ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাহিদুল আলম জয়

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে খেলার মেলা

প্রকাশিত: ১২:২৮, ৮ জানুয়ারি ২০২০

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে খেলার মেলা

বহুল প্রত্যাশিত ও আকাক্সিক্ষত ২০২০ সালে পদার্পণ করেছে বিশ্ববাসী। নতুন বছরের শুরু থেকে এক বছরব্যাপী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক খেলাধুলার হাট বসছে লাল-সবুজের বাংলাদেশে। উপলক্ষটা সবারই জানা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০তম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে সরকার যেসব কর্মসূচী নিয়েছে সেখানে বড় অংশ জুড় থাকছে খেলাধুলা। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। শুধু জন্মদিনটিই নয়; বছরটি স্মরণীয়ভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সাড়ম্বরে পালিত হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতির ১০০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেই ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। কিংবদন্তি মহানায়কের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে সরকার বছরব্যাপী যে নানা কর্মসূচীর আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে, তার মধ্যে অন্যতম প্রধান হচ্ছে খেলাধুলা। জানা গেছে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ৩০৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে খেলাধুলার নানা কর্মসূচী পালনের পরিকল্পনা নিয়েছে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ৮৯টি আয়োজন থাকছে বছরব্যাপী। এর মধ্যে ৩৯টি আন্তর্জাতিক। সবচেয়ে বেশি তিনটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট থাকছে ফুটবলে। সঙ্গে থাকছে একটি স্থানীয় টুর্নামেন্ট। জাতির পিতার নামে টুর্নামেন্টগুলো আয়োজন করবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। টুর্নামেন্টগুলো হচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ, বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও বঙ্গবন্ধু সাফ অনুর্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ। আর স্থানীয় টুর্নামেন্ট হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২০। যে ৩৯টি আন্তর্জাতিক ইভেন্ট হবে তার মধ্যে ফুটবল ছাড়াও উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ক্রিকেট, হকি, কাবাডি, রোলার স্কেটিং। ছয় দেশ নিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল হবে চলতি মাসের ১৫ থেকে ২৫ তারিখে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। এই আসরে স্বাগতিক বাংলাদেশ আছে ‘এ’ গ্রুপে। যেখানে লাল-সবুজদের প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন ও শ্রীলঙ্কা। ‘বি’ গ্রুপে থাকছে বুরুন্ডি, সিশেলস ও মরিশাস। উল্লেখ্য, এ-গ্রুপের তিনটি দলই এশিয়ার আর বি-গ্রুপের তিনটি দেশই আফ্রিকার। মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্য এশিয়া থেকে কোন দেশ খেলছে না বলে এই আসরের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফলে আবারও বিতর্কের মুখোমুখি হয়েছে বাফুফে। ফুটবলামোদীরা বলছেন এসএ গেমস ফুটবলে দুর্দান্ত খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া নেপাল ও রানাসর্আপ ভুটানকে রাখা হলে এই আসরের গুরুত্ব-আকর্ষণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পেত। একমাত্র ফিলিস্তিন বাদে বাকি চার অতিথি দেশের ফিফা র‌্যাঙ্কিং এবং ফুটবল শক্তিমত্তা খুব একটা আহামরি কিছু নয়। এদের মধ্যে শ্রীলঙ্কা ও সিশেলস তো বাংলাদেশের চেয়েই র‌্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে। কাজেই দুর্বল দল ডেকে এনে বাংলাদেশকে ফাইনালে নেয়ার বাফুফের এই প্রক্রিয়া মোটেও সাধুবাদ পাচ্ছে না কারোর কাছে। ছয় দলের মধ্যে র‌্যাঙ্কিংয়ে সবার ওপরে আছে ফিলিস্তিন। তারা রয়েছে ১০৬-এ। এরপর রয়েছে বুরুন্ডি (১৫১) ও মরিশাস (১৭২)। বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৭তম। সিশেলস রয়েছে বরাবর ২০০তম স্থানে। শ্রীলঙ্কা রয়েছে সবার নিচে (২০৫)। প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল সেমিফাইনালে খেলবে। সেখান থেকে দুটি দল খেলবে ফাইনালে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) বঙ্গবন্ধুর নামে দুটি ম্যাচ আয়োজন করবে। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়া ও বিশ্ব একাদশের মধ্যকার দুটি টি২০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচ দুটি মার্চের ১৮ ও ২১ তারিখে হওয়ার কথা রয়েছে। জাতির জনকের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে একটি ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিসিআই)। বিসিবির দুই ম্যাচের পাশাপাশি গুজরাটের মোরাতায় নতুন সাজে সজ্জিত সরদার প্যাটেল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তৃতীয় ম্যাচটি আয়োজনের ইচ্ছে প্রকাশ করে বিসিবির কাছে প্রস্তাব দিয়েছে বিসিসিআই। এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছেন, একটি ম্যাচ আয়োজনে বিসিসিআই ইতোমধ্যেই তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এখনও আনুষ্ঠানিক কোন প্রস্তাব দেয়নি, ‘এটা সত্যি যে, তারা একটি প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এখনও সেটা আনুষ্ঠানিক নয়। এখন পর্যন্ত বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বিসিসিআই জানিয়েছে, সিরিজের আগে স্টেডিয়ামটি প্রস্তুত হলে তারা বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি ম্যাচ আয়োজন করতে চায়।’ পাপন আরও জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ। যে কারণে ম্যাচগুলো আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের ১৮-২২ মার্চ সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। সরকারের অন্য পরিকল্পনা আছে এবং তাদের অন্য বিষয়েও সময় নির্ধারিত আছে। ক্রিকেট ছাড়াও দুটি করে আন্তর্জাতিক আয়োজন থাকছে দাবা, বাস্কেটবল ও কুস্তিতে। দাবা দুটি গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বঙ্গবন্ধুর নামে। একটি ঢাকায়, আরেকটি বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। সব খেলাধুলাই হবে এক বছরের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। যে কারণে টুর্নামেন্টগুলোর বেশিরভাগেরই সময় চূড়ান্ত নয়। