ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অধ্যাপক ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)

সব ভুলে যাই, তাও ভুলি না ছাত্রলীগের বোল!

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ৫ জানুয়ারি ২০২০

সব ভুলে যাই, তাও ভুলি না ছাত্রলীগের বোল!

‘বেয়াই, এবার আপনাদের এলাকায় একজন এ্যাডভোকেটকে নমিনেশন দেয়া হচ্ছে। ছাত্রলীগের সভাপতি ছিল। অসম্ভব ব্রিলিয়ান্ট। ভবিষ্যতে অনেক উন্নতি করবে’Ñ সত্তরের নির্বাচনের আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী ডাঃ আবদুল আলিম চৌধুরীকে কথাগুলো বলেছিলেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সেদিনের সেই তরুণ এ্যাডভোকেটের সামনে দুদিন আগে তার বঙ্গভবনের অফিস কক্ষে বসে মনে পড়ছিল শহীদ জায়া শ্যামলি নাসরিন চৌধুরীর মুখে শোনা সে কথা। সেদিনের সেই তরুণ, সদ্য সাবেক ছাত্রনেতা আজকের বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি। নিবিষ্ট মনে মহামান্য একটি বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছেন। মাওলা ব্রাদার্সের এই প্রকাশনাটি ১৯৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ঢাকার একটি পিকটোরাল ডকুমেন্টারি। পাতা উল্টাচ্ছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি, ফিরে যাচ্ছেন স্মৃতিময় অতীতে, আর মাঝে মাঝে এটা-সেটা শেয়ার করছেন। ৪৮’এ জিন্নাহর ঢাকায় জনসভার একটি ছবি আছে বইটিতে। সেদিনই জিন্নাহ প্রথম ঘোষণা করেছিল উর্দু হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা। সেদিন কিন্তু প্রতিবাদ হয়নি। প্রতিবাদ হয়েছিল পরদিন, জিন্নাহ যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আবারও ঘোষণা করেছিল, ‘উর্দু এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্র ভাষা’। জিন্নাহর মুখের ওপর ‘নো, নো’ বলে প্রতিবাদ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল তরুণ ছাত্র। বরাবরই এদেশের অধিকার রক্ষার যে কোন আন্দোলনে সামনে থেকেছে। ৪৮ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত ছাত্রলীগ আর তারও পরে আওয়ামী লীগ। বয়সের বিবেচনায় আওয়ামী লীগের চেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগের এই সহযোগী সংগঠনটি। এ জাতির পথ চলায় সব সময়ই আলোর দিশারী এদেশের ছাত্র সমাজ। জাতির প্রতিটি ক্লান্তিলগ্নে এগিয়ে এসেছে তারা। ঠিক যেমনটি এসেছিল আটচল্লিশে জিন্নাহর উদ্ধত উক্তির প্রতিবাদে। বাঙালীর যে হাজার বছরের ইতিহাস, তাতে বাঙালীর প্রথম স্বাধীন ভূখ-ের নাম বাংলাদেশ, আর এর প্রথম স্বাধীন শাসক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু প্রমাণ করেছিলেন, তিনি শুধু হাজার বছরের মধ্যেই নন, বরং জাতি হিসেবে বাঙালীর ইতিহাস যেদিন থেকে ইতিহাসের পাতায় ঢুকেছে, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী। আর বাংলাদেশ নামক এমন কালজয়ী কনসেপ্টটি ধারণ করে, একে বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর যে দীর্ঘ পথ চলা, তার শুরুতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন প্রথমে ছাত্রলীগ, আর তারপর আওয়ামী লীগ। ছাত্রলীগের ইতিহাস তাই বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে অভিন্ন। মহামান্য রাষ্ট্রপতির