ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইরান যুদ্ধ বাধালে আমরাও জবাব দিতে প্রস্তুত ॥ ট্রাম্প

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ৯ জানুয়ারি ২০২০

ইরান যুদ্ধ বাধালে আমরাও জবাব দিতে প্রস্তুত ॥ ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, মধ্যপ্রাচ্যে তিনি শান্তি খুঁজছেন, তিনি ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ চান না। ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে আর বেশি বিকল্প নেই, আর সে সুযোগকে এখন কাজে লাগাচ্ছে তেহরান। খবর এনবিসির। ঘটনাটি ইরানের অনুকূলে থাকায় তারা যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করে হামলা চালাতে পারছে। এর ধারাবাহিকতায়, বুধবার ভোরে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের আইন আাল-আসাদ ও ইরবিলের মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে অন্তত ৮০ মার্কিনীকে হত্যা করা হয়েছে। এর আগে ট্রাম্প তেহরানকে এ বলে হুমকি দিয়েছিল যে, ইরান যদি কাশেম সোলাইমানির হত্যার বদলা নেয়, তাহলে তারা ইরানের সাংস্কৃতিক গুরুত্ব রয়েছে এমন অন্তত ৫২ স্থাপনায় ধ্বংসাত্মক হামলা চালাবে। তবে সেটি করা হলে আন্তর্জাতিক আইনকেই লঙ্ঘন করা হতো। আর ট্রাম্পের এ বক্তব্যের পর যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তার সমালোচনা করে। এদিকে রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনের পর এনবিসিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানান, ট্রাম্পের ওই বক্তব্যে যৎসামান্য ত্রুটি রয়েছে, যার দরুন ইরানের হাতে এর পাল্টা জবাব দেয়ার বিকল্প চলে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, তারা (ইরান) এটি (যুদ্ধ) করবে না। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটি স্পষ্ট করেছেন যে, ইরান যদি যুদ্ধ বাধিয়ে দেয়, তাহলে আমরাও তার যথা-উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।’ পম্পেও ট্রাম্পকে ইরানের সঙ্গে মার্কিন শত্রুতা বৃদ্ধির জন্য কঠোর চাপ দিচ্ছেন। নবেম্বরের নির্বাচনে সেক্যুলার ও ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। সাউথইস্ট মেথোদিস্ট ইউনির্ভাসিটির রাজনীতি যোগাযোগের অধ্যাপক স্টেফিন এ. মার্টিন বলেন, ‘ইসরাইলকে পূর্ণ সমর্থন দিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও তিক্ত করে, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যেও দেশ ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত সমর্থনকেই স্পষ্ট করবে। মধ্যপ্রাচ্যের বিষয়ে ট্রাম্প যেটি করতে পারবে না, তা সামনের নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে তার প্রকাশ পাবে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে যে আগুন এখন দাউদাউ করে জ্বলছে, এর ট্রিগার ট্রাম্প চালাননি। যাহোক, এটি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড়সড় ঝুঁকি না হলেও ঝুঁকি বটে। এর সব কিছুই এখন নির্ভর করছে ইরানের ওপর। ইরান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নিবে, যুক্তরাষ্ট্র কেবল তার পাল্টা পদক্ষেপ নিবে ইরানের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ইসরাইলের জনগণকে ইরানের হামলা থেকে বাঁচাতে উঠেপড়ে লেগেছে যুক্তরাষ্ট্র। পম্পেও সিবিএনকে বলেন, ‘কেবল ঈশ্বরই জানেন, ইরান থেকে ইহুদীদের কিভাবে রক্ষা করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একজন খ্রীস্টান হিসেবে আমি নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করি, ঈশ্বর ইহুদীদের রক্ষা করবেন।’
×