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন বিদেশী দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে টুর্নামেন্টের দিন তারিখ ঠিক করবে। ফুটবল ও ক্রিকেট ছাড়াও বাংলাদেশের আরেকটি জনপ্রিয় খেলা হকি। যে কারণে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনও প্রথমবারের মতো এশিয়া অনুর্ধ-২১ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করতে যাচ্ছে। আগামী জুনে মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে হবে ১২ জাতির এই টুর্নামেন্ট। এশিয়ার এই টুর্নামেন্ট জাতির জনকের নামে আয়োজন করতে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের কাছ থেকে স্বত্ব কিনেছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। বাংলাদেশ এ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন জাতির পিতার নামে আয়োজন করবে সাফ এ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনও আয়োজক হওয়ার চেষ্টা করছে বিশ^কাপ কাবাডির। লক্ষ্য একটাই, জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে উদযাপন করা। এসবের পাশাপাশি বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশন মার্চে বঙ্গবন্ধুর নামে আয়োজন করবে আন্তর্জাতিক ভলিবল টুর্নামেন্ট, রোলার স্কেটিং ফেডারেশন আয়োজন করবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক রোলবল গোল্ডকাপ। হ্যান্ডবল ফেডারেশন জুলাইয়ে আয়োজন করবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক হ্যান্ডবল টুর্নামেন্ট। ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু ওপেন আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টন আয়োজন করবে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। বাংলাদেশ শুটিং ফেডারেশন জুনে আয়োজন করবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপ, সাঁতার ফেডারেশন আয়োজন করবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক জুনিয়র সাঁতার প্রতিযোগিতা। আরচারি ফেডারেশনের আয়োজনটা হওয়ার কথা আছে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ওই সময় আন্তর্জাতিক আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপ বঙ্গবন্ধুর নামে হবে বলে জানা গেছে। এপ্রিল মাসে টেবিল টেনিস ফেডারেশন আয়োজন করবে আন্তর্জাতিক আসর। টেনিস ফেডারেশনেরও লক্ষ্য অভিন্ন। বাংলাদেশ বাস্কেটবল ফেডারেশন দুটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে। সেপ্টেম্বর মাসে হবে আন্তর্জাতিক মহিলা প্রতিযোগিতা আর ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক থ্রি অন থ্রি (বিচ) বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। এছাড়া জিমন্যাস্টিক্স ফেডারেশন, রোইং ফেডারেশন, বক্সিং ফেডারেশন, ইয়োগা এ্যাসোসিয়েশন, তায়কোয়ানান্দো ফেডারেশন, খো খো ফেডারেশন, কারাতে ফেডারেশন, জুডো ফেডারেশন, মার্শাল আর্ট কনফেডারেশন, ভারোত্তোলন ফেডারেশন, কিক বক্সিং এ্যাসোসিয়েশন, প্যারালিম্পিক, শরীর গঠন ফেডারেশন, কুস্তি ফেডারেশন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে বলে জানা গেছে। মুজিব বর্ষকে সফল করতে প্রাণান্ত কাজ করে চলেছে যুব ও ক্রীড় মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি জানিয়েছেন, যেভাবে ক্রীড়ানুষ্ঠান করলে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন সুন্দর হয় আমরা সেভাবেই পরিকল্পনা করছি। আমরা কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছি। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমরা জাগরণ সৃষ্টি করতে চাই। তিনি আরও জানান, আমরা খেলাধুলায় ৮৯টি ইভেন্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে ৩৯টি আন্তর্জাতিক, বাকিগুলো স্থানীয়। এর জন্য আমরা ৩০৬ কোটি ২৪ লাখ টাকার বাজেট করেছি। ইতোমধ্যে এই বাজেট অনুমোদন করেছেন বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী বাস্তবায়ন কমিটি। সরকারের তহবিল এবং পৃষ্ঠপোষকের মাধ্যমে এই কর্মসূচীগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। জাঁকজমকপূর্ণভাবে জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য ইতোমধ্যে জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। যে কমিটিতে জায়গা হয়েছে বাংলাদশের প্রধান দুই জনপ্রিয় খেলার তারকা-ফুটবলার কাজী মোঃ সালাউদ্দিন ও ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার। জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য দুটি কমিটি গঠন করেছেন সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সভাপতি করে গঠিত হয়েছে ১০২ সদস্যের জাতীয় কমিটি এবং জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে সভাপতি করে গঠন হয়েছে ৬১ সদস্যবিশিষ্ট বাস্তবায়ন কমিটি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। জাতীয় কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন ও বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, প্রানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, সাবেক ও বর্তমান মন্ত্রী, জাতীয় সংসদ সদস্য, তিন বাহিনী প্রধান, সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য, সিনিয়র সাংবাদিক, শিক্ষাবিদসহ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ রয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ক্ষণগণনা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১০ জানুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ক্ষণগণনা উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনের মাধ্যমে ক্ষণগণনা একযোগে প্রতিটি জেলা, উপজেলা এবং সারাদেশে সমস্ত জনসমাগম স্থলে শুরু হবে। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু সদ্যস্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে (পুরাতন বিমানবন্দর) অবতরণ করেছিলেন।
×