ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকায় সীমান্ত সম্মেলন

মিয়ানমার থেকে মাদক প্রবেশ রোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ চায় বিজিবি

প্রকাশিত: ১১:১০, ৭ জানুয়ারি ২০২০

মিয়ানমার থেকে মাদক প্রবেশ রোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ চায় বিজিবি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মিয়ানমার থেকে যাতে অনায়াসে মাদকসহ অন্যান্য নেশাজাতীয় দ্রব্য দেশে ঢুকতে না পারে- সেজন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)। মিয়ানমারও এ বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। ঢাকায় চলমান পাঁচ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলনের বৈঠকে মাদকসহ অন্যান্য বেশ কিছু ইস্যুর ওপর জোর আলোচনা হয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মায়ানমার পুলিশ ফোর্স (এমপিএফ) এর মধ্যেকার অনুষ্ঠিত সীমান্ত সম্মেলনে মাদক ছাড়াও দুদেশের সীমান্তে জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের আগ্রাসন নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়েছে। আলোচায় মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে এখনও উদ্বেগজনক হারে ইয়াবার মতো ভয়ঙ্কর মাদক বাংলাদেশে প্রবেশ করার তথ্য তুলে ধরা হয় মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের কাছে। এতে উভয়পক্ষই তাদের নিজস্ব অবস্থান ব্যাখ্যা করে। সীমাান্ত সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রতিনিধি দল সিলেটের সীমান্ত এলাকায় পরিদর্শনে যান। তারা সেখানকার সার্বিক পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন। উল্লেখ, গত রবিবার ঢাকার পিলখানার বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে শুরু হয় সপ্তম সীমান্ত সম্মেলন। এতে মিয়ানমারের চীফ অব পুলিশ জেনারেল স্টা ও পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো থারে নেতৃত্বে ৮ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধি দল ও অপরদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে বিজিবির উর্ধতন কর্মকর্তা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাবৃন্দ অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। জানা গেছে, এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এজেন্ডাগুলো হচ্ছে মাদকদ্রব্য ও নেশাজাতীয় দ্রব্য বিশেষ করে ইয়াবা পাচার প্রতিরোধ, সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ বিরোধী কার্যক্রম, মিয়ানমার নাগরিকদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ রোধ, সীমান্তবর্তী এলাকায় মিয়ানমারের বিজিপি ও সেনাবাহিনী কর্তৃক ফায়ারিং প্রতিরোধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে বা অসতর্কতাবশত, আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রমকারীদের উভয় দেশের স্ব স্ব সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিকট ফেরত প্রদান, সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তথ্য বিনিময়, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে যৌথ টহল পরিচালনা, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশ কর্তৃক সীমান্ত সড়ক নির্মাণকালে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা প্রদান। জানা গেছে, সম্মেলনে উভয়পক্ষের সমাঝোতা ও সিদ্ধান্তের পর আগামীকাল বুধবার যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরিত হবে।
×