ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রকল্প হাতে নিচ্ছে মন্ত্রণালয়

খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়নে সক্ষমতা বাড়ছে প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের

প্রকাশিত: ১১:১৮, ৭ জানুয়ারি ২০২০

খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়নে সক্ষমতা বাড়ছে প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের

ওয়াজেদ হীরা ॥ খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়ন করতে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে সরকার। এজন্য ‘প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সক্ষমতা জোরদারকরণ’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ২২০ কোটি ৫৯ লাখ টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের উৎপাদনে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ভেটেরিনারি ও সম্প্রসারণ সেবা ত্বরান্বিত হবে। পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মদক্ষতার উন্নয়ন হবে বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০২৩ সালের মার্চের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। সম্প্রতি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্প নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমাদের কৃষি সেক্টর কৃষির সাবসেক্টরগুলোর দেশের জন্য অনেক ভূমিকা আছে। গ্রামীণ দারিদ্র্য দূর করতে বাড়িতে বাড়িতে কৃষির পাশাপাশি পশু পালন হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান বেশি সক্ষম হলে বেশি সেবা মিলবে ভবিষ্যতে। এ বিষয়ে এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলি খসরু জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন তথা দেশের নিরাপদ প্রাণিজ আমিষের উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে। সে লক্ষ্যেই প্রকল্প নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি প্রস্তাব পাওয়ার পর চলতি বছরের আগস্টে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, পুষ্টি নিরাপত্তা এবং দারিদ্র্য নিরসনে প্রাণিসম্পদের অবদান খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ একটি সম্ভাবনাময় ও লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই সঙ্গে উপযুক্ত প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ প্রাণিসম্পদ খাতকে এখন কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম প্রধান হাতিয়ারে পরিণত করেছে। দেশের বেকার জনগোষ্ঠী এবং নারীরা প্রাণিসম্পদ পালনে সম্পৃক্ত হয়ে আত্মকর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৯ অনুযায়ী উৎপাদনশীলতা, আয়বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষিখাতের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে কৃষিখাতের অবদান ১৪ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৫০ শতাংশ এ খাতে নিয়োজিত। দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা কৃষির ওপর নির্ভরশীল। প্রাণিসম্পদ কৃষিখাতের একটি অন্যতম উপখাত। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান এক দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং সার্বিক কৃষিখাতে এ অবদান ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
×