ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নদীগর্ভে স্কুল ॥ তিন বছর পর ঘর পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ০৯:২২, ৭ জানুয়ারি ২০২০

নদীগর্ভে স্কুল ॥ তিন বছর পর ঘর পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৬ জানুয়ারি ॥ নাগরপুর উপজেলার বহুল আলোচিত গোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ঘর নির্মিত হওয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে খুশির ঝিলিক বইছে। বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার তিন বছর পর অস্থায়ী ভবন পেয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বেশ আনন্দিত। ‘বিদ্যালয় নদীগর্ভে, পাঠদান চলছে একটি বাড়ির আঙ্গিনায়-খোলা আকাশের নিচে’ শিরোনামে দৈনিক জনকণ্ঠে গোবিন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র নিয়ে সংবাদ পরিবেশনের পর সেসময় জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে দ্রুত অস্থায়ী ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিলেও তা যেন অধরাই থেকে যাচ্ছিল। অবশেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম গতিশীল রাখতে অস্থায়ী শ্রেণীকক্ষ নির্মাণের জন্য ৫ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে বিদ্যালয়ে চার কক্ষ বিশিষ্ট একটি অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। থাকছে শিক্ষার্থীদের জন্য টয়লেট ও বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা। স্কুল ঘর নির্মিত হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে খুশির জোয়ার বইছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আজম আলী বলেন, বিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর থেকেই ভাঙ্গনের মুখে পড়ে। এবার বিদ্যালয়ের অস্থায়ী ভবনটি ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম পাড়ে নির্মাণ করেছি যাতে আর ভাঙ্গনের মুখে না পড়ে। শিক্ষার্থী পায়েল আক্তার বিদ্যালয়ে অস্থায়ী ঘর নির্মিত হওয়ায় আবেগাপ্লুত হয়ে বলে এখন থেকে আর আমাদের খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হবে না। রোদ, বৃষ্টি ও ঝড়ে আর আমাদের কষ্ট করতে হবে না। আমরা ভালভাবে আমাদের পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারব। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জিএম ফুয়াদ মিয়া বলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম স্যারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টির অস্থায়ী ভবন নির্মাণ সম্ভব হয়েছে।
×