ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিইউএফএল সড়ক খানাখন্দে ভরা

প্রকাশিত: ০৯:২৭, ৬ জানুয়ারি ২০২০

সিইউএফএল সড়ক  খানাখন্দে ভরা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারার ব্যস্ততম চৌমুহনী-সিইউএফএল সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন ও জনচলাচলে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে এ সড়কে নাকাল অবস্থা সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুুষের যাতায়াতে বেহাল সিইউএফএল সড়কের সংস্কারে কর্তৃপক্ষের কোন মাথাব্যথা নেই। এক বছর ধরে সড়কটি সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাজেট করার পরেও সংস্কারের কাজ শুরু না করায় জনমনে ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা গেছে, সড়কটি সিইউএফএলের নিজস্ব হলেও কেইপিজেড, কাফকো, ডিএপি ও বঙ্গবন্ধু টানেলের সকল গাড়ি যাতায়াত করে। যৌথ অর্থায়নে সড়কটি সংস্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে বাজেট করে সংস্কার হওয়ার কথা। কিন্তু কাজ শুরু না করায় জনগনের সীমাহীন কষ্টের কথা বিবেচনা করে স্থানীয় বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান সড়কটির ব্যবহারকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট সকলকে দরখাস্ত দিয়ে অবগত করেন। এ বিষয় চেয়ারম্যান সোলায়মান জানান, বাজেট হওয়ার পর সংস্কারের কথা বলা হলেও আজ পর্যন্ত সড়কটির কাজ শুরু করার কোন পদক্ষেপ দেখতে পারছি না। আশা করি তাদের গাড়ি যাতায়াত বন্ধ করে দিলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়বে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইউএফএলের এমডি সুজিত মজুমদার বলেন, খুব শীঘ্রই সড়কটির কাজ শুরু হবে। মির্জাপুর নিজস্ব সংবাদদাতা মির্জাপুর থেকে জানান, পৌরসভার জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বংশাই রোডে মাত্র দুই শ’ গজ রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় প্রতিদিন শত শত মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ওই রোডের ব্যবসায়ীদের ব্যবসা-বাণিজ্য লাটে ওঠার উপক্রম হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে খানাখন্দ রাস্তাটিতে রিক্সা উল্টে অনেকে আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। মির্জাপুর পৌর এলাকার জনগুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম রাস্তা হচ্ছে বংশাই রোড। এই রোডটি দিয়ে উপজেলা সদরের বাসিন্দা ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের তরফপুর ইউনিয়ন ও লতিফপুর ইউনিয়নের শত শত মানুষ চলাচল করে থাকে। বরিশাল স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে গ্রামীণ সড়কের পাশে রোপিত গাছাপালা উপড়ে পড়ে, জেলার গৌরনদী উপজেলার ২০টি সড়কের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কগুলো ভেঙ্গে পড়ার কারণে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সৃষ্টি হয়েছে মরণফাঁদে। এর মধ্যে সদ্যনির্মিত সড়ক রয়েছে ১০টি। গ্রামীণ সড়কগুলোতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা।সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার মাহিলাড়ার সরকার মঠ-সরিকল সড়ক, দিয়াশুর প্রাইমারি স্কুল-বাংলাবাজার সড়ক, দিয়াশুর হাজিরপুল-আকনবাড়ী সড়ক, আশোকাঠী ফিলিং স্টেশন থেকে ভায়া হ্যালিপ্যাড গেরাকুল সড়ক, পৌরসভার শেষমাথা-কালনা প্রাইমারি স্কুল সড়ক, পৌরভবনের সম্মুখ থেকে ভায়া টিকাসার কাছেমাবাদ সড়ক, মাহিলাড়া-ছয়গ্রাম সড়কসহ বেশ কয়েকটি পাকা সড়কের পাশে রোপিত শতশত গাছ সড়কসহ উপড়ে পড়েছে। এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা এলজিইডি বিভাগের প্রকৌশলী মোঃ অহেদুর রহমান বলেন, বুলবুলের আঘাতে গ্রামীণ সড়কের প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষতির বিবরণ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো মেরামত করা হবে।
×