র পদ থেকে কোন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি। তবে ১৩ জন নির্বাচনের মাঠে নামলেও মূলত ভোটারের বিবেচনায় রয়েছেন আওয়ামী ও বিএনপির চার প্রার্থী। এর মধ্যে ঢাকা উত্তরের রয়েছে আওয়ামী লীগের মোঃ আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বিএনপির প্রার্থী তাবিথ এম আউয়াল। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন বিএনপির প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই। আন্দোলনের অংশ হিসেবে এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে তারা এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এ সময় তিনি সিটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করেন। অপরদিকে গত বুধবার এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বৈঠক শেষে এইচ টি ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, সিটি নির্বাচনে বরং বিএনপি মহাসুবিধা পাচ্ছে। আচরণবিধি অনুযায়ী আওয়ামী লীগের কোন এমপি প্রচারে অংশ নিতে পারছে না। তবে বিএনপির সবাই তাদের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারের অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এদিক থেকে আওয়ামী লীগের মুখে কুলুপ আটা রয়েছে। অপরদিকে বিএনপি বেশি সুবিধায় রয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার সিটি নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে মেয়র পদে কোন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি। ফলে ঢাকা উত্তর সিটিতে মেয়র আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রার্থীসহ ৬ জন এবং দক্ষিণ সিটিতে মোট ৭ জন সহ ১৩ প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন। আজ শুক্রবার চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন আজ সকাল থেকে বেলা ৫টা পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দে কাজ চলবে। প্রতীক বরাদ্দ নিয়েই তারা নির্বাচনের মাঠের প্রচার চালাতে পারবেন। গত ২ জানুয়ারি বাছাইতে মেয়র পদে এবার উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে মেয়র পদে ১৩ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর মিলিয়ে বৈধ প্রার্থী আছেন সহস্রাধিক। মেয়র পদে কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করায় এই পদে চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরে আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, বিএনপির তাবিথ এম আউয়াল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শেখ মোঃ ফজলে বারী মাসউদ, সিপিবির আহম্মেদ সাজেদুল হক রুবেল, এনপিপির আনিসুর রহমান দেওয়ান ও পিডিপির শাহীন খান। দক্ষিণে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকায় মেয়র প্রার্থীরা হলেন, আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস, বিএনপির ইশরাক হোসেন, জাতীয় পার্টির হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আব্দুর রহমান, এনপিপির বাহারানে সুলতান বাহার, গণফ্রন্টের আব্দুস সামাদ সুজন ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আকতারুজ্জামান ওরফে আয়াতুল্লাহ।
×