সামনে বসে যখন এসব সাত-পাঁচ ভাবছি, মনটা কিন্তু তখন খুবই বিষণœ। সকালেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউ থেকে শেষবারের মতো বিদায় জানিয়ে এসেছি আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ এ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেসা বাপ্পিকে। ঊনপঞ্চাশ বছরের বর্ণাঢ্য জীবনে বাপ্পির অর্জন কম ছিল না। ছিলেন বাংলাদেশের সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল, আন্তর্জাতিক ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটার আর আমাদের মহান জাতীয় সংসদের পরপর দুই মেয়াদের মাননীয় সাংসদ। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে যাওয়ার পথে বাপ্পিকে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে গিয়ে চিন্তা করছিলাম, ওর সঙ্গে আমার পরিচয়টা প্রথম কবে। সবশেষে দেখা হয়েছিল জিটিভির স্টুডিওতে অঞ্জন রায়ের টকশোতে। কিন্তু প্রথমটা কবে? সাল-তারিখ কিছুতেই মনে করতে পারছিলাম না। তবে মনে আছে পরিচয়টা হয়েছিল নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তাল চত্বরে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগেই বাপ্পির মতো এদেশের আরও অনেক সাংসদ আর জাতীয় নেতার হাতেখড়ি। লম্বা সে তালিকায় না যাওয়াই ভাল। কারণ তা পূর্ণাঙ্গ হবে না কখনই! এতটাই দিয়েছে ছাত্রলীগ এদেশকে। বাপ্পির সঙ্গে আমার দেখা হতে পারত ডিসেম্বরের ২৪ তারিখেও। হয়নি, সম্ভবত অসুস্থতার জন্যই বাপ্পির প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিলের জন্মদিনের স্মরণ সভায় আসা হয়ে ওঠেনি বলে। বাপ্পির সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা গভীর হয়েছিল এই শাকিল ভাইয়ের কল্যাণেই। ৮৮’তে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের করিডরে পা রাখার পর যে দুই একজনের হাত ধরে আমার ছাত্রলীগে পথ চলা, শুরু তাদের অন্যতম অকাল প্রয়াত শাকিল ভাইয়ের হাত ধরে। তিনি যেবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সেই কমিটিতে সদস্য হিসেবে স্থান হয়েছিল আমার। সেই যে শাকিল ভাইয়ের সঙ্গে পথ চলার শুরু, হঠাৎ তার ছেদ পড়েছিল আজ থেকে তিন বছর আগে ডিসেম্বরের ৬ তারিখে শাকিল ভাইয়ের সহসা চলে যাওয়ায়। মাহবুবুল হক শাকিল সংসদের উদ্যোগে সেই থেকে প্রতিবছর শাকিল ভাইকে স্মরণ করে ডিসেম্বরে বাংলা একাডেমিতে যে স্মরণ সভাটির আয়োজনটি করা হয়, সেখানে স্মৃতিচারণের পাশাপাশি থাকে তার লেখা কবিতা আবৃত্তি আর একজন প্রতিশ্রুতিশীল কবিকে মাহবুবুল হক শাকিল পদক প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা। ছাত্রলীগের একজন সাবেক নেতাকে তার অবর্তমানে তার জন্মদিনে এভাবেই উদযাপন করেন দেশের বরেণ্য সাহিত্যপ্রেমীরা। ছাত্রলীগের শাকিল উদযাপিত হন একজন কবি হিসেবে! প্রতিবার শাকিল ভাইয়ের স্মরণ সভায় যাই, আলোচনা করি আর বসে ভাবি, কি অসাধারণ এই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ! কতভাবেই না এ দেশটিকে সমৃদ্ধ করেছে এই ছাত্র সংগঠনটি। বঙ্গবভন থেকে সোজা ছুটছি ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে। চেম্বারে যখন বসছি, ক্যালেন্ডারের পাতায় তারিখ তখন পাল্টানোর পথে। তারপর আবার যখন ফেসবুকে উঁকি মারছি রাত তখন ভোর হয় হয়। রাতে