ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বৈঠকের প্রভাব নেই

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

প্রকাশিত: ০৯:১৯, ৬ জানুয়ারি ২০২০

শেয়ারবাজারে বড় দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা পাঁচদিন উর্ধমুখী থাকার পর রবিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর আগে পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র চেয়ারম্যানসহ অন্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ডিএসইর পক্ষ থেকে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, অগ্রিম আয়কর শিথিল, সরকারী ভাল কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত, গ্রামীণফোন এবং টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্বন্দ্বের দ্রুত নিষ্পত্তিসহ বেশ কিছু প্রস্তাব দেন। বাজারের দূরাবস্থায় হতাশা প্রকাশ করে বাজার বিশ্লেষক ডিএসই’র সাবেক সহ-সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী বলেন, বৈঠক করে বাজার ঠিক হবে না। বাজার স্বাভাবিক করতে হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর সেটা অর্থমন্ত্রী বা সরকার নয়, ডিএসইকেই করতে হবে। বাজারে কোন ধরনের ভয় বা আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবে না। কর্পোরেট সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। ডিএসইকে আন্তর্জাতিকমানের ভাল একটি রিসার্স সেন্টার গড়ে তুলতে হবে। যে রিসার্সের ভিত্তিতেই বাজার পরিচালিত হবে। বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবে। এসব কাজ করার দায়িত্ব ডিএসই’র। অর্থমন্ত্রীর নয়। এগুলো না করে বৈঠক করে কোন লাভ হবে না, বলেন লালী। এদিন ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫৯ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪০০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে ৯৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৪৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সবকটি সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৫২টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬৯টির। ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। ২০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে বাজারটির লেনদেন। দিনভার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৯২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৮৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৯৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে খুলনা পাওয়ারের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাফার্জ হলসিম বাংলাদেশের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৩৬ লাখ টাকার। ৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্যাংক এশিয়া। এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ন্যাশনাল টিউবস, সিটি ব্যাংক, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, এসএস স্টিল, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ট্রাস্ট ব্যাংক। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৩৮১ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেয়া ২২০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৭টির, কমেছে ১৬৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টির।
×