ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টু ক রো খ ব র

প্রকাশিত: ১২:৩০, ৫ জানুয়ারি ২০২০

টু ক রো  খ ব র

ধনীদের বেশি কর দেয়ার পক্ষে বিল গেটস ধনীদের বেশি কর দেয়া উচিত বলে মনে করেন, বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী বিল গেটস। সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে এ মন্তব্য করেন তিনি। খবর ব্লুমবার্গ। গত দশকে মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের অর্থের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার কোটি ডলার। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ারস সূচক অনুযায়ী, গেটসের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১১ হাজার ৩৭০ কোটি ডলার। বিশ্বের দ্বিতীয় এ ধনী দানের জন্য বিখ্যাত। দারিদ্র্য হ্রাস, চিকিৎসা ও শিক্ষা খাতে গত এক দশকে তিনি কয়েক কোটি ডলার দান করেছেন। শেয়ারবাজারগুলো চাঙ্গা হওয়ার পাশাপাশি তার রাজ্যের অনুকূল কর ব্যবস্থার কারণে একই সময়ে তার সম্পদের পরিমাণও দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে। এদিকে তার মতো যারা ধনী, তারাও বেশি পরিমাণে কর দিক, এমনটি চান গেটস। অন্যদিকে বিভিন্ন ফাঁকফোকর বন্ধ করার জন্য মার্কিন আইনপ্রণেতাদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, স্টেট কর ও মূলধনী কর বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন তিনি। এ ব্যবস্থা শ্রম আয়ের হার সমান করবে বলে উল্লেখ করেন গেটস। এছাড়া রাজ্য ও স্থানীয় সরকারগুলোকে কর ব্যবস্থা আরো ন্যায্য করারও আহ্বান জানান। ব্লগ পোস্টে তিনি লেখেন, আমার কাজের জন্য আমাকে খানিকটা একতরফাভাবে পুরস্কৃৃত করা হয়। কারণ একই সময় আমার মতো আরো অনেকে কঠোর পরিশ্রম করেন। এসব কারণে আমি এমন একটি কর ব্যবস্থার পক্ষে, যা বিত্তবানদের বেশি হারে কর দিতে বাধ্য করবে। বর্তমানে ধনীরা যে হারে কর দেন, তা আরো বাড়ানো দরকার বলেও মনে করেন তিনি। বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস জেফ বেজোস নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে গত বছরটা পার করলেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, সম্পদও হারিয়েছেন ১ হাজার কোটি ডলার, কিন্তু তারপরও বিশ্বের শীর্ষ ধনী তিনি। ব্লুমবার্গ মিলিয়নেয়ার ইনডেক্সে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনী ছিলেন। সেদিন তার সম্পদ ছিল ১১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। যদিও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁর চেয়ে খুব বেশি পেছনে নেই। মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ১১ হাজার ৩০০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন। ব্লুমবার্গের তালিকায় শীর্ষ তিন ধনীর সম্পদ ১০০ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ডলারের ওপরে। এঁরা হচ্ছেন জেফ বেজোস, মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ও ফরাসী ব্যবসায়ী বারনার্ড আর্নল্ট। বেজোসের বিবাহবিচ্ছেদ ও শেয়ারের দাম কমে যাওয়ার কারণে অনেকেই ধারণা করেছিলেন, বেজোস শীর্ষ স্থান হারাবেন। বিশেষ করে বিবাহবিচ্ছেদের কারণে বেজোসের বিপুল সম্পদ হাতছাড়া হয়েছে। মূলত কোম্পানিতে তাঁদের দুজনের যৌথ শেয়ার ছিল। এর ৭৫ ভাগ ছিল জেফ বেজোসের। বাকিটা তাঁর সাবেক স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি বেজোসের। এই শেয়ারের পাশাপাশি ম্যাকেঞ্জি আমাজনের ৪ শতাংশ হিস্যাও পেয়েছেন। ফলে সব মিলিয়ে বিবাহবিচ্ছেদ বাবদ ম্যাকেঞ্জি পেয়েছেন ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। ম্যাকেঞ্জি এখন বিশ্বের ২৫তম ধনী। তবে ২০১৯ সালের নবেম্বর মাসে জেফ বেজোস কিছুদিনের জন্য শীর্ষ স্থান হারিয়েছিলেন। তখন আমাজনের শেয়ারের দাম ২৮ শতাংশ পড়ে যায় এবং মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম ৪৮ শতাংশ বাড়ে। এদিকে শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় পরিচিত মুখেরাই আছেন। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছেন যথাক্রমে ওয়ারেন বাফেট ও মার্ক জাকারবার্গ। এবার জাকারবার্গের সম্পদ বেড়েছে ২ হাজার ৬৩০ কোটি ডলার।
×