ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্যবসায়ীরা তাকিয়ে আছেন ভারতের দিকে

পেঁয়াজের মূল্যে স্থিতি আসতে আরও সময় লাগবে

প্রকাশিত: ১১:০৭, ৭ জানুয়ারি ২০২০

পেঁয়াজের মূল্যে স্থিতি আসতে আরও সময় লাগবে

মোয়াজ্জেমুল হক, চট্টগ্রাম অফিস ॥ দেশে যে কোন পণ্যের পাইকারি বাজার মূল্য একবার বেড়ে গেলে তা পুনরায় হ্রাস পেলেও খুচরা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়তে সময় নেয়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিষয়টি এমন, মূল্য বাড়লে তা সঙ্গে সঙ্গে প্রভাব পড়ে আর হ্রাস ফেলে পূর্বাবস্থায় ফিরে আসতে সময় নেয়। পেঁয়াজের বাজার পরিস্থিতিও অনুরূপভাবে চলছে। যখন বাড়ে তখন সঙ্গে সঙ্গে এর প্রভাব সৃষ্টি হয়। আর যখন কমে এর প্রভাব পড়তে সময় নেয়। বর্তমানে পচনশীল পেঁয়াজের বাজার মূল্য অস্থিতিশীল পর্যায়ে চলে যাওয়ার পর থেকে পাইকারি পর্যায়ে এর মূল্য নিয়মিতভাবে ওঠানামা করছে। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি হ্রাস পাওয়ার কোন লক্ষণ মিলছে না। এছাড়া, ক্রেতা সাধারণ যেমন মূল্য আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন ঠিক তদ্রƒপভাবে পেঁয়াজের আমদানিকারক, পাইকার এবং খুচরা পর্যায়ের বিক্রেতারাও লোকসানের শঙ্কায় সর্বদা তটস্থ। গত তিন মাস ধরে পেঁয়াজের বাজার মূল্য একবার কমে তো আবার বাড়ে। গত সপ্তাহের শেষ দিকে পেঁয়াজের খুচরা বাজার মূল্য কেজি প্রতি আড়াই শ’ টাকার ঘরে চলে যায়। সপ্তাহের শেষ দিন এবং বন্ধের দিন অর্থাৎ শুক্রবার থেকে আবার হ্রাস পায়। সোমবারও তা অব্যাহত থাকে। তবে হ্রাস পাওয়ার পরিমাণ লক্ষণীয়ভাবে খুবই কম। এছাড়া পেঁয়াজ নিয়ে আমদানিকারক থেকে পাইকার, পাইকার থেকে খুচরা ব্যবসায়ী সকলেই লোকসান গুনতে হতে পারেÑ এমন আশঙ্কায় ভীতসন্ত্রস্ত। সোমবার বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, রবিবারের তুলনায় বিভিন্ন ধরনের পেঁয়াজ পাইকারিতে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। পাইকারি বাজারের মূল্য কমার বিষয়টি সাধারণত খুচরা পর্যায়ে দ্রুততম সময়ে প্রভাব ফেলতে পারে না। প্রভাব ফেলার আগেই পাইকারি বাজার যদি আবারও তেজি হয়ে যায়। তাহলে তো কমার প্রশ্নই আসে না। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণার পর থেকে দেশীয় বাজার পরিস্থিতি এভাবেই ওঠানামায় রয়েছে। এ অবস্থায় ধারণা করা হয়েছিল নবেম্বর মাস থেকে দেশীয় উৎপাদনের পেঁয়াজ বাজারে ওঠা শুরু করলে এর ভাল প্রভাব পড়বে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বাজার সূত্র জানিয়েছে, দেশীয় উৎপাদনের পেঁয়াজ দিয়ে বাজার মূল্যে ইতিবাচক প্রভাবের সম্ভাবনা কম। দীর্ঘ সময়জুড়ে ভারত থেকে আমদানির পেঁয়াজ নিয়েই দেশের বাজার একটি পর্যায়ে থাকে। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতীয় পেঁয়াজ বিশে^র বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়ে থাকে। বাংলাদেশও ভারতীয় পেঁয়াজের অন্যতম একটি আমদানিকারক দেশ। সরকারী পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রায় ১০ লাখ টনের মতো পেঁয়াজ আমদানির মাধ্যমে দেশীয় মোট চাহিদার সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকে। যার ৯০ শতাংশই আসে ভারত থেকে।
×