ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পটিয়ায় জায়গা নিয়ে বিরোধ ॥ ইউপি মেম্বারসহ আহত ৬

প্রকাশিত: ০৯:২২, ৭ জানুয়ারি ২০২০

পটিয়ায় জায়গা নিয়ে বিরোধ ॥ ইউপি মেম্বারসহ আহত ৬

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, চট্টগ্রাম, ৬ জানুয়ারি ॥ ভূমি বিরোধ নিয়ে চট্টগ্রামের পটিয়ায় মারামারিতে ইউপি মেম্বারসহ ছয়জন আহত করা হয়েছেন। তারা হলেন উপজেলার কুসুমপরা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ নুরুল আলম, ইউপি মেম্বারের ভাই ফরিদুল আলম, ইউপি মেম্বারের পুত্র নঈম উদ্দিন জাহেদ ইমন, বড় পুত্র নুর উদ্দিন জাহেদ রিমন, মেয়ে তাহেরিমা সুলতান রিফা ও স্ত্রী রেহেনা আকতার। রবিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার মেহেরআর্টি গ্রামের ইউপি মেম্বারের বাড়িতে প্রতিপক্ষ এয়ার মোহাম্মদ, জাহাঙ্গীর, দেলোয়ার হোসেন, শাহদাত হোসেন সোহেল, কায়সার, আরিফ, নুর মোহাম্মদ, নুর কায়েম মানিকসহ সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা দাঁড়াল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এই হামলা চালিয়েছেন। স্থানীয় লোকজন আহত ছয়জনকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। ঘটনার খবর পেয়ে পটিয়া কালারপুল পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে গেলেও হামলাকারী কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। জানা গেছে, উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের মেহেরআর্টি গ্রামের ইউপি মেম্বার নুরুল আলমের পরিবারের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জাহাঙ্গীর ও এয়ার মোহাম্মদের পরিবারের মধ্যে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। জায়গার বিরোধ সম্পত্তি করতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সম্প্রতি জায়গার পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করে দেন। তবে এয়ার মোহাম্মদের জায়গার বিরোধ নিষ্পত্তি হয়নি। পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দেওয়ানি ও পটিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জাহাঙ্গীর ও এয়ার মোহাম্মদের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজি মামলা বিচারধীন রয়েছে। এই বিরোধের জের ধরে রবিবার রাতে এয়ার মোহাম্মদ ও জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম বাচ্চু জানিয়েছেন, জায়গার বিরোধ নিয়ে মূলত মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কুসুমপুরা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নুরুল আলম ও তার পরিবারের আরও ছয়জনকে আহত করা হয়েছে। রাতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, বিজয়নগরে দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ ২৫ জন আহত হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসী জানায়, প্রকল্পের সেচের পানি নিয়ে দর কষাকষিকে কেন্দ্র করে চাঁন মিয়া ও রাজু মিয়ার পক্ষের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের সময় পুলিশসহ ২৫ জন আহত হয়। এ সময় ৪/৫টি বাড়ি-ঘরও ভাঙচুরের শিকার হয়। আহতদের মধ্যে আলাউদ্দিন, রাজু, রুহুল আমিন, আবুল কাসেম, রানা, বাঁধন চৌধুরীসহ আহতদের জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বিজয়নগর থানা পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের ঘটনায় ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
×