ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবে ‘গুনাই বিবির পালা’ মঞ্চস্থ

প্রকাশিত: ১১:৫৫, ৮ জানুয়ারি ২০২০

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসবে ‘গুনাই বিবির পালা’ মঞ্চস্থ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সেগুন বাগিচার শিল্পকলা একাডেমির আঙিনা এখন দারুণ সরগরম। সেই সরবতাজুড়ে আছে আপন সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সম্মিলন। সেখানে প্রতিটি জেলার শিল্পীরা মেলে ধরছে তাদের স্থানীয় সংস্কৃতি সম্ভার। ৬৪ জেলার সঙ্গে ৬৪ উপজেলার পরিবেশনাতেও দৃশ্যমান হচ্ছে শেকড়ের সংস্কৃতি। এভাবেই সৃজনশীল বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি এঁকে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক উৎসব। একাডেমির নন্দন মঞ্চে চলমান ২১ দিনব্যাপী এই উৎসবের পঞ্চমন দিন ছিল মঙ্গলবার। এদিনের আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে মঞ্চস্থ হয় ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য ‘গুণাই বিবির পালা’। পালাটি পরিবেশন করেন রাজবাড়ীর শিল্পীরা। একাডেমি প্রাঙ্গণে রাত আটটায় দর্শনীর বিনিময়ে আব্দুল মাজেক প্রামাণিক ও নাজমুল হোসেন নির্দেশিত লোকনাট্য ‘গুণাই বিবির পালা’ মঞ্চস্থ হয়। পালাটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামাদ, হাবিবুর শেখ, মোজাফ্ফর, মুন্নি, নাজিম হোসেন, খালেক আকিজ শেখ, নায়েব আলী, রোকেয়া, মুক্তা প্রমুখ। এছাড়া এদিন বিকেলে নন্দন মঞ্চে ছিল একাডেমি ঢাকার পরিবেশনায় এ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনায় বৃন্দ আবৃত্তি পরিবেশন করে হিসাম, শুপ্ত, তেসিফ, জাবের, সাফিন ও স্বর্ণালি। একক আবৃত্তি করে শিল্পী লায়লা আফরোজ। ‘পিন্দারে পলাশের বন’ গানের সুরে আনিসুল ইসলাম হিরুর পরিচালনায় সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে সৃষ্টি কালাচারাল একাডেমি। রাজবাড়ী জেলার পরিবেশনার শুরুতে ছিল জেলা ব্র্যান্ডিংয়ের ওপর ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শনী। ‘ও পৃথিবী এবার এসে’ এবং ‘দে তালি বাঙ্গালী’ গানের সুরে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন অনিকা দেবনাত পূজা, অন্তি ইয়োমি, সাদিয়া, মেহজাবিন, মৌনিতা আচল, ঐশ্বয রিমঝিম, হেমন্ত, শিপন, শিলা ও উপমা। পরিবেশিত হয় ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা’ শীর্ষক সমবেত সঙ্গীত। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ছায়া কর্মকার এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী তৌকির আহমেদ। এছাড়াও পরিবেশিত হয় যন্ত্রসঙ্গীত। বগুড়া জেলার পরিবেশনায় ছিল সমবেত সঙ্গীত। ‘কাকন তুলে ঝুমুর নাচন’ গানের সুরে পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ম্যাক এপেল এবং উপজেলা পর্যায়ের সারিয়াকান্দির শিল্পী মোঃ জমিরুল ইসলাম জেমী। যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী হাসিনুর রহমান হাসু, বিমল কবিরাজ, আব্দুর গফুর মতি, নিখিল চন্দ্র দাস ও আরমানুর রশদি আকাশ। মৌলভীবাজার জেলার পরিবেশনায় ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে’ এবং ‘কেমনে চিনিব তোমারে’ গানের সুরে পরিবেশিত হয় সমবেত নৃত্য। একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন জাতীয় পর্যায়ের শিল্পী ড. অনুপম পাল এবং উপজেলা পর্যায়ের শিল্পী সুশান্দ দাস। এছাড়াও পরিবেশিত হয় যন্ত্রসঙ্গীত। আজ বুধবার বিকেল ৪টা থেকে একাডেমি প্রাঙ্গণ নন্দন মঞ্চে পরিবেশিত হবে পটুয়াখালী, বান্দরবান ও নরসিংদী জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। রাত ৮টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে দর্শনীর বিনিময়ে অনুষ্ঠিত হবে ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়ার মা মনসা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য পরিবেশনা ‘রয়ানী’।
×