ল্যাবএইডে ঢুকেই আইসিইউতে কলে গিয়ে দেখলাম জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আরেকটি তাজা প্রাণ। সকাল থেকে প্রচ- রক্তবমি নিয়ে এখন আইসিইউর বেডে শুয়ে আছে অল্প বয়সী এক যুবক। বছর দেড়েক আগে বিয়ে করেছে। চোখে বেঁচে থাকার কি প্রচ- আকুতি! রাত তিনটায় এন্ডোসকপি করে তার রক্তবমি বন্ধ করার পর মনটায় প্রচ- স্বস্তি। অভ্যাস বসে তাই ফেসবুকে ঢুঁ মারা। ঢুকতেই অবশ্য মনটা আরেক দফা খারাপ হয়ে গেল। সময় যে কিভাবে উড়ে যায়! ফেসবুকে অসংখ্য পোস্ট মনে করিয়ে দিচ্ছে আজ সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস। এদিন শুধু আওয়ামী লীগকেই নয়, বরং গোটা জাতিকে কাঁদিয়ে ক্যান্সারের কাছে হার মেনেছিলেন কখনও হার না মানা এই সাদা-সিধে মানুষটি। হার মানেননি একাত্তরে, পঁচাত্তরেও না। বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যাকা-ের পর লন্ডনে বসে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনে আমাদের প্রাণপ্রিয় দুই আপার হাতকে শক্তিশালী করেছিলেন। হারেননি তিনি এক-এগারোর পর বেসামরিক লেবাসধারী সামরিক সরকারের প্রলোভন আর চাপের কাছেও। খুব কাছ থেকে দেখেছি ঢাকায় হেফাজতের তা-বের দিন তার না’হারা দৃঢ়তা। অবশেষে ক্যান্সারের কাছে হেরেছিলেন এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা জনতার প্রিয় এই জননেতা। সৈয়দ আশরাফ ভাইয়ের কথা মনে হতেই মনে পড়ল আওয়ামী লীগের আরও একজন সাধারণ সম্পাদকের কথা। সকালেই দেখেছি তাকে। বাপ্পির মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। বাপ্পির শেষ দিনটি কখন, কোথায়, কিভাবে কাটবে, তা তদারকি শেষে যখন তিনি বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখন মনে পড়ছিল ক’দিন আগের কথা। এই হাসপাতালেই ক’দিন আগে মৃত্যুকে পরাজিত করেছিলেন ছাত্রলীগের এই সাবেক নেতা। আর এখন অসম্ভব দক্ষতার সঙ্গে হাল ধরে আছেন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলটির। মনটা আস্তে আস্তে শান্ত হয়ে আসে। যে আওয়ামী লীগের হাতে দেশটাকে তুলে দিয়ে এখন নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছেন ১৬ কোটি দেশবাসী, তার একের পর এক জননন্দিত সাধারণ সম্পাদকের রাজনীতির সূতিকাগার তো ওই ছাত্রলীগই। মনটা আবারও ভরে ওঠে প্রশান্তিতে। ফেসবুকিং বন্ধ করে চেম্বারে ফিরে যাই অবশিষ্ট গোটা বিশেক রোগীকে অপেক্ষার দীর্ঘ প্রহর থেকে মুক্তি দিতে। কাজ শেষে যখন বাসায় ফিরছি, ঢাকার রাজপথে তখন প্রায় সুন-সান নীরবতা। একে তো শীতের রাত, তার ওপর কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। নির্জন রাজপথে ছুটছে যখন গাড়ি, আমার তখন আরেকটু ভাল করে আত্মস্থ করার সুযোগ হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে চলমান বাংলাদেশের উন্নয়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ। মনিপুরি পাড়ার সামনের রাস্তার বুকচিরে উঠে আসছে মেট্রো রেলের একের পর এক কলাম। আর বনানীতে বাসার কাছাকাছি আসতেই চোখে পড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গজিয়ে ওঠা ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কলামগুলোও। এই যে মাত্র পার হয়ে এলাম মহাখালী ফ্লাইওভারটা, শুরুটা তো এটা দিয়েই। আমার মরহুম পিতা ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন