ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর

অর্থনীতিবিদ পল ভলকার

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ৫ জানুয়ারি ২০২০

অর্থনীতিবিদ পল ভলকার

২০১৯-এর ডিসেম্বরে আমি ছিলাম বিশ্ব অর্থনীতি চর্চার অন্যতম পীঠস্থান যুক্তরাষ্ট্রের বস্টনে। ১০ ডিসেম্বর সকালে বরফে মোড়া সূর্যছটায় উজ্জ্বল পরিবেশে যখন নিউইয়র্ক টাইমস হাতে এলো তখন জানলাম গত শতাব্দীর শেষ ভাগের অন্যতম উজ্জ্বল অর্থনীতিবিদ ও সুশীল সেবক পল এডলফ ভলকার ৮ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে মারা গেছেন। বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭০-এর দশকে পড়াশোনা করার সময়ে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক ও পরে ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডের চেয়ারম্যান হসাবে ভলকারের কার্যাবলী বিষয়ে জানতে পেরেছিলাম। সে সময়কার একজন প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদ ছিলেন ভলকার। বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের মুদ্রানীতি বিষয়ক তৎকালীন অধ্যাপক মিলার্ড লং ভলকারের অর্থনৈতিক দর্শন ও অবস্থান বিষয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন বেশ কয়েকবার। ভলকারের জন্ম হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের কেপ মেতে ১৯২৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। তিনি স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করেছিলেন প্রখ্যাত পিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্নাতক হয়ে তিনি নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে গবেষণা সহকারী হিসেবে গ্রীষ্মকালীন কাজ করেন। এরপর তিনি পৃথিবী খ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে রাজনৈতিক অর্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। লন্ডন অর্থনৈতিক স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ১৯৫২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থার অন্যতম প্রতিষ্ঠান নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে অর্থনীতিবিদ হিসেবে যোগ দেন। ১৯৬২ সালে তিনি প্রখ্যাত চেজ মানহ্যাটান ব্যাংকের আর্থিক অর্থনীতিবিদ পদে যোগ দেন। এ পদে সুনাম অর্জন করে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের অর্থ বিভাগে আর্থিক বিশ্লেষক হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬৩ সালে অর্থ বিভাগের উপ অধঃসচিব নিযুক্ত হন। ১৯৬৫ সালে তিনি চেজ ম্যানহাটান ব্যাংকের সহসভাপতি পদে যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে প্রেসিডেন্ট নিকসনের শাসনামলে তিনি ফেডারেল সরকারের অর্থ বিভাগের আন্তর্জাতিক পক্ষের অধঃসচিব হয়ে ১৯৭৪ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে ব্রেটন উডস চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে তিনি যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ডলারের স্বর্ণে রুপান্তরণ প্রেসিডেন্ট নিকসনকে দিয়ে প্রত্যাহার করেন। ১৯৪৪ সালে ব্রেটন উডস চুক্তির আওতায় বাণিজ্যরত দেশসমূহ ডলারের মানে তাদের মুদ্রাসমূহের মূল্য নির্ধারণ করেছিল এবং যুক্তরাষ্ট্র এসব মুদ্রা এক আউন্স স্বর্ণের মূল্য ৩৫ ডলার ধরে স্বর্ণে রূপান্তরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। ডলারের স্বর্র্ণে রূপান্তরণের অবসান ঘটানোর পর অবশ্য ভলকার আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিনিময়ী মুদ্রাসমূহের স্থিতিশীলতা রক্ষা করণে অন্যান্য বিত্তশালী দেশসমূহের বিনিময় হারে সমন্বয়ে সচেষ্ট ছিলেন। ভলকারের নিজস্ব ভাষ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের স্বর্ণ রূপান্তরণ রোধকরণ তার অর্থনীতিবিদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অর্থ বিভাগ থেকে অব্যাহিত নিয়ে ১৯৭৫ সালে তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে জেষ্ঠ ফেলো হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৫ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠান ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন। এরপর ১৯৭৯ এ প্রেসিডেন্ট কার্টার তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেন। ১৯৮৩ সালে প্রেসিডেন্ট রিগ্যান তাকে দ্বিতীয় বারের মতো ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল রাখেন। