ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটে ইভিএম ব্যবহার না করতে ইসির প্রতি বিএনপির আহ্বান

প্রকাশিত: ১১:১৯, ৭ জানুয়ারি ২০২০

ভোটে ইভিএম ব্যবহার না করতে ইসির প্রতি বিএনপির আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করতে ইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। তারা জানিয়েছেন ইভিএমে ভোট কারচুপির সুযোগ রয়েছে। সোমবার বিকেলে বিএনপির দুই প্রার্থীসহ একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে এই আহ্বান জানান। এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ঢাকা উত্তরের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ আতিকুল ইসলামের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দুই দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে। উত্তরে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির জিএম কামরুল ইসলামে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আবেদন আপীলেও খারিজ হয়ে গেছে। ফলে তিনি প্রার্থী হতে পারছেন না। আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরশেন নির্বাচন। নির্বাচনে প্রথম থেকেই বিএনপি ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করে আসছে। সোমবার বিএনপির দুই প্রার্থীসহ বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করে ইভিএম বাতিলের আহ্বান জানান। বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলের প্রধান স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ইভিএমে ভেরিফিকেশন করার কোন সুযোগ নেই। এটি নিঃশব্দে ভোট চুরির একটি প্রক্রিয়া। এর আগে বিকেল চারটায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপি। এই সময় ঢাকা উত্তরের বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ এম আউয়াল, দক্ষিণের মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন বিএনপি প্রতিনিধি দলের প্রধান স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার ও যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার নেতৃত্বে অন্য চার কমিশনার, সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আলমগীর দুই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন ও আবুল কাসেম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুলকে শোকজ নোটিস এদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে উত্তরের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোঃ আতিকুলকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দুই দিনের মধ্যে এই নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে এতে। সোমবার ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম মোঃ আতিকুল ইসলামকে এই নোটিস পাঠান। নোটিসে উল্লেখ করেন, আপনি গত ৫ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে একজন সংসদ সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরা নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন করেছেন, যা গত ৫ জানুয়ারি ২০২০ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে এবং ৬ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যা সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৫ ও বিধি ২২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, বিধায় কেন আপনার বিরুদ্ধে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা আগামী ২ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আবেদন খারিজ এদিকে প্রার্থিতা ফিরে পেতে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করেছিলেন উত্তরের মেয়র পদে জাতীয় পার্টির পার্থী জিএম কামরুল ইসলাম। কিন্তু সোমবার বিভাগীয় কমিশনার সেলিম রেজা তার এরই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। ফলে তিনি এখন আর মেয়র পদে নির্বাচন করতে পারছেন না। তবে তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যেতে পারবেন। আদালত রায় দিলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। খারিজ করে দিলে তিনি আর প্রার্থী হতে পারবেন না।
×