ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জনবান্ধব হতে হবে ॥ পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:০৯, ৬ জানুয়ারি ২০২০

জনবান্ধব হতে হবে ॥ পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশ বাহিনীকে জনগণের পুলিশ হিসেবেই নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পুলিশ বাহিনী হবে জনবান্ধব বাহিনী। পুলিশ হবে জনগণের সেবক। এটা জাতির পিতাও বলে গেছেন। রবিবার রাজারবাগে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে পুলিশ সপ্তাহ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কেক কাটেন। ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার,পুলিশ হবে জনতার’ প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতিবারের মতো এবারও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং আনন্দমুখর পরিবেশে পাঁচ দিনব্যাপী পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ উদ্হচ্ছে। পুলিশ সপ্তাহ চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন ইউনিটের পুলিশ সদস্যদের মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ উপভোগ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, উর্ধতন সরকারী কর্মকর্তা, বিভিন্ন পেশাজীবী সংস্থা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, জ্যেষ্ঠ পুলিশ সদস্য এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে সারা দেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। তিনি অনুষ্ঠানে ১১৮ পুলিশ সদস্যের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ পদক ও পুলিশ পদক সেবা এবং রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক সেবায় ভূষিতদের মধ্যে পদক বিতরণ করেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৪ জনকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ২০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৮ জনকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) সেবা’ এবং ৫৬ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা’ প্রদান করা হয়। পুলিশ সপ্তাহ-২০২০ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ যেন পুলিশ বাহিনী থেকে কাক্সিক্ষত সেবাটা পেতে পারে, সে জন্য আমরা পুলিশকে আধুনিক ও জনবান্ধব করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জনের মধ্য দিয়ে যে কোনা ধরনের অপরাধ দমন করা সহজ এবং সেই দৃষ্টিকোন থেকে পুলিশ কাজ করবে, সেটাই তার আশা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থকে আমরা ব্যয় হিসেবে নিই না। আমরা মনে করি, জনগণের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে এটা আমাদের একধরনের বিনিয়োগ। কাজেই সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা এই পুলিশ বাহিনীকে আধুনিক সাজে সজ্জিত এবং আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে জনগণের সেবা যাতে নিশ্চিত করতে পারি, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ আমরা নিয়ে যাচ্ছি। যে কোন দুর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়ায় পুলিশ। কাজেই যে কোন প্রয়োজনে পুলিশ বাহিনীর পাশে দাঁড়ানোটা আমি কর্তব্য বলে মনে করি। পুলিশ বাহিনী দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা রাজারবাগে দেয়া ভাষণে বলেছিলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। জাতির পিতা পুলিশ বাহিনীর অনেক প্রশংসা করেছিলেন। বিএনপি-জামায়াতের জ্বালাও-পোড়াওয়ের উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনী তাদের জীবন বাজি রেখে দেশের মানুষ ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা করেছে। এজন্য আমি পুলিশ বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন জানাই । শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকার দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশ থেকে আমরা জঙ্গীবাদ, মাদক ও দুর্নীতি দূর করব এবং তাই সরকার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক, জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে বিভিন্ন বিদেশী বিনিয়োগ আসছে। এই বিনিয়োগ যাতে কোনভাবে বাধাগ্রস্ত না হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পুলিশকে আরও জনমুখী হওয়ার তাগিদ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ বাহিনীকে জনগণের পুলিশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের আস্থা, বিশ্বাস অর্জনের মধ্য দিয়ে যে কোন ধরনের অপরাধ দমন করা সহজ এবং সেই দৃষ্টিকোন থেকে আপনারা কাজ করবেন সেটাই আমি আশা করি। আমরা চাই আমাদের পুলিশ বাহিনী জনবান্ধব হবে। পুলিশ সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সাহসিকতা ও সেবা এই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পুলিশ পদক ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে পদকপ্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও পুলিশের দাবি পূরণ না হওয়ায় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এসব দাবির বিষয়ে তিনি সম্মতি দেয়ার পরও কেন পূরণ হয়নি, তা তাকে অতিসত্তর জানাতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে বার্ষিক প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর কল্যাণ সভায় এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন সরকারপ্রধান। কিছু সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী কল্যাণ সভায় বলেন, বর্তমান বেতন কাঠামোর পূর্ববর্তী কাঠামো অর্থাৎ ২০১৫ সালের কাঠামো অনুযায়ী এই ভাতা বাড়ানো যেতে পারে যা ট্রেডভেদে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী পুলিশের আবাসন সমস্যার কথা আঁচ করতে পেরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের পূর্বপাশে গণপূর্তের যে আবাসিক দালানগুলো উঠছে, সেখানে পুলিশ সদস্যদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আবাসন বরাদ্দের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। পুলিশ সপ্তাহে পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সবসময় পুলিশের প্রতি বঙ্গবন্ধুর একটা আন্তরিকতা ছিল। তিনি যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন তখন পুলিশের সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আমি নিজেও বলতে পারি যে, ক্ষমতায় আসার পর পুলিশের কিন্তু দাবি করতে হয়নি। বরং পুলিশের সমস্যা কী কী তা খুঁজে বের করে সমাধান করার চেষ্টা করেছি। আগে পুলিশ বেতনের মাত্র ২০ শতাংশ রেশন পেত। সেই রেশন আমরা শতভাগ করে দিয়েছি। টিফিন ভাতা-ঝুঁকিভাতা সবই আমি করেছি। যখন পুলিশকে ঝুঁকিভাতা দিতে চাইলাম তখন সবাই বলল, সবাইকে ঝুঁকিভাতা দিতে হবে। টিফিন ভাতা দিতেও শুনতে হয়েছে সবাইকে দিতে হবে। অর্থাৎ পুলিশের জন্য আলাদা করে কিছু করতে চাইলেই সবার জন্য করার দাবি ওঠে। কিন্তু একটা বিষয় দেখেছি যে, সবাই যখন নিজেদের দাবি-দাওয়া আদায় করে চলে যায়, তখন পুলিশের কথা ভুলে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজকে পুলিশের মাঝে গুণগত বিরাট পরিবর্তন এসেছে। মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সেজন্য পুলিশ বাহিনীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সবচেয়ে বড় কথা জনগণের যে আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করা- এটা পুলিশ বাহিনী আজকে করেছে। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে যে কোন সমস্যায় পুলিশ ছুটে যায় এবং তাদের সে সমস্যা সমাধান করে। পুলিশ বাহিনী প্রতিটি ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। পুলিশকে আরও জনমুখী হওয়ার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশ বাহিনীকে জনগণের পুলিশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের আস্থা, বিশ্বাস অর্জনের মধ্য দিয়ে যে কোন ধরনের অপরাধ দমন করা সহজ এবং সেই দৃষ্টিকোন থেকে আপনারা কাজ করবেন সেটাই আমি আশা করি। আমরা চাই আমাদের পুলিশ বাহিনী জনবান্ধব হবে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে পুলিশের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ সড়ক যাতে সৃষ্টি হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। একদিকে যেমন জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, অপরদিকে সড়কে নিরাপত্তা সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনী যথেষ্ট সুশৃঙ্খল ভূমিকা রাখছে। পুলিশ বাহিনীর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি কাজে আমাদের পুলিশ বাহিনী বিশেষ করে আমাদের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় পুলিশ বাহিনী যথাযথ ভূমিকা রেখেছে। তাদের প্রত্যেকটা পদক্ষেপে অত্যন্ত দক্ষতা, সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের দায়িত্বশীলতার ভূমিকায় দেখেছি। বিগত সময়ে বিএনপি-জামায়াতের সরকারবিরোধী আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আমাদের পুলিশ বাহিনীর ২৯ সদস্যকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা শাহাদাত বরণ করেছেন, তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থকে আমরা আর্থিক ব্যয় হিসেবে নিই না। আমরা মনে করি জনগণের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে এটা আমাদের এক ধরনের বিনিয়োগ। সম্প্রতি স্বচ্ছতার সঙ্গে ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমি মনে করি আপনারা একটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে পুলিশের বদনাম ছিল। কিন্তু এবার ১০ হাজার কনস্টেবল নিয়োগে পুলিশের বিরুদ্ধে কোন পত্রিকা কিছু লিখতে পারেনি। পুলিশের পক্ষ থেকে যে দাবিগুলো তোলা হয়েছে, সেগুলো গত বছরই তোলা হয়েছিল। সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছিল এবং আমার অফিস থেকে সেটা বাস্তবায়নের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো কেন বাস্তবায়ন করা হয়নি, ঝুলে আছে তা আমি জানি না। এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট ্রসচিব বসে আছেন, আমি তাদের কাছে জানতে চাই। তারাই বলবেন, কেন এগুলো পেন্ডিং রয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বেতন বাড়ানো হয়েছে। সেজন্য ভাতার ব্যাপারে আমাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল যে ২০১৫ সালের বেতনের সঙ্গে অঙ্কের পরিমাণে হবে, পার্সেন্ট হারে হবে না। কিন্তু একটা জিনিস দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি যে, ১৯৮৫ সালের টাকার মান বা টাকার ভাতা, মানে ১৫ টাকা ৩০ টাকা। আসলে তো এখন ১৫ টাকায় এক কাপ চাও পাওয়া যায় না। এই বিষয়গুলো কেন আমি জানি না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব এইগুলো সমন্বয় ও যুগোপযোগী করতে। আমার অফিস থেকে আমি পাঠিয়েছিলাম। এর অনেক অর্থ মন্ত্রণালয়ে আটকে আছে। নিচের লেভেল থেকে কিছু গেলে তা যদি আটকে দেয়া হয় তাহলে সংশ্লিষ্টরা সংক্ষুব্ধ হয়। এগুলো কৌশলে বের করে আনাই তো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দাবি করলে তো কেউ কম করে না। অন্তত অর্ধেক যেন পায় সেজন্য ডবল দাবি করে। পুলিশের পক্ষ থেকে যে দাবিটা করা হয়েছে তাতে হিসাবে বাজেট থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত লাগবে। আমরা এখন অর্থবছরের মাঝামাঝি আছি। আগামী অর্থবছরের আগে পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। তবে যৌক্তিকভাবে যতটা করা যায় আমরা করব। পুলিশ সদর দফতরের একজন কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত কল্যাণ সভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিগত বছরে নানা ক্ষেত্রে পুলিশের সাফল্য তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি পেশাগত সেবার মান বাড়ানোর লক্ষ্যে পুলিশের জন্য কিছু যৌক্তিক দাবিও তুলে ধরা হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
×