ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মোস্তাফা জব্বার

ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতার সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ৬ জানুয়ারি ২০২০

 ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িকতার সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ

যুগ যুগ ধরে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রীস্টান একসঙ্গে পাশাপাশি বসবাস করে ৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের কোপানলে ভারতবর্ষে দুটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়ে উঠলেও পাকিস্তান যতটা উগ্র সাম্প্রদায়িক, ধর্মান্ধ, জঙ্গীবাদী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে ওঠে ভারত তেমনটা ছিল না। পাকিস্তান যখন ইসলামী প্রজাতন্ত্র হিসেবে পরিচিত হয় ভারত তখন গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শ তুলে ধরে। নানা সময়ে ভারতে সাম্প্রদায়িকতার বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও ভারতের মূল রাজনৈতিক ধারায় সাম্প্রদায়িকতা তেমনটা গুরুত্ব পাচ্ছিল না। দ্বিজাতিতত্ত্বের ধারক কংগ্রেস তার শাসনকালে সাম্প্রদায়িকতার বিস্তৃতি তেমনটা ঘটতে দেয়নি। ভারতের অনেক রাজ্যে বামপন্থী দলগুলোর শাসন কায়েম থাকায় সেইসব রাজ্যেও সাম্প্রদায়িকতা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল। ভারতীয় কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি বা বাম দলগুলো চেষ্টা করেছে ভারতের শাসনব্যবস্থায় একটি অসাম্প্রদায়িক ভারতবর্ষ বহাল রাখার জন্য। হয়তো সেই কারণেই ৪৭ সালে ভারত থেকে মুসলমানদের যে অনুপ্রবেশ পাকিস্তানে ঘটেছিল সেটি এতদিন ছিল না। ভারতে বরং মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে এবং এমনকি হিন্দুত্ববাদী বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরও ভারতে সাম্প্রদায়িকতার তেমন খারাপ সময় আসেনি। কিন্তু শ্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি আসাম রাজ্যে এনআরসি চালুর মধ্য দিয়ে ভারত রাষ্ট্রকে একটি সাম্প্রদায়িক চরিত্র দেবার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই উদ্যোগটির অন্যতম উদ্দেশ্য যে মুসলমানরা, বিশেষত পূর্ব বাংলার মুসলমানরা ছিল সেটি এখন অনেক স্পষ্ট। বিষয়টি এখন সর্ব ভারতের চরম বিতর্কের বিষয়। এমনকি অন্য রাজ্যগুলোও এনআরসি আতঙ্কে রয়েছে। যদিও এনআরসির শিকারে প্রচুর হিন্দু রয়েছে তবুও সেটির লক্ষ্য ছিল তৎকালে পূর্ব বাংলা থেকে আসামে যাওয়া হিন্দুরাও। যত ভাল কথাই শোন না কেন এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশ শঙ্কামুক্ত থাকতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না। জম্মু ও কাশ্মীর ৪৭ সালে জন্মের পর থেকেই পাকিস্তান ও ভারতের সাম্প্রদায়িক বিরোধের কেন্দ্রে অবস্থান করছে। যদিও এটি কাশ্মীরী মুসলমানদের নিয়ে বিরোধ এবং খুব সঙ্গতকারণেই পাকিস্তান এতে নাক গলাচ্ছে তাই এটি ব্রিটিশোত্তর ভারতবর্ষে একটি বিষফোঁড়া হিসেবেই বিরাজ করছে। কাশ্মীরীরা একটি ভাষাভিত্তিক জাতীয়তা গড়ে তুললে হয়তো একটি স্বাধীন জাতি হবার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারত। কিন্তু ধর্মকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের ভিত্তি হিসেবে প্রতিপালন করার ফলে সেটি পাকিস্তান ভারতের বিরোধেই সীমিত থেকেছে। তাদের একজন বঙ্গবন্ধু থাকলে হয়তো বিষয়টি অন্যরকম হতে পারত। পাকিস্তানের জঙ্গী রফতানি ও ভারতের অগণতান্ত্রিক আচরণ কাশ্মীরের অবস্থাকে নাজুক করে তুলেছে। অন্যদিকে ব্রিটিশদের সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প আফগানিস্তান ও মিয়ানমারে সম্প্রসারিত হয়েছে। শত শত বছরের মুসলিম শাসনে যে ভারতবর্ষ সাম্প্রদায়িক হয়নি সেই ভারতবর্ষে এখন সবচেয়ে বড় সঙ্কটের নাম সাম্প্রদায়িকতা। ভারতে সঙ্কট এখন এত তীব্র যে তারা এমনকি ইন্টারনেট স্বাভাবিকভাবে চালনা করতে পারছে না। বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে উত্তাল ভারতের যেসব শহরে রাস্তায় নেমে এসেছে বিক্ষোভকারীরা সেখানেই কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিচ্ছে। আর এটাই বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারে আরেক অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে- কারণ এর মধ্য দিয়ে বিশ্বে একটি দেশ এক বছরে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার রেকর্ড গড়েছে। ভারতে উত্তেজনার মধ্যে গত ১২ ডিসেম্বর একটি টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, আমি আসামে আমার ভাই বোনদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, নাগরিকত্ব সংশোধন বিল নিয়ে তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমি তাদের নিশ্চিত করতে চাই যে কেউ তাদের অধিকার, আত্মপরিচয় এবং দারুণ সংস্কৃতি কেড়ে নিতে পারবে না। এর বিকাশ অব্যাহত থাকবে।’ কিন্তু সমস্যা হলো এই টুইট দেখার জন্য যে ইন্টারনেট প্রয়োজন ছিল সেটিই আসামে ছিল না। তাই হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভের মধ্যে এটি ঠিক নিশ্চিত না যে কতজন এই টুইট দেখতে পেরেছে। ইন্টারনেট শাটডাউন ট্র্যাকারের হিসেবে চলতি বছর দেশটিতে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা হয়েছে মোট ৯৩ বার। কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির দোহাই দিয়ে সেবা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে তুমুল বিক্ষোভের কারণে শুধু অসমেই নয়, ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলীগড়ের মতো বেশ কিছু এলাকাতেও। তবে ভারতের কর্মকর্তারা বলছেন শান্তির জন্যই এটি দরকার ছিল। এ ধরনের দীর্ঘমেয়াদি ইন্টারনেট বন্ধের নজির আছে কেবল চীন আর মিয়ানমারে। তবে ভারত এবারেই যে সবচেয়ে বেশিবার বন্ধ করল তাও নয়। ২০১৮ সালে মোট প্রায় ১৩৪ বার ইন্টারনেট বন্ধের উদাহরণ আছে। আর এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তান। তারা গত বছর ১২ বার ইন্টারনেট বন্ধ করেছে। বহু ভারতীয় যারা বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল ইন্টারনেট বাজারের সঙ্গে জড়িত- তারা এর তীব্র সমালোচনা করছেন মত প্রকাশে বাধা হিসেবে বিবেচনা করে। সমালোচনায় এটিও উঠে আসছে যে প্রধানমন্ত্রী মোদি তার নির্বাচন প্রচারে ইন্টারনেটকেই সবচেয়ে বড় উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছে। এমনকি ডিজিটাল ইন্ডিয়ারও কথা বলছেন তিনি, যার লক্ষ্য দেশটির ডিজিটাল অবকাঠামো শক্তিশালী করা। তিনি এমনও বলেছেন যে, তিনি ১০০ কোটিরও বেশি ভারতীয়কে অনলাইনে দেখতে চান এবং সেজন্য সস্তা, দ্রুত গতির ব্রডব্যান্ড গ্রামীণ এলাকায় ছড়িয়ে দিতে চান। কিন্তু এবার ক্ষমতায় আসার পর যেভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করার সংখ্যা বাড়ছে তাতে প্রশ্ন উঠছে যে তিনি আসলে ডিজিটাল ইন্ডিয়া বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন। (বিবিসি বাংলা) ভারতবর্ষের ৪৭ পরবর্তী ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে, এই ৭২ বছরে এখানে একটাই ইতিবাচক ঘটনা ঘটেছে: সেটি হচ্ছে ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্ম। ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও মিয়ানমার যখন সাম্প্রদায়িকতায় লিপ্ত তখন আমরা দেখতে পাব এই ভারতে একজনই জাতীয়তাবাদী নেতার জন্ম হয়েছিল। সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে ভারত ভাগ করার পর তিনি একটি ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পাকিস্তানের সবচেয়ে অবহেলিত-শোষিত-দুর্বল অংশে ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়াস ছিল অসীম দুঃসাহসের কাজ। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই দুঃসাহসী কাজেই সার্বিক নেতৃত্ব দেন। যে অঞ্চলের মানুষ সাম্প্রদায়িক কারণে ‘লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ সেøাগান দিয়েছে এবং পাকিস্তানে যোগ দেবার পক্ষে ভোট দিয়েছে সেই এলাকার মানুষ ভাষার জন্য রক্ত দিল। যদিও বাংলাদেশকে বারবার সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মোকাবেলা করতে হচ্ছে এবং বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা এখনও সক্রিয় আছে তবুও বাংলাদেশ দেখিয়ে দিয়েছে যে মৌলবাদ অগ্রগতির বাহন নয়। পাকিস্তানীরা তাদের পশ্চাদপদতার জন্য এখন মৌলবাদকেই শনাক্ত করেছে। তারা উপলব্ধি করতে পেরেছে যে স্বৈরাচার-সামরিক শাসন ও মৌলবাদ পাকিস্তানের সামনে যাওয়াকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। পাকিস্তানের স্বাধীনতার ৭২ বছর পর এখন বেলুচরা স্বাধীনতা চায়-সিন্ধীরা স্বাধীনতা চায়। ভারত স্বৈরাচার কবলিত হয়নি