ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জাতি আশাহত ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ১১:১৩, ৯ জানুয়ারি ২০২০

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জাতি আশাহত ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে দেশের জনগণ আশাহত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে দেশের মানুষকে আশা রাখতে বলেছেন, ভরসা রাখতে বলেছেন। সেই ভরসা মানুষ কোথা থেকে রাখবে। দেশের অর্থনীতি চরমভাবে নিচে নেমে গেছে। প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে অর্থনীতির যে বর্ণনা দিয়েছেন বাস্তব চিত্র তার পুরো উল্টো। ব্যাংকগুলো ভেঙ্গে পড়েছে, মানুষ আস্থা রাখবে কোথায়। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জাতি হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছে। ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী দোষারোপ করছেন শুধু বিএনপিকে। বিএনপি নাকি সন্ত্রাস করেছে। তিনি ভুলে গেছেন ওনারা যে কেয়ারটেকার সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছেন। সেই সময় বাসে ১১ জন ব্যক্তিকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। আর অনেক লোক নিহত হয়েছিল এই আন্দোলনের ফলে। দেশের রাজনীতির যে কালচার আগে ছিল, এখনও আছে। তারা হত্যা করেছে, তুলে নিয়ে গিয়ে মারছে, নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে, গুম হয়ে যাচ্ছে। এই জিনিসগুলো প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে আসেনি। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের রাজনীতিতে অর্থনীতি হচ্ছে প্রধান সঙ্কট। এটা হচ্ছে পুরোপুরিভাবে রাজনৈতিক সঙ্কট। একটি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতা দখল করে বসে আছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এমন হয়েছে যে, ৩০ তারিখের নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর রাতেই হয়ে গেছে। সেই হিসেবে জাতির একটি প্রত্যাশা ছিল সঙ্কট নিরসনের একটি পথ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে থাকবে। এ সরকারের জনগণের কাছে কোন দায়বদ্ধতা নেই- নজরুল বর্তমান সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে এ সরকারের জনগণের কাছে কোন দায়বদ্ধতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ধর্ষণকারীর ফাঁসির দাবিতে ‘জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম’ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে ধর্ষণ-নির্যাতনের তা-ব চলবেই। কারণ, তারা জনগণের দায়দায়িত্ব নিতে রাজি না। বলেন, আজ দেশের মানুষ মারা যাচ্ছে। আমার মা-বোনেরা ধর্ষিত, নির্যাতিত হচ্ছে। কিন্তু সরকারের এমন দায়িত্বহীনতা কেন? এই সরকার যদি ক্ষমতায় থাকে তাহলে আগামীতে ধর্ষণ হলে সেই ধর্ষণের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে না। নজরুল বলেন, আমি কাউকে উৎখাত করার কথা বলছি না। আমি বলছি যে গণতন্ত্রের জন্য, বৈষম্য দূর করার জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, দুর্ভাগ্য আমাদের, আমরা আজও সেটা অর্জন করতে পারিনি। আর সেটা তখনই সম্ভব যখন আমরা জনগণের নির্বাচিত সরকার পাব। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন মন্তব্য করে নজরুল বলেন, আগে ছাত্রলীগ করার কারণেই এখন তিনি দলবাজি করছেন? ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে ’৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতাদের বিবৃতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছেন ’৯০-এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের নেতারা। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ধর্ষণকারীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তখনকার ডাকসু ভিপি আমানউল্লাহ আমান, জিএস খায়রুল কবির খোকন, সর্বদলীয় ছাত্রঐক্য নেতা হাবিবুর রহমান হাবীব, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফ উদ্দিন আহমেদ মনি, খন্দকার লুৎফর রহমান, সালাহউদ্দিন তরুণ ও আসাদুর রহমান আসাদ বুধবার এক যুক্ত বিবৃতিতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্রীকে রাজধানীর কুর্মিটোলায় গণধর্ষণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার মতো নারকীয় ও অমানবিক ঘটনা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। নৈতিকতা, সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিক মূল্যবোধের অভাবই এজন্য দায়ী। আজ সমাজে মা-বোনেরা কেউই নিরাপদ নয়। গত ৮ বছরে দেশে ৮ হাজার ৭৮ জন নারী-শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
×