ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দেশী শিং মাছ চাষের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন

প্রকাশিত: ০৯:৪২, ৭ জানুয়ারি ২০২০

দেশী শিং মাছ চাষের নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এবার দেশীয় শিং মাছ চাষে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। উদ্ভাবিত প্রযুক্তিতে অল্প সময় আর কম খরচে অধিক শিং মাছ উৎপাদনে লাভবান হবেন খামারিরা। এ প্রযুক্তি সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার কাজও চলছে বলে জানিয়েছে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। শিং মাছ একটা সময় গ্রামবাংলার খাল-বিলে প্রচুর ধরা পড়লেও এখন আর তেমন দেখা মেলে না। পুষ্টিগুণে ভরা এই মাছের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও চাষ হয় অনেক কম। যাতে স্বাদেও ঘাটতি রয়েছে। এমন বাস্তবতায় দেশী শিং মাছের উৎপাদন বাড়াতে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেছেন নতুন চাষ পদ্ধতি। যার নাম দেয়া হয়েছে শিং মাছের নিবিড় চাষ। দীর্ঘ তিন বছরের গবেষণায় মিলেছে সফলতা। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএইচএম কোহিনুর বলেন, পুকুর গভীর করে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করে ৩০ শতাংশ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য পুকুরে ব্যবহার করলে কৃষক ৬ মাসের মধ্যে ২০ শতাংশ পুকুর থেকে প্রায় ৯-১০ লাখ টাকা মুনাফা করতে পারবে। এই পদ্ধতিতে অল্প জায়গা ও স্বল্প সময় লাগায় কমেছে উৎপাদন খরচ। বেড়েছে স্বাদও। তাই এ মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে খামারিদের। এক চাষী জানান, মাছের খাবার, পানির বিল, বিদ্যুত বিল মিলে ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সবমিলিয়ে ১৭ লাখ টাকার মতো বিক্রি হবে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, এটি খুবই সম্ভাবনাময় একটি প্রযুক্তি এবং এতে লাভও বেশি। আমরা চাই এই প্রযুক্তি সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে। উৎপাদিত এই মাছ খুচরা বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকায়। যাতে উৎপাদন খরচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।
×