ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিটি নির্বাচনের আগেই বিএনপির মুখে পরাজয়ের সুর

প্রকাশিত: ১০:১১, ৬ জানুয়ারি ২০২০

 সিটি নির্বাচনের আগেই বিএনপির মুখে পরাজয়ের সুর

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আসন্ন ঢাকা দুই মহানগর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন হওয়ার আগেই হেরে গেছে। তাদের মুখে এখনই পরাজয়ের সুর। বিএনপি আন্দোলনে পরাজিত, নির্বাচনে কিভাবে বিজয়ী হবে? বিএনপি আন্দোলনে পরাজিত, নির্বাচনেও তারা পরাজিত হবে এটা তারা (বিএনপি) ভাল করেই জানে। এজন্য তারা কথামালার চাতুরি দিয়ে নির্বাচন হওয়ার আগেই নির্বাচন সম্পর্কে আগাম বিষোদ্গার করে, সরকারী দলকে অভিযুক্ত করে যাচ্ছে। রবিবার রাজধানীর রমনা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন উত্তর প্রীতিভোজ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিতে গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগে গণতন্ত্র আছে। বিএনপি আমাদের এক বছর আগে সম্মেলন করেছে, কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের পরবর্তী সম্মেলন করতে পারেনি। তারা মিটিং আহ্বান করলেও তা হয় একটি ফ্লপ মিটিং। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুখে বড় বড় কথা বললেও বিএনপি মিটিং ডেকেও কোন কর্মসূচী নিতে পারে না। কর্মীরা হতাশ হয়। তাদের কোন ঘরোয়া গণতন্ত্রও নেই। বিএনপির এখন জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটির বেশিরভাগ জায়গায় অস্তিত্ব নেই। কবে কমিটি হয়েছে কেউ জানে না। তাই বিএনপি নেতাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের নানা মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন এখনও হলোই না, অথচ এটা নিয়ে মির্জা ফখরুল সাহেব, মওদুদ সাহেব এখনই আগাম মন্তব্য করে যাচ্ছেন। আসলে এটা বিএনপির পুরনো স্বভাব। তারা এভাবেই কথা বলেন। তারা আসলেই এই নির্বাচন হওয়ার আগেই হেরে গেছেন। নির্বাচন আগে হোক। জাতি দেখবে এদেশে কেমন নির্বাচন হয়। আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশনকে, একটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। এ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে যাওয়ার জন্য। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করলে আমরা কেন জনগণের দোরগোড়ায় ভোট ভিক্ষা করতে যাব। আমরা তো ভোটারদের মন জয় করেই বিজয়ী হতে চাই। তাই নির্বাচন প্রহসন হবে না। বিএনপির পরাজয়ের সুর এখন থেকেই বেজে উঠেছে। তারা পরাজিত হবে জেনেই আবোল-তাবোল প্রলাপ বকছে, এটা তো তাদের পুরনো অভ্যাস। অতীতে দেখা গেছে, ফলাফল ঘোষণার আগেই ব্যাপক কারচুপি, সরকারী দলের জালিয়াতি- এসব কথা বিএনপি বলেই থাকে। কাজেই এসব নিয়ে আমরা মাথা ঘামাই না। ‘দেশ পরিবারতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া এরা কোন পরিবারের নেতা আমরা তা জানতে চাই। বিএনপির মূল নেতৃত্বই তো একটি পরিবার থেকে এসেছে। এটা বেগম জিয়া ও তাঁর সন্তানরাই তো বিএনপির হর্তাকর্তা, বিধাতা। এখানে মির্জা ফখরুল ইসলাম তো তাদেরই ‘ইয়েস ম্যান’ হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা আমাদের সভাপতি। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আসেননি। শেখ হাসিনা তাঁর যোগ্যতার বদৌলতে প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের তিনিই হচ্ছেন অসীম সাহসী কান্ডারি। যার কারণে বাংলাদেশ, উন্নয়ন অর্জনে বিশ্বসভায় বিশেষ মর্যাদায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এই সাফল্যে স্বাপ্নিক রূপকার হচ্ছেন শেখ হাসিনা। এ সময়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছারসহ অন্য কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
×