নাটোরে চোখ তুলে ফেলে ভার্সিটি ছাত্রকে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ৬ জানুয়ারি ॥ নাটোরে নিখোঁজের একদিন পর কামরুল ইসলাম (২০) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার হালসা গ্রামের জনৈক নুরুল ইসলামের বাঁশবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের চোখ উঠানো অবস্থায় ছিল। নিহত কামরুল ইসলাম হালসা গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। সে নাটোর শহরের চকরামপুরে অবস্থিত রাজশাহী সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি (আরএসটিইউ) বিবিএ শেষ বর্ষের ছাত্র ছিল। নাটোর সদর থানার ওসি তদন্ত ফরিদুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে মোবাইল ফোনে কামরুল ইসলামকে কে বা কারা ডেকে নেয়। এরপর সে আর বাড়ি ফিরেনি। রবিবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা বাঁশবাগানের ভেতর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। লাশ উদ্ধারকালে নিহতের একটি চোখ উঠানো অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ। নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত বলেন, নিহতের মোবাইল ফোনের কললিস্ট চেক করা হচ্ছে। কেন হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এর আগে শনিবার নাটোর সদর উপজেলার পাইকেরদোল এলাকায় একটি বাঁশঝাড়ে নিখোঁজের ছয়দিন পরে ১০ বছরের এক প্রতিবন্ধী ছেলের মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।