ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে ॥ তাজুল

প্রকাশিত: ১১:০৯, ৭ জানুয়ারি ২০২০

বাংলাদেশ আজ উন্নয়নে নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে ॥ তাজুল

নিজস্ব সংবাদদাতা, রূপগঞ্জ, ৬ জানুয়ারি ॥ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিইডি) মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছেন একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়ার। এজন্য তিনি সারাজীবন লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু জীবদ্দশায় অল্প সময়ের কারণে পারেননি অনেক কিছু করতে। এক সময় এ দেশকে অসম্ভব দরিদ্র্য দেশ হিসেবে মনে করত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এ উন্নয়ন যাত্রা কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না’। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়ার দড়িয়াকান্দি এলাকায় নবনির্মিত বীরপ্রতীক গাজী সেতু পরিদর্শন শেষে স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজিইডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন। এলজিইডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুত, শিল্পায়ন, শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য, খাদ্যসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কৃষি ও শিল্পের উন্নয়ন ঘটাতে বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। যদি শিল্পায়ন বৃদ্ধি না করা যায় তাহলে দারিদ্র্য বিমোচন করা যাবে না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।’ এলজিইডি মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকারের প্রতিটি উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করে থাকি। এতে কোন রকম অনিয়ম হলে ব্যবস্থাও নেই। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের পরিকল্পনানুযায়ী ঢাকাকে পূর্ব দিকে বাড়াতে হবে। সে লক্ষ্যে রূপগঞ্জ ঢাকার পূর্ব দিকে অবস্থান করায় এ অঞ্চলে আরও উন্নয়ন দরকার।’ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক আরও বলেন, ২০৪১ সালে উন্নত বিশ্বে যেতে হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নয়ন করতে হবে। এই যে দেশে ছোট বড় সড়ক হচ্ছে, সেতু হচ্ছে, এটা উন্নত বিশ্বে যাওয়ার পথকে সুগম করবে। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ‘বীরপ্রতীক গাজী সেতুর কারণে বদলে যাবে পুরো রূপগঞ্জের চিত্র। এছাড়া ব্যবসা, বাণিজ্য, শিল্প-কারখানার মালামাল পরিবহনে সময় ও ব্যয় দুটোই কমে আসবে। ঢাকা থেকে সিলেট এবং চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য কয়েকটি জেলার যাত্রীরা মুড়াপাড়া ও রূপগঞ্জ সদর এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর দিয়ে চলাচল করা ফেরি ব্যবহার করেন। ফলে এই পথে যানজটের কবলে পড়তে হয় তাদের। বীরপ্রতীক গাজী সেতু সেই সমস্যার সমাধান করবে। এছাড়া সেতুটি নির্মাণের ফলে সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলার দূরত্ব ঢাকার সঙ্গে ১০ কিলোমিটার কমবে। একইসঙ্গে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পূর্বাচল উপশহরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এতে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর চাপ কমবে এবং এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটবে। এমনকি রাজধানীর সঙ্গে রূপগঞ্জের দূরত্ব কমে যাওয়ার কারণে নতুন নতুন শিল্পকারখানা গড়ে উঠবে বলেও আশা করা হচ্ছে।’ এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জউদ্দিন, এলর প্রধান প্রকৌশলী সুশংকর চন্দ্র আচার্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম প্রমুখ।
×