ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

হাছন রাজা লোক উৎসব উদ্যাপন

প্রকাশিত: ১১:১০, ৯ জানুয়ারি ২০২০

হাছন রাজা লোক উৎসব উদ্যাপন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘হাছন রাজা একজন মরমী কবি ও দার্শনিক। বাংলার মাটি ও মানুষের মনের কথা মিশে আছে এই মানুষটির গান ও দর্শনে। মরমী সাধনা আর আঞ্চলিকতার দর্শনের সঙ্গে সঙ্গীতের এক অসামান্য সংযোগ ঘটিয়েছেন তিনি। সর্ব-মানবিক ধর্মীয় চেতনার এক লোকায়ত ঐক্যসূত্র রচনা করেছেন তিনি। তার রচিত গানগুলো শুনলে মনের মাঝে আধ্যাত্মবোধের জন্ম হয়’-অষ্টম জাতীয় হাছন রাজা লোক উৎসেব একথা বলেন অতিথিরা। মরমী কবি হাছন রাজার ১৬৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অষ্টম বারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করে জাতীয় হাছন রাজা পরিষদ। রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে বুধবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম, সৈয়দ জগলুল পাশা, জালাল আহমেদ, হাছন রাজার নাতনি সাদিয়া চৌধুরী পরাগ। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন কুতুব উদ্দিন সোহেল, ড. শহীদ সাকী, আ ফ ম সিরাজুল ইসলাম শামীম, সৌমিত্র দেব প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের সভাপতি ড. এ কে এ মুবিন। হাছন রাজার ‘নেশা লাগিল রে’ ও ‘সোনা বন্দে আমারে দেওয়ানা বানাইলা’ গান দুটি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী রূপক চৌধুরী। এরপর শুরু হয় আলোচনা। আলোচনায় বক্তরা বলেন, হাছন রাজার দার্শনিকতার পরিচয় মেলে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের মাধ্যমে। প্রভাত কুমার শর্মার হাত ঘুরে তিনি হাছন রাজার কিছু গানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। সেই গানগুলোর মাধ্যমেই কবিগুরু হাছন রাজাকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে উল্লেখ করেন, ‘পূর্ব বঙ্গের একটি গ্রাম্য কবির গানে দর্শনের একটি বড় তত্ত্ব পাই। সেটি এই যে, ব্যক্তি স্বরূপের সহিত সম্বন্ধ সূত্রেই বিশ্ব সত্য। বক্তরা বলেন, হাছন রাজা কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন না, তবে তিনি ছিলেন স্বশিক্ষিত। তিনি সহজ-সরল আঞ্চলিক ভাষায় প্রায় সহস্রাধিক গান লিখে নিজেই সুরারোপ করেছেন। উত্তরাধিকার সূত্রে বিশাল ভূ-সম্পত্তির মালিক ছিলেন হাছন। তিনি শুধু সিলেটের গর্ব না, গোটা বাংলাদেশের গর্ব। তিনি বিশ্বের দরবারে পুরো বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেলিম আহমেদ মিঠু।
×