এবং বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবেই পরিচিত হয়ে আসছে। কিন্তু উত্তর-পূর্ব ভারতে আঞ্চলিকতা খুব স্পষ্টভাবেই ভারতের উদ্বেগের কারণ হিসেবে কাজ করছে। তার সঙ্গে এবার যুক্ত হয়েছে অসমের এনআরসি, কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা ও সংবিধান সংশোধনী বিল পাস করা। ভারতজুড়ে এখন তীব্র আন্দোলনের জোয়ার বইছে। বিষয়টি মুসলমানকেন্দ্রিক হলেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিসহ ভারতের অনেক বিখ্যাত রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবীরা ভারতের বিজিপি সরকারের এসব পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করছেন। ভারতের মতো একটি বিশাল দেশ যাতে বহু জাতিসত্তা বসবাস করে তাদের জন্য এ ধরনের একটি পরিস্থিতি মোটেই সুবিধার নয়। বিশেষ করে ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বৈচিত্র্যপূর্ণ ভারত যদি একটি দেশ হিসেবে টিকে থাকতে চায় তবে তাকে তার গণতান্ত্রিক কাঠামো, অসাম্প্রদায়িকতা, পরমত সহিষ্ণুতা ইত্যাদি বহু কিছুই বজায় রাখতে হবে। বস্তুত আমি ভারতবর্ষকে তার পশ্চাদপদ ভাবনা চিন্তার শিকার হিসেবে দেখছি। ইউরোপ বা এশিয়ার কিছু অঞ্চলে শিল্পায়ন হবার ফলে সেইসব দেশে ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তার বিকাশ ঘটেছে। কিন্তু কৃষিভিত্তিক ভারতবর্ষে কেবলমাত্র বাংলাদেশ ইউরোপ-এশিয়ার ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তাকে গ্রহণ করেছে। বাকি দেশগুলো সাম্প্রদায়িকতার বৃত্ত ভাঙতে পারেনি। আমি নিশ্চিত একদিন ভারতবর্ষের সকল জাতিই ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তার পথে পা বাড়াবে। কারণ আগামীর দুনিয়াটা মাতৃভাষার। এই কথাটি স্বীকার করতেই হবে যে পাকিস্তান ও ভারতে ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তা মোটেই বিকশিত হয়নি। এটাও মানতে হবে যে তাদের একজন বঙ্গবন্ধু ছিল না বলে তারা ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে স্বপ্নও দেখেনি। সেই ৪৮ সাল থেকে সুদীর্ঘ ২৩ বছর ধরে একটি মুসলিম প্রধান অঞ্চলকে সাম্প্রদায়িকতামুক্ত করে ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তায় রূপান্তর করতে পারাটা একটি অসাধারণ কাজ ছিল। সামগ্রিকভাবে এটি এখন উপমহাদেশের সকল সচেতন মানুষের জন্য উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তানের অবস্থা যদি পুরোপুরি সাম্প্রদায়িক হয়ে ওঠে এবং তার সঙ্গে মিয়ানমার যদি আরও মুসলিম-রাখাইন বিদ্বেষী হয়ে পড়ে তবে এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের অবস্থা ভয়ঙ্কর হবে। আমরা যারা এই সাম্প্রদায়িকতার উর্ধে উঠতে পেরেছি তারাও এর প্রভাবমুক্ত নই। কোন না কোনভাবে বাংলাদেশেও এর গভীর প্রভাব পড়ছে। আমাদের জন্য এটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে আমাদের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র আমরা কতটা রক্ষা করতে পারব। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প যদি পুরো অঞ্চলটিকেই গিলে খায় তবে বাংলাদেশের ভাষাভিত্তিক জাতিসত্তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে বাধ্য। আমরা বিশেষত পাকিস্তান ও তার দেশীয় দালালদের চাপে বসবাস করি। ওরা এই দেশটাকে পাকিস্তান বানাতে চায়। ’৭৫-এর পর একুশ বছর ৯১ থেকে ৯৬ এবং ২০০১ থেকে ২০০৬ সময়কালে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টা হয়েছে। এখনও আমরা পাকিস্তানী জঙ্গীদের মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেখি। এর সঙ্গে ভারতের সাম্প্রদায়িকতা যুক্ত হলে সেটি হবে গোদের ওপর বিষফোঁড়া। তবে আনন্দের বিষয় যে মিয়ানমানের সাম্প্রদায়িকতায় আমরা আশ্রয়দাতা হয়েছি এবং ভারতের সাম্প্রদায়িকতায় বাংলাদেশ তার নিজস্ব সত্তাকে বহাল রাখতে পেরেছে। ভারতের ক্ষোভের ঢেউ বাংলাদেশে লাগেনি। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ তার প্রতিবেশীদের চাইতে জাতিসত্তায় ভিন্ন ছিল এবং থাকবে। বাংলা ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র বাংলাদেশের জয় হোক। (মতামত লেখকের নিজস্ব) ঢাকা, ৩ জানুয়ারি ২০২০ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাসের চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কী-বোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক
×