ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে স্বামীকে আটকে ঘরে ঢুকে পোশাককর্মীকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ১৩:০১, ৭ জানুয়ারি ২০২০

রাজধানীতে স্বামীকে আটকে ঘরে ঢুকে পোশাককর্মীকে ধর্ষণ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ঢাকার কাফরুল থানা এলাকার ইমান নগরে ঘরে ঢুকে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক পোশাককর্মীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন ওই নারী। অভিযোগ পেয়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার এসআই রবিউল ইসলাম। ২৭ বছর বয়সী ওই নারীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের। এসআই রবিউল সোমবার বলেছেন, ‘ঘটনাস্থল ও বাকি অন্যসব বিশ্লেষণ করে বলতে পারি, ওই নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।’ শনিবার মামলার পর জাহাঙ্গীর নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দুজন জনি ও আতিক দেওয়ানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এসআই রবিউল। মামলা দুদিন আগে হলেও ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে ১ জানুয়ারি সোমবার ভোরে। ওই পোশাককর্মী ইমাম নগরে একটি টিনশেড বাসায় তার দিনমজুর স্বামীকে নিয়ে গত এক বছর ধরে ভাড়া থাকছেন। ওই নারী সোমবার জানিয়েছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইটে ভোর ৪টার দিকে ক্ষুধা লাগলে স্বামীকে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। ওই এলাকায় দুটি দোকান সারারাত খোলা থাকে। কিন্তু সেদিন দোকান দুটি বন্ধ দেখে ফেরার পথে জনি ও আতিকের কবলে পড়েন তারা। তিনি বলেন, ‘পাশের একটি গলিতে ঢুকলে জনি ও আতিক দেওয়ান পথ আটকে বলে, এত রাতে আমরা রাস্তায় কেন? তারা আমাকে ‘খারাপ মেয়ে’ বলে আমার স্বামীকে যা তা বলে মারধর শুরু করে। ‘তারা আমার কাছে আমাদের বিয়ের কাবিননামা চায়। ’ওই নারী বলেন, ‘উপায়ান্তর না দেখে যে বাসায় থাকি, সে বাসার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলমকে ডাকি। কিন্তু উনার কাছ থেকে সহযোগিতা পাইনি, উনি এসে জনি ও আতিকের সামনে উল্টাপাল্টা বলতে শুরু করে।’এরপর জাহাঙ্গীর, জনি ও আতিকের মধ্যে ‘আকার ইঙ্গিতে’ কিছু কথা হয় বলে জানান ওই নারী। এরপর জনি আমাকে বলে, ‘চল তোর বাসায় গিয়ে দেখি কাবিননামা’। এই বলে আমার স্বামীকে রেখে জনি ও জাহাঙ্গীর বাসায় আসে। আমার বাসায় ঢুকে জনি বলে, ‘তোর স্বামীকে মেরে ফেলব যদি তুই চিৎকার করিস। এরপর জনি তাকে ধর্ষণ করে এবং জাহাঙ্গীর বাইরে পাহারা দেয় বলে ওই নারীর অভিযোগ। আতিক তার স্বামীকে আটকে রেখেছিল। এরপর তারা আমার স্বামীকে ছেড়ে দেয়।’ পরে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করে থানায় গিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই নারী।
×