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত পূর্ণ মেয়াদে তিনি ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডের চেয়ারম্যানের ভূমিকায় তিনি ১৯৭০-এর দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি সফলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৭০ থেকে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ১৯৮০ এর মার্চে ১৪% ভাগ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ভলকারের নীতি ও কার্যক্রমের ফলে ১৯৮৩ সালে মুদ্রাস্ফীতির এই হার ৩% এর নিচে নেমে এসেছিল। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভলকার প্রত্যক্ষভাবে সুদের হার না কমিয়ে তহবিলের লভ্যতা তথা মুদ্রা সরবরাহ সীমিত করা এবং ফেডারেল সরকারের বাজেট ঘাটতি কমানোর চাপ সৃষ্টি অব্যাহত রাখার নীতি গ্রহণ করেছিলেন। তার এই নীতির ফলে মুদ্রাস্ফীতি কমে এসেছিল কিন্তু বেকারত্ব ১০% এর চেয়ে বেশি বেড়ে গিয়েছিল এবং কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রে মন্দার সৃষ্টি হয়েছিল। পরে প্রেসিডেন্ট রিগানের প্রশাসন কর রেয়াত ও ঘাটতি অর্থায়নের মাধ্যমে নির্মাণ, কৃষি ও শিল্প ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়িয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে সফলতার সঙ্গে অগ্রসর হয়েছিল। মুদ্রাস্ফীতিবিহীন অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং মেয়াদী প্রবৃদ্ধি তার অর্থনৈতিক দর্শন ও নীতি হিসেবে লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য অর্জন করেছিল। ভলকার এই সময়ে জার্মান ও জাপানী মুদ্রার মানে ডলারের বিনিময় হার কমিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক দশকের ঘাটতি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রায় ১ দশক ধরে ভলকারের নীতি ও কার্যক্রম মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে আর্থিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথ সফলভাবে দেখাতে সক্ষম হয়েছিল। এই নীতি ও কার্যক্রম বাস্তবায়নে ভলকার আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সৃজনশীলতা ও দক্ষতা দেখিয়েছিলেন এবং এই প্রক্রিয়ায় দৃঢ় সংকল্পবোধের উদাহরণীয় দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছিলেন। (দ্রষ্টব্য: নেইল আরউইন, নিউইয়র্ক টাইমস ডিসেম্বর ১০, ২০১৯) যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন আর্থিক অস্থিতিশীলতাকে নিয়ন্ত্রণ করে তিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রতিরক্ষণ দিতেও বাড়াতে এবং ফলত আন্তর্জাতিক আর্থিক ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা ও নেতৃত্ব দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ের মতো পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার নীতিগত বলিষ্ঠতা ও কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্র ৪ যুগ পর্যন্ত আর্থিক নীতি গড়নে ও বাস্তবায়নে সহায়ক হয়েছিল। ১৯৮৩ সালে এই বিবেচনায় তাকে সর্বোত্তম জনসেবার জন্য সিনেটর জন হেইনজ পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। ১৯৯৭ সালে তিনি জার্মানির নাৎসী সরকার কর্তৃক অত্যাচারিত ও নিহত ইহুদীদের আগে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থের জন্য তাদের উত্তরাধিকারীদের দাবি অনেকাংশে আলোচনার মাধ্যমে আর্থিক জগতে ন্যায় নীতি অনুসরণের যুক্তিতে মেটাতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার চেষ্টার ফলে নাৎসী হত্যাযজ্ঞে ক্ষতিগ্রস্ত ইহুদীগণ ১.২৫ বিলিয়ন ডলার উদ্ধার করতে পেরেছিলেন। ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ড থেকে চলে যাওয়ার পর ভলকার যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংক ব্যবস্থার সংস্কারের প্রয়োজন তুলে ধরেছিলেন। পল ভলকার ব্যাংকসমূহকে ঝুঁকিপূর্ণ আগ্রাসী ঋণ প্রদানে নিরুৎসাহিত করেছেন। তার সময়ে ১৯৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক কন্টিনেন্টাল ইলিনয় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকসমূহকে লাতিন আমেরিকায় ঋণ দিতে এবং একই যুক্তিতে ঝুঁকি মূলধন সরবরাহ করতে নিরুৎসাহিত করেছেন। তিনি ব্যাংকসমূহকে তাদের গ্রাহকদের স্বার্থে, কেবলমাত্র মালিকদের স্বার্থে নয়, বিনিয়োগ করতে আবেদন জানিয়ে গেছেন। তার এই সূত্রকে ভলকার বিধি বলে আখ্যায়িত করে প্রেসিডেন্ট ওবামা ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকসমূহকে মূলত গ্রাহকদের স্বার্থে বিনিয়োগ করতে অনুশাসন দিয়েছিলেন। তিনি ব্যক্তি খাতের নেতাদের নতুনতর ধ্যানধারণা ও নিপুণতা বাড়ানোর সহায়ক শক্তি হিসেবে সরকারে প্রবেশ করতে এবং সরকারী কর্মকর্তাদের বেতনাদি বাড়াতে মত প্রকাশ করেছেন। তিনি জাতিসংঘ কর্তৃক ইরাকে অনুসৃত তেলের বদলে খাদ্য কর্মসূচীর অব্যবস্থাপনা, বিশ্বব্যাংকের পরিচালনা ক্রমে দুর্নীতির অনুপ্রবেশ এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এনরনের নিরিখ প্রতিষ্ঠান আর্থার এন্ডারসনের ভূমিকা জনগণের কাছে তুলে ধরেছিলেন। ভলকারের অর্থনীতিবিদ হিসেবে বর্ণাঢ্য জীবন মুদ্রাস্ফীতি এড়িয়ে চলা বা নিয়ন্ত্রণ এবং এই লক্ষ্যে সরকারের ঘাটতি অর্থায়ন পরিহারের ইতিবাচকতা ও ফলদায়কতা আমাদের কাছে সুস্পষ্ট করে তুলে। সমকালে বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় এই ক্ষেত্রে ভলকার প্রদর্শিত নীতি ও কার্যক্রম সক্রিয়ভাবে স্মর্তব্য। সরকারের আধিকারিক হিসেবে জনসেবা করার ওপর তিনি যে গুরুত্ব ও সম্মান দিয়েছেন তা সব গণতান্ত্রিক দেশে অর্থ ব্যবস্থার সব ক্ষেত্রে সরকারী সেবাকে উন্নততর ও অধিকতর সৃজনশীল ও ফলদায়ক করার গুরুত্ব প্রতিভাত করেছে। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা যাতে ধনতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণে জনসেবাকে ব্যাহত না করে তার দিকে ভলকার আমাদের সচেতন করে গেছেন। সমকালে আমাদের দেশে আর্থিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এই সচেতনতার গুরুত্ব অনুধাবনীয়। বস্তুত ভলকার কর্তৃক নিজকে অর্থনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত করার বাইরে জনসেবক হিসেবে আখ্যায়িত করা সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা ও সেবার নিপুণতা অর্জনের প্রয়োজন সুস্পষ্ট করে। সততা, সাহস ও একাগ্রতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে জনসেবার ক্ষেত্রে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তিনি। ব্যাংকিং ও সঞ্চয়- বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও কার্যক্রমে আগ্রাসী মনে বৃত্তি পরিহার করণের জন্য তার আহ্বান অবশ্য এই সময়ে সাড়া দেয়ার মতো নয়। বাংলাদেশে অর্থনীতির সঞ্চিত সম্পদকে বিনিয়োগীয় মূলধনে রূপান্তরণ প্রক্রিয়ায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা আরও বিস্তৃত ও গভীরতর করা আমাদের সমকালীন অভীষ্ট। এই অভীষ্টের সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক অস্থিতিশীলতা পরিহারকরণ সামনে রেখে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা ও যুক্তি ভলকারের জীবন ও কাজ থেকে আমাদের স্মর্তব্য। ২০১৪ সালের অক্টোবরে একবার নিউইয়র্কে ভলকারের সঙ্গে দেখা করার সুযোগে আমি পদ্মা সেতুর অর্থায়নে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক বাংলাদেশকে অবমাননা করার অপচেষ্টা এবং এর প্রতিবাদে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিবাদী নির্ভীক পদক্ষেপের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। তিনি তার ধোঁয়া ছড়ানো পাইপ হাতে নিয়ে বেশ কতক্ষণ নিশ্চুপ থেকে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নির্ভীকতার প্রশংসা করে বলেছিলেন পদ্মা সেতুর নির্মাণ শেষ হলে তিনি এই বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের নীতি বহির্ভূত ভূমিকা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরবেন। আমার দুঃখ, তা করার সময় না আসতেই এই সৎসাহসী অর্থনীতিবিদ পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন। তার মৃত্যুতে আমরা একজন প্রথিতযশা, ন্যায়নিষ্ঠ ও সাহসী অর্থনীতিবিদকে হারালাম। লেখক : সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী
×