ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতের আদেশ অমান্য

কক্সবাজার সৈকতে দাপট দেখাচ্ছে ওরা কারা?

প্রকাশিত: ০৯:২৯, ৫ জানুয়ারি ২০২০

কক্সবাজার সৈকতে দাপট দেখাচ্ছে ওরা কারা?

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত দীর্ঘ দেড় কিলোমিটারের সব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিতে আদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে, দ্রুত এটা কার্যকর করার দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়সহ পরিবেশবাদীরা। তারা বলেন, এ রায় মাইফলক, যে কোন মূল্যে সৈকতের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। তবে আদালতের রায় অমান্য করে রাতারাতি করছে এই স্থাপনা নির্মাণ কাজ কারা? কে এই ক্ষমতাবান ব্যক্তি? সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ আদালতের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লাবণী পয়েন্টের ছাতা মার্কেটের পাশে এখনও চলছে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে সৈকতের লাবণী পয়েন্টের ছাতা মার্কেট, মহাজোট মার্কেটসহ ৫টি পাঁচ তারকা ও ১০টি ৪ তারকা মানের হোটেল ভেঙ্গে ফেলতে হবে। তবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করা হচ্ছে এখানে। প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে এই কাজ চলছে বলে জানা গেছে। স্থাপনা নির্মাণকারীরা দাবি করছেন, তারা পৌরসভা থেকে লিজ নিয়েই এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত এলাকাকে প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। কিন্তু সেই গেজেটকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই এলাকায় গড়ে তোলা হয় একের পর এক স্থাপনা। এই নিয়ে ৫টি রিটের চূড়ান্ত রিভিউয়ের রায়ে ১৯৯৯ সালের পর নেয়া মার্কেট ও বড় বড় বেশ কিছু হোটেলের লিজ বাতিল করেছেন আপীল বিভাগ। রায়ে গুঁড়িয়ে দিতেও বলা হয়েছে এসব স্থাপনা। সমুদ্র সৈকতের ছয়টি পয়েন্ট থাকলেও তার মধ্যে লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে দোকান ও রেস্তরাঁ রয়েছে এক হাজারের বেশি। সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছের স্থানীয় ও পরিবেশবাদীরা বলছেন, আদালতের এই রায়ের পরও যারা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
×