বোর্ডের এক সময়কার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর প্রকৌশলী মাহতাব উদ্দিন আহমেদ সংশ্লিষ্ট ছিলেন এর নির্মাণের সঙ্গে। খুব কাছ থেকে তাই আমার জানার সুযোগ হয়েছিল এই মহাখালী আর তারপর যাত্রাবাড়ীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দুটি নির্মাণে সে সময়ের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এক সময়ে যিনি ছিলেন ছাত্রলীগ থেকে ইডেন কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি, আর আজকে যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, সেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কথা। এই মহীয়সী নারীর হাত ধরেই উন্নয়নের মহাসড়কে আজকের বাংলাদেশ আর আমি বিভোর আমার সুকন্যা-সূর্যের জন্য আগামীর স্বপ্নালু বাংলাদেশের স্বপ্নে। গাড়ি যখন বাসার গেটে হর্ন দিচ্ছে, আমি তখন দেখছি, ‘আচ্ছা, সবই তো তাহলে ছাত্রলীগ!’ এদেশের যা কিছু ভাল যাদের হাত ধরে, তাদের মধ্যে ছাত্রলীগে দীক্ষা নেননি এমন একজনও কি আছেন! ছাত্রলীগ মানেই তো বাংলাদেশ। হঠাৎ বুঝি কেন এই সংগঠনটিকে বিতর্কিত করায় একদল মানুষের আজকের এত অপচেষ্টা। ‘ছাত্রলীগ জিতলে জয় হয় সমষ্টির, কিন্তু ছাত্রলীগ হারলে তো হেরে যায় বাংলাদেশ’! আর তাই বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয়ার জন্য যাদের সব অপচেষ্টা, পঁচাত্তরে যারা মনে করেছিল তারা জিতে গেছেÑ ‘বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া ছাত্রলীগের শেখ হাসিনার’ নেতৃত্বে আর ত্যাগে, ‘ছাত্রলীগেরই বাপ্পি-শাকিল-সৈয়দ আশরাফ-ওবায়দুল কাদেরদের রক্ত-ঘামে’ সেই বাংলাদেশের আজকের শনৈঃশনৈ উন্নতি তাদের তো গাত্রদাহের কারণ হবেই! কাজেই ছাত্রলীগকে হারিয়ে দেয়ায় তারা যে সম্ভাব্য-অসম্ভাব্য সব প্রস্তরখ-ই উল্টে-পাল্টে দেখবে, তাতে আর অবাকের কি আছে? তবে আমি নিশ্চিত জানি, এতে না হারবে ছাত্রলীগ, না হারবে বাংলাদেশ! মানুষের কাছে আড়ালে-আবডালে আমার মূল্যায়ন আমি একজন সংগঠনবাজ মানুষ। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ, সম্প্রীতি বাংলাদেশ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি থেকে শুরু করে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট, এ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব লিভার ডিজিজেজ বাংলাদেশ, ফোরাম ফর দ্য স্টাডি অব দ্য লিভার বাংলাদেশ এমনি কত সংগঠনেই তো নাম লেখালাম। নেতৃত্ব দিচ্ছি ইউরোএশিয়ান গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন আর সাউথ এশিয়ান এ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অব দ্য লিভারের মতো আন্তার্জাতিক সংগঠনেরও। পাশাপাশি পেশায় আর গবেষণায়ও চেষ্টা করি সময় দেয়ার। কিন্তু হলফ করে বলতে পারি, ‘আমার প্রিয়তম সাংগঠনিক পরিচয়টি’ যদি জানতে চান, তবে তা হলো ‘মাইনুদ্দিন হাসান চৌধুরী-ইকবালুর রহিম-মাহবুবুল হক শাকিলের’ নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সেই কবেকার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদটি। ‘আমি সব ভুলে যাই, তাও ভুলি না ছাত্রলীগের বোল’! লেখক : চেয়ারম্যান, লিভার বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সদস্য সচিব, সম্প্রীতি বাংলাদেশ
×