ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খাদ্যগুদামে অভিযান

আমতলীতে ১৯৫ বস্তা ধান জব্দ ॥ কর্মকর্তার কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ০৮:৪৫, ১০ জানুয়ারি ২০২০

আমতলীতে ১৯৫ বস্তা ধান জব্দ ॥ কর্মকর্তার কারাদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ৯ জানুয়ারি ॥ আমতলীতে সরকারী ধান ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ইউএনও মনিরা পারভীন খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ক্রয় কৃত ১শ’ ৯৫ বস্তা ধান জব্দ করেন। এ অনিয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে উপ-খাদ্য পরিদর্শক অঞ্জন কুমার ডাকুয়াকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- ও ধান সরবরাহকারী ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় কৃষকের নিকট থেকে সরকারীভাবে এ বছর ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে ২ হাজার ৯১ টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। খাদ্য বিভাগের লোকজন ওই ধান কৃষকের নিকট থেকে না কিনে এক শ্রেণীর দালালের মাধ্যমে নিম্ন মানের ধান ক্রয় করছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এ খবর পেয়ে টিএ্যান্ডটি সড়কে অবস্থিত খাদ্য গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি অবৈধভাবে ধান সরবরাহকারী ফেরদৌসের নিকট থেকে ১শ’ ৯৫ বস্তা ধান ক্রয়ের সত্যতা পান। ফেরদৌস আমতলীর উত্তর টিয়াখালী গ্রামের ৫ কৃষকের কার্ড সংগ্রহ করে ওই কার্ডের অনুকূলে খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহের জন্য গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার মেসার্স দীপ্ত এন্টারপ্রাইজের মালিক সুনিল সমদ্দারের আড়ত থেকে ধান ক্রয় করে ট্রাকযোগে আমতলী এনে খাদ্য গুদামে সরবরাহ করে। এ সংবাদ পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন খাদ্য গুদামে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে সরবরাহ করা ১শ’ ৯৫ বস্তা ধান জব্দ করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে খাদ্য বিভাগের উপ-খাদ্য কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার ডাকুয়াকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- ও ধান সরবরাহকারী ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত) শফিকুল ইসলাম এবং ওসিএলএসডি রবীন্দ্র নাথ মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করেন। খুলনা স্টাফ রিপোর্টার খুলনা অফিস থেকে জানান, রাইস মিল মালিকের কাছ থেকে ঘুষ নেয়া ১ লাখ টাকাসহ ডুমুরিয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (পরিদর্শক) ইলিয়াস হোসেনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে দুদক খুলনার একটি দল উপজেলা খাদ্যগুদামে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারোমাইল এলাকার জামান অটো রাইস মিলের মালিক মোঃ কামরুজ্জামানের ১১ লাখ টাকার একটি বিল প্রদানের ক্ষেত্রে উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক গড়িমসি ও টালবাহানা করতে থাকে। এক পর্যায়ে তার কাছে মোটা অঙ্কের ঘুষ চাওয়া হয়। ওই মিল মালিক বিষয়টি দুদককে অবহিত করে। দুদক কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার সকালে তিনি খাদ্য পরিদর্শক মোঃ ইলিয়াস হোসেনকে একটি খামে করে এক লাখ টাকা প্রদান করেন। এ সময় খাদ্যগুদামের বাইরে অপেক্ষমাণ দুদক কর্মকর্তারা ইলিয়াস হোসেনের অফিস কক্ষে হানা দিয়ে তার টেবিলের ড্রয়ারে রাখা ১ লাখ টাকাসহ তাকে গ্রেফতার করেন। পরে তাকে দুদক খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
×